মেলায় যাবেন? আরে, নানা, এক্সপো-টেক্সপো নয়। এ হল গিয়ে আপনার রাসমেলা। বাংলা অঘ্রান মাসের পূর্ণিমা তিথিতে শুরু হয়ে টানা পনের দিন। তারপর ভাঙা মেলা তো আছেই। না, ভাঙা মেলা থাক। আজ বরং একটা গোটা মেলার গল্প শোনাই। গল্প অল্পই আছে, সাথেথাক কাঁচা হাতের ক-খান হাতেগরম ছবি।
অথচ সংজ্ঞা জেনে ভালবাসিনি,
বুঝিনি তো আমি ভালবাসার কী মানে!
সূত্র মেনে ভালবাসা যায় বুঝি?
কামসূত্র বাজারে বিকোয় জানি,
বদঅভ্যাসে প্রেমসূত্রও খুঁজি!
দিপু যেনো বিশ্বাসই করতে পারছিলো না! আজ এই পরিস্থিতিতে সে সন্ধ্যাকে দেখবে কখনো চিন্তাই করেনি। সন্ধ্যাও দিপুকে দেখে চমকে উঠলো। মুহূর্তটা ফ্রিজ হয়ে থাকলো কিছুক্ষন। দিপুই প্রথম প্রকৃতিস্থ হলো। সন্ধাকে এড়িয়ে ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসারকে জিজ্ঞেস করলো রোগীর আত্নীয় স্বজন কেউ আছে কি না।
সৃজনশীল প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের কাছে কোন ভীতি নয়। ভীতি অভিভাবকদের কাছে আর ফাঁকিবাজ শিক্ষকদের কাছে। শিক্ষার্থীরা এসব প্রশ্নের চমৎকার উত্তর দিতে জানে। আমার অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি যেসব শিক্ষার্থী চিন্তাশীল-সৃজনশীল ও ভাষায় দক্ষ তারা খুব সহজে এর উত্তর দেয়ার কৌশল বুঝে ফেলতে পারে। অর্থাৎ যাদের মধ্যে কোন বিষয়কে সংক্ষেপিত বা বিশ্লেষিত করার দক্ষতা তৈরি হয়েছে বা যারা বিষয়ের সারমর্ম বা মর্মার্থ সহজে উপলব্ধি করতে প
যে পৃথিবী না-মানুষের
সেই পৃথিবীতে বাঁচি দিন শেষে।
প্রতি সন্ধ্যেবেলা শকুন ঘোরে হাওয়ায়
আধুনিক গেরস্তের ঘরে ঢুকে খেয়ে যায় হৃদয়-
কিছুই হয়নি ভেবে নির্লিপ্ততা গ্রাস করে
ধারহীন নেইলকাটারে নখ কাটি-
ইউটিউব খেতে থাকি চা-সিগ্রেটের সাথে।
প্রতি সন্ধ্যেবেলা-
একটা মানুষ একটু একটু করে মরে যায়।
"হ্যালো, তুলি?" ফোনের ওপাশ থেকে অন্বেষার গলা।
হেসে বলি, "হ্যাঁ রে টেঁপি, আমি। বল।"
অন্বেষা বেশ অনেকদিন টেঁপিতে আপত্তি করতো না, ভেবেছিলাম বুঝি ওর অভ্যাস হয়ে গেছে, কিন্তু আজকে ওপাশে সে রেগে ফায়ার, বলে, "তোকে বলেছিলাম টেঁপি বলে না ডাকতে। বন্ধুর একটা কথা রাখতে পারিস না?"
অনেকদিন একটা উপন্যাস টানা পড়ে শেষ করলাম- উইলিয়াম গোল্ডিং এর 'Lord of the Flies'। পড়তে পড়তে প্রথমত যেটা অনুভব করলাম সেটা হল সামাজিক বিজ্ঞানের (আরো বিশেষ করে বললে নৃবিজ্ঞানের) দীর্ঘ চার বছরের প্রশিক্ষণ আমার সাহিত্যপাঠের দৃষ্টিভঙ্গি ও ধরণকে অনেকটাই পালটে দিয়েছে, হয়ত বলা যায় সমৃদ্ধও করেছে। আগে যখন পড়তাম তখন কেবল শব্দের খেলা, লেখার শৈলী, চরিত্রের নিরিখে গদ্যের মাহাত্ম্য অবলোকন করতাম, তারও আগে স্রেফ নাম
প্রতি বছর চেয়ার ভেঙ্গে পড়ে যেয়ে ২৫ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে সারা বিশ্বে।
প্রতি বছর রুটি গরমের টোস্টার বিস্ফোরিত হয়ে ৩০ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে সারা বিশ্বে।
হাসপাতালে আমাদের রোজকার ডিউটি বারো ঘন্টার শিফটে হলেও অ্যাডমিশন ডিউটি থাকতো টানা চব্বিশ ঘন্টার। আর চব্বিশ ঘন্টা ডিউটি প্রায় সবসময়েই তিরিশ ঘন্টা ছাড়িয়ে যেতো। কারন অ্যাডমিশনের পরে দিন সকালবেলা আগের পুরো দিনে ভর্তি হওয়া সব পেশেন্ট দেখে , কোন ঝামেলা হলে সেইটা সামলে, আউটোডোরে চার ঘন্টা বসে ওখানে আসা পেশেন্ট দেখা শেষ করে তারপর ছুটি।
বাংলা অনুবাদে ‘বন্দরের বাজার’ বললেই তো মনটা উল্লসিত হয়ে ঊঠে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের অনেক নৌবন্দরে ভুরিভোজের আনন্দময় অভিজ্ঞতা আছে। গোয়ালন্দ ঘাটের সেই ঝুপড়ি হোটেলে মধ্যরাতে ইলিশ মাছের ঝোলে মাখা মোটা চালের ভাত আর মাওয়া ঘাটের টমেটো মেশানো কাতল মাছের পেটি খাওয়ার সুখস্মৃতি দুই দশক পেরিয়ে গেলেও তো ভুলতে পারিনি আজও। মাছেভাতে এক বাঙালির জন্মভুমি থেকে সাত সমুদ্র আর তের নদী পেরিয়ে সুদূর মন্তেভিদেওতে গ্রীষ্মের এক মধ্যাহ্নভোজের অভিজ্ঞতা নিয়েই আজকের এই আয়োজন।
Mercado del Puerto মানে পোর্ট মার্কেট। অবস্থান একেবারে উরুগুয়ের রাজধানী মন্তেভিদেওর নৌবন্দরের মূল ফটকের উল্টোদিকে। কলোনিয়াল স্থাপত্যশৈলীর এই ভবনটি স্প্যানিশরা প্রায় দুই শতক আগে বানিয়েছিল প্রাতাহিক বাজার হিসেবেই। মাছ, মাংস, ফল, সবজি সবই কেনাবাচা হত সেইসময়। কালের বিবর্তনে এই ভবন আজ রূপান্তরিত হয়েছে নিরামিষীদের নরকে! ১০০% মেছো বাঙ্গালীও খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না এখানে গিয়ে! এই দুই শ্রেণীর বাইরে যারা আছে তারা সাদরে আমন্ত্রিত সপ্তাহের প্রতিটি দিন মধ্যাহ্নভোজের স্বর্গীয় সুখের অন্বেষণে!