হালের গরু বিকিয়ে গেছে, হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে ধান ফলাবার এক টুকরো জমিটাও। শত্রুসৈন্যের হাতে পড়বে এই ভয়ে জেলেদের নৌকা গুলো পর্যন্ত নিয়ে নেওয়া হয়েছে। গ্রামে কাজ নেই, ভাতও নেই। ভিটে মাটিটা পর্যন্ত বিক্রি করেও চাল জোটানো দুস্কর। গেরস্থালীর বিগ্রহ গুলো পর্যন্ত অভুক্ত, দেবতার ভোগে দেবার মতও কিছু নেই। বাজারে চালের দাম চড়ে যাচ্ছে। উধাও হয়ে যাচ্ছে ধানের সঞ্চয়। কেউ বলছে সরকার সরিয়ে নিয়েছে জাপানীদের হাতে পড়বে
[justify]মেলাটার নাম রাঙতা। আয়োজনে এক ঝাঁক বোকাটে ক্ষ্যাপাটে পাগলাটে মেয়ে। এরা সবকিছুর সাথে রাজনীতি মিশায়। সুশীলতার খাতিরে এরা 'অতীত ভুলে মিলেমিশে' থাকে না, পাকিপ্রেমীদের সাথে 'সুইট করে কথা' বলে না। 'ম্যারি মি আফ্রিদি' আর 'পাকি লন' ঘরানার 'আপ্পি'দের দাবড়ানি দিয়ে এরা কীবোর্ড ক্ষয় করে
মেয়েটি পিছন থেকে আস্তে আস্তে হেঁটে কাছে এসে ডাক দিল, ভাইজান!
যুবকটি ফিরে না তাকিয়েই মাথা ঝাঁকাল অল্প, মুখে কিছু বলল না। মেয়েটি বসে পড়ল পাশে। কিছু সময় কেটে গেল চুপচাপ। উপরে মেঘমুক্ত আকাশ, হাল্কা বাতাস দিচ্ছে। চকচকে চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে বাগান। মধ্যরাত পেরিয়ে গেছে সেই কখন! ভোর হবে কিছু পরেই। সাধারণত এই সময় এরকম বাইরে থাকলে আম্মি মানবতী কবর থেকে উঠে এসে বকে ফিরাতে নিয়ে আসেন, কিন্তু আজ এখনো তার সাড়া নেই। ভালই, ভাবে মেয়েটি। তারপর আচমকা সে জিজ্ঞাস করে,
আচ্ছা ভাইজান, আব্বাকে আপনি সত্যই ভাই বলে ডাকতেন?
বিষণ্ণ যুবকটি ফিক করে হেসে ফেলে বলে, হ্যাঁ তো!
জালালের গল্প মুক্তি পেয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। যত দূর মনে পড়ে, প্রথম সপ্তাহেই দেখেছিলাম। তখনও সচলায়তনে লেখা শুরু করিনি, তাই জালালের গল্প নিয়ে কিছু লেখা হয়নি। গত মাস থেকে সিনেমাটির একটি হাই কোয়ালিটি প্রিন্ট ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে যেটির লিঙ্ক সিনেমাটির ফেইসবুক পেইজেই শেয়ার করা হয়। ইদানীং কোন কাজ না থাকার সুবাদে এবং কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে করছিল বলে, এছাড়াও, জালালের গল্প সাম্প্রতিক সময়ের অত্যন্ত গু
কোনখানে এক নারী ছিলেন, বয়স ৩০ ঘেঁষা। মানুষ তাকে প্রশ্ন করে- এখনো সন্তান হল না? তার একেকদিনের উত্তর একেক রকম হয়, কিন্তু তাদের সবসময়ের সাথী হয় জোর করে আনা হাসি।
“না, এখনো নয়”- মৃদু হাসতে হাসতে হতাশা ঢেকে বলা তার উত্তর!
যাবার আগে মানুষেরা বলা যায় “সারা জীবনের জন্য অপেক্ষা কর না। সময় এগিয়ে আসছে, জানো তো?”
তারা বিদায় নেয়। মহিলা তাঁর হাসি ধরে রাখেন। আর একাকী, সে কাঁদে।
[justify]
ইদানীং "চাপাতি-খারাবি ইউনিট (চা-খাই)" এর ডিরেক্টর মাসুদ সাহেবকে বেশ তটস্থ থাকতে হচ্ছে, সবই অবশ্য মিডিয়া আর ব্লগারদের জন্য। তার মুখটা তিতা হয়ে যায়, দেশে গুলিতে মানুষ মরে, টেটা বর্শাতে মানুষ মরে, এমনকি রিকশা চাপা পড়ে মানুষ মরে। কই, সেইগুলা নিয়েতো জঙ্গিদের কাজ বলে কান্নাকাটি শুরু হয় না! যত দোষ চাপাতির! রাগ চেপে গণিতে চৌকস এনালিস্ট কুদ্দুসকে ডেকে সবগুলা খুনের মাঝের যোগসূত্র বের করার দায়িত্ব দেন তিনি।
দুর্গন্ধে মা’র কাছে যাওয়া যায় না। দাঁত মুখ খিঁচে দরজায় দাঁড়িয়ে শফিক জিজ্ঞাস করল, “আমি বাইরে যাইতাছি। তোমার কিছু লাগব?”
সফুরা বেগমের গলার নীচ থেকে পুরো শরীর প্যারালাইজড। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে তার সব কিছু করে দিতে হয়। পেশাপ-পায়খানা তার বিছানাতেই হয়ে যায়। প্রচুর টাকা দিয়ে বয়স্ক মত এক কাজের মহিলা রাখা হয়েছে। সেও একদিন আসেতো দুইদিন আসে না। এ ব্যাপারে তাকে কিছু বলাও যায় না। কিছু বললেই কাজ ছেড়ে দেবার হুমকি দেয়। চেঁচিয়ে বলে,”বুইড়া মাইনষের গু-মুত আমি পরিষ্কার করমু না। আল্লাগো আল্লা কি গন্নের গন্ন…ওয়াক থুঃ!”
সানগ্লাসটার জন্যই যা একটু মন খারাপ হয়।
ভারি ফ্রেম আর বড় কাঁচ, এইধরনের সানগ্লাস ক'টাই বা চোখে পড়ে আজকাল? মানুষের রুচি বদলায়, সেই সাথে প্রযুক্তি। এখন সময় মিনিয়েচারের। টুথপিকের মতো ফিনফিনে ডাঁটি, তার সাথে কোনমতে আটকে থাকা দুফালি সরু কাঁচ - রিমলেস। ওতে কি আর চোখ ঢাকে? সানগ্লাস তো নয়, যেন নাকের বিকিনি।