কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
সপ্তদ্বীপ - বসুমতী
পুরাণ ঘেঁটে পাওয়া যায়, আদিতে পৃথিবী (আর্থ) সাতটি অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। এগুলো হলো (১) জম্বুদ্বীপ, (২) লাক্ষাদ্বীপ, (৩) শ্যামলীদ্বীপ, (৪) কুশদ্বীপ, (৫) ক্রৌঞ্চদ্বীপ, (৬) শ্বকদ্বীপ ও (৭) পুষ্করদ্বীপ।
এগুলি আবার সাতটি সাগর দ্বারা বেষ্টিত ছিল। সাগরগুলো আবার এক একটি এক এক ধরনের পদার্থ দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল, যেমন লবনাক্ত জল, ইক্ষুরস, সুরা, ঘি, দধি, দুগ্ধ এবং জল।
রাজকীয় অ্যালবাট্রসদের (Southern Royal Albatross, Diomedea epomophora) ছানা লালন-পালনরত অবস্থায় দেখলে পাখিদের প্রজন্মের ব্যাপারটি স্পষ্ট বোঝা যায়, অর্থাৎ ছানা-তরুণ-বুড়ো পাখিটির বয়সের পার্থক্য খুব সহজেই চোখে পড়ে। সাধারণত ক্ষুদে পাখিদের ক্ষেত্রে ছানারা মা-বাবার চেয়ে ১-২ বছরের ছোট হতে পারে কিন্তু অ্যালবাট্রসদের মত দীর্ঘজীবী পাখিদের ক্ষেত্রে প্রজন্মের ব্যাপারটি স্পষ্ট।
আমি জন্ম নেয়ার পর থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত হতে চেয়েছি অনেক কিছুই তবে ছোটবেলাতে সবচেয়ে বেশী যেটা মনে মনে হতে চেয়েছি তা হল সিন্ডারেলা। সেটা কি সিন্ডারেলার গুনে নাকি তার রাজপুত্রের রূপের গুনে সেটা এখন আর মনে নেই। সিন্ডারেলা হওয়ার জন্য আমি কি না করতাম !
বারান্দায় দাড়াতেই অলিভিয়ার চোখে চোখ পড়লো, একটু হাসি দিয়ে অন্যদিকে আমি তাকালাম। অলিভিয়া সুন্দর করে সিগারেট টানে,ফুসফুসে নিকোটিনের ধোয়াগুলো নিয়ে নাক-মুখ দিয়ে ছেড়ে দেয়,ওর এই শৈল্পিক সিগারেট টানার ভঙ্গি দেখে তখন মনেহয় সৃষ্টিকর্তা এই মেয়েটার জন্যই হয়তো সিগারেট নামক বস্তুটির উপাদান দিয়েছিল পৃথিবীতে!
ভট্টাচার্যদের বটগাছে আবার সাধুবাবার আছর হয়েছে- সঙ্গে আছে কয়েকশ’ ভুত-প্রেত। ভুত-প্রেত কারো ঘাড় মটকায়নি। তবে মটকাতে কতক্ষণ! গাঁয়ের লোক তাই ভয়ে-আতঙ্কে তটস্থ। তাছাড়া ভয় পাওয়াটা আবহমান গ্রাম-বাংলার জীবনযাত্রারই অবিচ্ছেদ্য অংশ; মরণনেশা। আর এই নেশা নিয়েই নদীর ঘাটে চলে বিস্তর পর্যালোচনা।
বেশ ছোটবেলার কথা। আমার বয়েস তখন ১০-১২ বছর হবে। জন্মদিনে উপহার পেলাম একটা 'ব্রাউনি বক্স ক্যামেরা।' দেখতে একটা ছোট জুতার বাক্সের মত এই ক্যামেরাটা, তবে জুতার বাক্স যেমন সাধারনত সাদা রঙের হয় তার বদলে এটি ছিল কাল। ছবি তোলার বদলে এটি আমি আমার ‘স্ট্যাটাস সিমবল’ হিসাবে বেশি ব্যাবহার করার সুযোগ পেলাম। তখনকার দিনে এই ক্যামেরাতে ব্যবহার করতে হত ১২০ সাইজের ফিল্ম। তখন সাদা-কালোর দুনিয়া। রঙ্গিন ফিল্ম তখনও শুর
"তিনি একজন কবি যিনি দার্শনিক তত্ত্বের চেয়ে বরং মৃত্যুর কাছাকাছি, বুদ্ধির চেয়ে বরং দুঃখের যন্ত্রণার কাছাকাছি, কালির চাইতে বরং রক্তের কাছাকাছি" — পাবলো নেরুদা সম্পর্কে এমনটিই বলেছিলেন ফেদেরিকো গার্থিয়া লোর্কা। ১৯৭১ সালে নোবেল বিজয়ী নেরুদাকে "আচ্ছন্ন করে তাঁর জন্মভূমি-- অত্যাচারিত দিগ্বিজয়ীদের দ্বারা যে ভূমি ধর্ষিত হয়েছে বারংবার। নিজেকে তিনি নির্বাসিত করেছেন, অসংখ্যবার নির্যাতিত হয়েছেন, কিন্তু কখনো থামেন নি। অত্যাচারিতের সহযাত্রী তো সারা পৃথিবী জুড়েই। তাদেরই তিনি খুঁজেছেন এবং শেষে ধর্ষিত মানবমর্যাদার কবি হয়ে দাঁড়িয়েছেন"। তাই তো তাঁর কবিতার পাঠে আমাদের রক্তে যুগপৎ খেলে যায় প্রেম ও বিপ্লব।
এক দুপুরের বৈশাখ ও কিছু মর্মান্তিক অনুভূতি