মনে করুন আপনি একজন চিত্রশিল্পী। যেমন তেমন শিল্পী না, চিত্রাঙ্কনের জটিল সব প্রক্রিয়া আপনার নখদর্পনে। যেকোন লোকের চেহারা বা যেকোন জিনিস হুবহু এঁকে ফেলা আপনার কাছে কোন ব্যাপারই না। রং, আলো-ছায়ার ব্যবহার, দর্শানুপাত, গঠনপ্রকৃতি, মাধ্যম এসব আপনি গুলে খেয়েছেন। যে যেটাই আপনার কাছে এঁকে দেবার আবদার করুক না কেন, আপনি এঁকে ফেলতে পারেন। এখন ভাবুন আপনি এমন একটা ছবি আকতে চান যাতে কোন "কিছু"-র উপস্থিতি থাকবে না। ধরা যাক, আপনার উদ্দেশ্য দর্শকের কাছে আপনি আপনার গতিপ্রকৃতি, আপনার চলাফেরা, স্থানপরিবর্তনের যে গতিধারা তা তুলে ধরতে চান। কিন্তু কোন ধরনের গতিশীল কিছু বা স্থানান্তর বিষয়ক কোন ঘটনা চিত্রায়িত না করেই আপনি তা করতে চান। কোন কিছু থাকা মানেই কিন্তু সেটা আপনার উদ্দেশ্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়ে হবে। কারণ তাতে কোন ঘটনা বা বস্তুর সাপেক্ষে সেই গতিধারার বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে। যেটাকে আপনি উপস্থাপনের মূল বিষয় করতে যাচ্ছেন তা হয়ে যাচ্ছে আরেক বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। আপনি শুধুমাত্র সেই গতিপ্রকৃতিকেই চিত্রবন্দি করতে চান। কিভাবে করবেন?

ছবিঃ লুসিফার । সময়কালঃ ১৯৪৭।
পরী রাজ্যের মিস ওয়ার্ল্ড হাফসা বানু একটু জিরিয়ে নেবার জন্য বটতলা গ্রামের বটগাছের নীচে বসে নিজের পাখা চুল্কাচ্ছিল। তার যে কি রুপের বাহার তা বলে বোঝাবার নয়। রুপ হবেইবা না কেন? সেতো আর যেনতেন পরী নয়। পরীদের মিস ওয়ার্ল্ড বলে কথা।
[justify]পহেলা ফাল্গুনের পোস্টে ভেসে যাচ্ছে ফেসবুক। রঙের ছটা চারদিকে, স্ক্রল করে যত নিচে নামুন সর্বত্র রঙের ছড়াছড়ি। আমার এখানে রাত। দেশে দিন। বাইরে তুষারপার আর বাতাস। আর দেশে? জানি না। হয়ত রোদ, হয়ত শীত শেষের হাল্কা ঠান্ডা বাতাস। দিন রাতের এই পার্থক্য ব্যাপার না, কল্পনায় ভেসে আসছে সব- ফাগুনের টিএসসি, চারুকলা আর পরিচিত সব মুখ।
বড় প্রতিষ্ঠান আর ছোট প্রতিষ্ঠান - কোনটাতে কাজ করার সুবিধা আর অসুবিধা কি? বর্তমানে এক চাকুরীতে অনেকদিন বসে থাকলে অগ্রগতির সুযোগ কম। কিন্তু পরবর্তী চাকরীতে যাবার আগে ছোট প্রতিষ্ঠানে যাবেন নাকি বড় প্রতিষ্ঠানে?
রাত্রকালে খাবারের পরে
পাতে দুই হাতা আইসক্রিম নিরখিয়া বুঝিনু বসন্ত
নজদিক।
মাঘের দুবলা জারে জারেজার হয়ে যবে সকালে খন্তার ঘায়ে প্রস্ফুটিত আঁবখানি 'পরে
কুসুমগরম এক পুল্টিশ ধরে
নকশী খেতার নিচে গুটিশুটি সান্ধায়েছি যেই
হোসনে আরা এক ঠ্যাং অধমের কোমরে তুলিয়া নাচাইয়া বলে, খেলা-জান
একখানি গল্প বল শুনি।
আমি যদি জন্ম নিতাম জাহাঙ্গীরের কালে
হতাম যদি খাজাঞ্চি তাঁর বাদশাহি টাকশালে
থাকতো তখন হাতের মুঠোয় রাজার কোষের চাবি
ছেড়েই দিতাম বাংলা বিহার উড়িষ্যাদের দাবী।
লখনৌ থেকে বাইজি এনে রোজ বসাতাম আসর
বাজতো বীণা বাজতো বেণু ঝনঝনাতো কাঁসর
নিয়ম করে সন্ধেবেলায় আতর ঠেসে কানে
হেরেমখানার ঠিক লাগোয়া ফুরফুরে বাগানে-
ওহ সে ভারি কাণ্ড হতো, প্রাপ্ত বয়স মতে
সমর কুমার চাকমা আমার কাছের কেউ নয়। বলা যায় পাশের বাড়ির মানুষ। পাশের বাড়ির মানুষেরা তো আমার নিজের বাড়ির মানুষদের মত আপন কেউ নয় আসলে। ওয়াইফাই আর ফোরজি সিগন্যালের কল্যাণে আমরা পুরো বিশ্বের সাথে নিজেদের সংযুক্ত করে ফেলেছি ঠিকই, কিন্তু একই সাথে শত ফুট উঁচু দেয়াল তুলে দিয়েছি নিজের চারপাশে। এই দেয়াল টপকানো সহজ কোন কাজ নয়।

আট।।
পুঁথির অর্থ বাবার কাছে না লুকিয়ে কোন উপায় ছিলো না কিশোরীমাধবের। নারায়ণমাধব বৈষয়িক মানুষ হলেও বিষয় সম্পত্তি যে কী দুর্ভোগ বয়ে আনতে পারে তা তিনি ভালো করেই জানেন। ময়মনসিংহের সমতলে প্রায় অনন্তকাল কাটিয়ে দেওয়া মাধবদেরকে যে আসামের নির্বান্ধব উপত্যকায় চলে আসতে হয়েছে সে তো আর ধর্মের কারণে নয়। তিনি হিন্দু নাকি মুসলিম এই নিয়ে কেউ কোনোদিন মাথা ঘামায় নি। দেশ বিভাগের সময় ঘটে যাওয়া রক্তক্ষয়ী দাঙ্গার কোন প্রভাব পড়েনি সদর থেকে দশ মাইল দূরের ছোট্ট গ্রাম কাৎলাসেনে। যেমন ছিলো তেমনি থেকে গিয়েছে সালাম সরকারের পাটের কারবার। বদলায়নি ব্রহ্মপুত্রের তীর ঘেঁষে ঝাঁকি জাল কাঁধে হেঁটে চলা হারান মণ্ডলের জীবন। পাল পাড়ার বুড়ো কমলেশ এখনও সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে পরখ করে দেখে সারা রাত আগুনে পুড়ে কতোখানি খাঁটি হলো মাটির সরা, খেলনা পুতুল। আউলা কান্দির পুকুর ঘাটে গিয়ে কান পাতলে ঠিক ঠিক শোনা যায় কামাল শেখের তাঁতের আওয়াজ, খটর খট খটর খট খটর খট।