(বাঁচতে হলে জানতে হবে টাইপ কথাবার্তা আছে ভেতরে ... বেশি ছোটরা না পড়াই ভাল)
আমার বিবাহিত জীবন প্রায় ছয় বছর ছুঁই ছুঁই করছে। বাচ্চা কাচ্চা নেয়ার কোন রকম অবকাশ পাই নাই এর মধ্যে। যখন বিয়ে করি তখন বউয়ের বুয়েট লাইফের ৩য় বর্ষ ... ২১তম বিসিএস-এর কল্যানে আমি কেবল গণপূর্ততে যোগদান করেছি আর ওদিকে পি.এইচ.ডি করার জন্য জাপান সরকারের বৃত্তি হবে হবে করছে। মাত্র চার মাস চাকুরী করেই একা জাপান চলে গেলাম...
আমাদের সামনের রাস্তায় প্রথম যেদিন বাস চলল সেদিন আমরা ভাবলাম পৃথিবীটা আক্ষরিক অর্থেই ছোট হয়ে আসছে, খুশী হলাম, এবং মাত্র আধমাইল দুরবর্তী আদমপুর বাজারে যাবার বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে বুঝলাম প্রখর রৌদ্রে বসে থাকার মধ্যেও আনন্দ আছে। তাছাড়া বাসগুলোতে নতুন নতুন হিন্দী গান বাজছিল বলে আরেক ধরনের রোমাঞ্চ অনুভব করলাম মনে, প্রকৃতপক্ষে বাসের চারটি চাকা মানুষকে যার যার গন্তব্যে নেয়া ছাড়াও আর কি কি করতে সক্ষ
আমার একমাত্র দিদির যখন বিয়ে হয়েছে সি সময় আমি ক্লাস ফাইভ এ পড়ি। আমি তখন পুঁচকে, বয়েস নয় কি দশ
দিদির বিয়ে হয়ে যাবার প্রায় পনেরো বছর অবদি আমাদের বাসায় মহিলা বলতে মা ছাড়া আর কেউ নেই। আজো মনে পড়ে ছোটবেলা মাকে অনেক সাধাসাধি করতাম একটা ছোট্ট বোন এনে দেবার জন্য। বলতে কোনো বাধা নেই বাড়ীতে অন্য কোন মহিলা না থাকায় সেই সময় কোনো রকম লাজ লজ্জা ছাড়াই নির্ভাবনায় আমরা আমাদের জামাকাপড় পাল্টাতাম
...
আমার নিজের উপর আস্থার কোন অভাব নাই তাই ভার্সিটি পরীক্ষার জন্য যখন শুধু মাত্র একটা ফরম কিনলাম তখন বাসার সবাই খুব চেচামেচি করলেও আমি তেমন একটা পাত্তা দিলাম না। ভাবখানা এমন যে এইটা আর এমন কঠিন কি? কিন্তু ব্যাপার টের পাইলাম পরীক্ষা দিয়ে, বুঝলাম অবস্থা সুবিধার না। তাই পরীক্ষার কয়েকদিন পর যখন পত্রিকার পাতায় রেজাল্ট খুজে পাইলাম না তখন খুব একট আশ্চার্য হলাম না।
আমি আশ্চার্য না হইলে ...
যে তুমি বলেছিলে শেষরাতে ঘুমোতে পারনা ইদানিং
বেড়ে যায় পেচ্ছাবের বেগ
নেতাবন নিয়ে বড় যৌনকাতরতায় কাটে রাত
আহা অরক্ষিত দেশে শুধু গুলিবাজি বোমফাটানির শব্দে
তোমার সদ্য প্রসূত কন্যা কেঁপে কেঁপে ওঠে
কারা মরে যায়- কারা মারে-কারা যায় কারাগারে।
সারাদিন মাটিকাটা শেষে আব্দুল ঘুমের ভেতর
হাসে। তার হাতে মাধুরীর ছবি। বালিশের নীচে আছরের তাবিজ।
তবু আছর করেছিলো ভর তোমার ওপর
যে তুমি বলেছিলে ...
১.
বসন্ত আসতে এখন হপ্তা দুই বাকি। হাঁড় কাঁপানো শীত তারও আগে চেহারায় কমলা রঙের পট্টি লাগিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। মাঝে মাঝে ইতিউতি উকিঝুঁকি দিলেও তেমন কাউট্টাকামড় দেয়ার আর সুযোগ পাচ্ছে না বেচারা। সেদিন তো বেশ ঘটা করেই সূর্য্যিমামা গনগনে ভাব নিয়ে জানান দিয়ে গেলো "শীত মিয়া তোমার আর বেইল নাই!" [এর মধ্যে জনৈক মোটারাম মোঢিমু, সন্ন্যাসী দাদুর দেশীয় ললনাযোগে বরফের ফটুক কেমনে তোলে সেইটা তদন্ত...
মাঝে মাঝে মনে হয় হারিয়ে গেছি, যেখানে আমার থাকার কথা ছিলো সেখানে আমি নেই। বাড়ী ফেরার পথ কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছি না, এদিকে সন্ধ্যার অন্ধকার দিকদিগন্ত আচ্ছন্ন করে নেমে আসছে ঘুম-আসা চোখের পাতার মত। পথ খুঁজে আর কিকরে পাবো, আলো থাকতে থাকতেই পেলাম না, এখন এত অন্ধকারে কিকরে আর....
[justify]ব এর সাথে ন এর খুব দোস্তি ছিলো। প্রায়ই তারা একসাথে ঘোরাঘুরি করতো। ভবনে, পবনে, বনে, জীবনে, যৌবনে।
ড় এর সাথেও ন এর সম্পর্ক ভালো ছিলো। তাই তার সাথেও সে ঘোরাঘুরি করতো, প্রায়ই। তাড়না, বুঝলেন, তাড়না।
একদিন ন এর সাথে দেখা হলো ব-এ শূন্য র এর। ন একগাল আহ্লাদি হাসি নিয়ে র এর পাশে গিয়ে বসলো।
র চোখ লাল করে কিছুক্ষণ আগাপাস্তলা ন কে খুঁটিয়ে দেখে, বললো, "তর মাথায় টুপি ক্যা?"
ন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ব...
অনেকের কোন কিছু হয়ে ওঠা হয় না। অনেকে সেটা শুরুতেই বুঝে যায় যে তাদের কিছু হয়ে ওঠা হবে না। তখন তারা একধরনের হাল ছেড়ে দেয়া অনুভবে ভাসতে থাকে। তারপরে একটা সময়ে সেই এলিয়ে পড়া অনুভূতিটাই তাদেরকে অভ্যস্ত করে ফেলে দৈনন্দিন ঘটনাবলীতে। তারা বুঝে ফেলে যে এই কোন কিছু না হয়ে ওঠা, কোনকিছু না করে ফেলাটাই একটা বড়ো কঠিন কাজ। এবং এরকম ক্রিয়াটি সুসম্পন্ন হলে তারা তৃপ্ত হয়।
আমিও ধীরে ধীরে কোনকিছু ...
[চলমান সতর্কবাণী ঃ এই সিরিজের পর্বে পর্বে বর্ণিত চরিত্রে কিংবা ঘটনাচিত্র প্রবাহে কেউ কোনরূপ সাদৃশ্য বা মিল খুঁজিয়া পাইলে তাহা ব্যক্তির স্বেচ্ছাকল্পিত অতি সৃজনশীলতা বলিয়া গণ্য হইবে]
দেশের বাইরে থেকে মেলায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করতে না পেরে প্রবাসী যাঁরা এবারের মেলা নিয়ে খুব আগ্রহী ও কৌতূহলী ছিলেন, তাঁদের মনোযাতনা কিছুটা হলেও আঁচ কর...