৬০-দশকের শেষের দিক তখন। অনেকটা রুটিন মতই যথারীতি দেরীতে গতরাতে হলে ফিরেছি। ফলে অন্যদের সকাল হয়ে গেলেও তখনো আমি বিছানায়। এছাড়া দিনটি ছিল রবিবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশ বন্ধ। হঠাৎ শুনি কে যেন আমাকে ডাকছে আমার ডাক নাম ধরে। এখানে সাধারণত কেউ আমাকে ডাক নামে ডাকে না। চোখ খুলে দেখি পন্ডিত স্যার আমার বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকছেন - স্বপন, ওঠো।
- স্যার আপনি? - ধড়মড় করে ওঠে বসে প্রশ্ন করলাম।
মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই দেখি সিনিয়ররা খালি ভয় দেখায় যে মেডিকেল ভাইভা মানে নাকি পুলসিরাত পাড়,পার্থক্য একটাই এক্ষেত্রে পুলসিরাতের ওই পাড়ে কোন জান্নাত নাই, খালি পুলসিরাত আর পুলসিরাত । আমি ভেবেছি হুদাই, ভাইভা আর এমন কি, পড়ব, প্রশ্ন করবে, উত্তর দিব, ঝামেলা শেষ, লিখতে হবে না ,কষ্ট কম। তাই ভয় টয় পাই নি ( বলদের নাকি কলিজা বড় থাকে ,আমার কলিজা হাতির সমান!
“বিতংস” লেখকের কলম থেকে...
(১)
-“হ্যালো, আমি চিত্রলেখা আর্ট গ্যালারী থেকে নটরাজ দে বলছি। অ্যাকাডেমির লাইব্রেরিয়ান-এর সাথে একটু কথা বলা যাবে প্লিজ?”
-“চীফ্ লাইব্রেরিয়ান অরুণ বসাক বলছি, বলুন কি ব্যাপার?”
[justify]১
১

বাংলা ভাষা আমাদের ঐতিহ্য , আমাদের প্রাণ। ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলা আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে
আমরা তিনজন । দুজনের কাছে একটা করে টাকা আর তৃতীয় জনের কাছে একটা আধুলি । তিন টাকা দিয়ে আধ ঘণ্টার জন্য সাইকেল ভাড়া পাওয়া যায় । আড়াই টাকা দিয়ে হয়না - তাতে কি? আমরা বাঙ্গালির ছেলে - দরাদরি করতে জানি । আড়াই টাকাতেই রফা হল
FIFO রোস্টারে কাজ করছি, এইজন্য সময় পাইনা। ছুটির দিন ফুতকারে উড়ে যায়; কাজের দিন গত ও আগত ছুটির দিনের কথা ভেবে। পড়ি কিন্তু লেখা হয়ে ওঠেনা। অনেকদিনে পড়া মনের জং ছাড়াতে লেখা।
.......................................................................................................
১.
আমার কোন গল্প ছিল না।
গল্প হবার জন্য উঠোন লাগে, তিরতির করে চলা রূপেশ্বরী নদী লাগে, খুব ভোরেতে শিউলি ফুলের গন্ধ লাগে। আর লাগে শীতলাপূজায় হরেন চাটুজ্জ্যের বাড়িতে স্নিগ্ধাদির বানানো আতপ চালের পিঠা।
আমার কোন গল্প ছিল না। আমার ছেলেবেলা সাক্ষী হয়ে আছে শুধু বড় হুজুরের আলিফ জাল দাল নুন লাম মিমের, আমার ছোট্ট পিঠ সাক্ষী হয়ে আছে শুধু হুজুরের হাতে হুশ হুশ করে বাতাসে শব্দ তোলা চিকন কঞ্চি বেতের।