স্কুলে 'সপ্তর্ষি' অর্থাত্ আমরা সাত বিচ্ছু ছিলাম অতি কুখ্যাত ! পড়াশুনোয় মন্দ ছিলাম না , এক থেকে দশেই আটকে থাকতো সবার রোল নাম্বার...সেকারনেই অনেকবার মরতে মরতেও বেঁচে গেছি | ক্লাস নাইনে তখন , সময়টা ২০০১...টিচাররাও মোটামুটি হাল ছেড়ে দিয়েছেন এই ভেবে --চলেই তো যাচ্ছে মেয়েগুলো ; আর তো মাত্র কটা দিন !! মাধ্যমিকে ঐচ্ছিক বিষয় ছিলো কম্পিউটার; জিনিষটার কিছুই বুঝি না তবু ফাঁক পেলেই ঘাঁটাঘাঁটি করি .....
পশ্চিম আফ্রিকায় পদার্পণের সাড়ে ৩ মাস পেরিয়ে গেল। দিন তারিখ দ্রুত বদলাচ্ছে । পঞ্জিকার পাতা ওল্টাতে মনে থাকে না। প্রতিদিন দিনপঞ্জিতে প্রবাসজীবনের টুকিটাকি নিয়ে অন্তত ২-১ লাইন লেখার পরিকল্পনা থাকলেও মাসে একবারও লেখা হয় কি হয় না। কোন কোন রাতে হঠাৎ আবিষ্কার করি আজ পূর্নিমা। টিক দিয়ে রাখা ওয়েবপেজে দ্বিতীয়বার ঢোকা হয় না। অন্তর্জালের অপব্যবহার করে নামিয়ে নেয়া গানগুলোও বেশিরভাগ সম...
সোহে ইমামুরা ( ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯২৬ - ৩০ মে ২০০৬)
ওবাসুদ নামে জাপানে একটা প্রথা চালু ছিল ছোট ছোট কয়েকটা গোত্রের মধ্যে।বয়স সত্তর পেরোলে তাদের কোন নির্জন পাহাড়ের উপর নিয়ে রেখে আসা হয়।আস্তে আস্তে তারা ক্ষুধায়, পানিশূন্যতায় মারা পড়ে। মৃত্যু নিয়ে কতরকম প্রথা চালু আছে বা ছিল তার ইয়ত্তা নাই। ভাবেন সহমরণের ব্যাপারটা, আমাদের উপমহাদেশেই চালু ছিল। কি ভয়ানক!
...
সচলায়তনে লেখার মান নিয়ে নানান কথা হয়। সেইসব কথার সাথে আমার যে তেমন দ্বিমত আছে তাও না। বাজে পোস্টগুলির নমুনা দেখি। শঙ্কিত হই নিজের লেখাজোখা নিয়ে। বাংলা ব্লগিঙের শুরু থেকে কালিরামের ঢোল ফাটিয়ে নেচে চলেছি বলে কখনো ভাবতে চেষ্টাও করিনি পাঠকরা হঠাৎ একদিন "বল হরি" শুরু করলে কোন্দিক যাবো। এইসব ভাবনা কান টেনে চাঁদিতে ঠুয়া মারে। ঠিক কোন স্কেলে টিউন করত...
এটা অ্যাজটেক উপকথা। মহান সর্পদেবতা কেট্জালকোয়াটল এর গল্প।
কেট্জালকোয়াটল ছিলো দেবতাদের নগরীর সর্বজনশ্রদ্ধেয় রাজা। বিশুদ্ধ, নিষ্পাপ ও পরম উত্তম। জাগতিক কামনাবাসনা তাকে তখনো স্পর্শ করতে পারে নি। কোনো কাজই তাঁর কাছে হীন কাজ ছিলো না, সে রাজা হয়েও অনায়াসে পথঘাট ঝাঁট দিতো মস্ত এক ঝাড়ু নিয়ে, যাতে বৃষ্টিদেবতারা তারপরে এসে ভালোভাবে বৃষ্টি দিতে পারেন।
কেট্জালকোয়াটল এর এক কু ...
ত্রিমাত্রিক চিত্র সৃষ্টি তে এক ধরনের স্বাধীনতা আছে যা ফটোগ্রাফিতে নেই। ক্যামেরায় ধরা দেয়া দৃশ্য বা মুহূর্তের কাছে ফটোগ্রাফারের অস্তিত্বের মুল্য নেই বললে ই চলে। ফটোগ্রাফার কেবল অজুহাত। প্রকৃতি তাকে সুযোগ দিয়েছে নিজের অপরুপ আরেকটি পলের ঝিকিয়ে ওঠা আলোটুকু সঞ্চয় করার। এইতো। ভালো ফটোগ্রাফার কেবল ওই মুহূর্তটুকু চিনে নেয় ...... এইতো তার কাজ।
যখনি কোন ছবি তুলেছি, মনে ক্ষোভ রয়ে গিয়ে...
শূন্যের গভীর নীলে দৃষ্টির সাঁতার, যেন ফেলে এসেছো
লোকালয় থেকে বহুদূরে
আত্মার উজ্জ্বল স্থিতি জীবনের অব্যক্ত ভার
সুখ নয়, জ্বালা নয়, গোঙ্গানীর কারুকার্য নয়,
তোমারে সুন্দর করে নির্মোহ বিষাদ!
উদাস-উদাসী থাকো
বিষন্ন মেঘলা দিনে একদা হঠাৎ
পেয়ে যাবে , আমি জানি
আত্ম-উন্মীলনে পোড়া জীবাশ্মের স্বাদ!
সেইখানে বইবেনা আগামীর ব্যস্ততম নদী, নৃত্যপারঙ্গমা কোনো মাছের চলন
দেবদারু পাখা ঢাকা কংক...
[justify]
ফুটোস্কোপিক গল্প হচ্ছে ফুটোস্কোপ দিয়ে দেখা গল্প। সামান্যই দেখা যায়।
"মিলুদা, কই, লেখা শেষ হোলো?"
জীবনানন্দ হাসিমুখে ঘাড় নাড়েন। পাড়ার ছোকরাগুলি কয়েকদিন ধরে খুব জ্বালাচ্ছে।
দিন কয়েক আগে তিনি বাজারের মোড়ে ব্যাটাদের কথাচ্ছলে জানিয়েছিলেন তাঁর কবিতার কথা।
"এই কবিতাটা, বুঝলে, অনেক লোকে মনে রাখবে।" মৃদুস্বরে বলেছিলেন জীবনানন্দ।
"কবিতার নাম কী রাখলে মিলুদা?"
"বলবো, আগে ল...
১. হোয়াট'স সো 'গুড' অ্যাবাউট 'বাই'?!
অক্টোবরের ১৮-তে লন্ডনে বউয়ের কাছে চ'লে গ্যালো এক তুলনামূলক দীর্ঘকালের তুলনামূলক ভালো বন্ধু। বেশ ক'বছরের জন্যই গ্যালো।
ঘর-পরিবার ছেড়ে আমার একলা হয়ে যাওয়ার প্রাচীন প্রকল্পে, সেই ২০০৬ সালে, প্রথম ধাপ হিসেবে যে দুই অনুজপ্রতিম সহদল নাট্যবন্ধুর সঙ্গে উঠেছিলাম 'অন্যপুর' নাম দিয়ে একটা অন্য ফ্ল্যাটের অন্যরকম জীবনে, সে ছিল সেই দু'জনেরই একজন। সে-বছরেরই ...
ডেন্টাল ভাস্করের প্রকৃত নাম ভাস্কর নিবেদন। লাল সালু আন্দোলনের নিবেদিত কর্মী বলে তার নাম ভাস্কর নিবেদন, নাকি তিনি নিবেদন শব্দটি বেশি উচ্চারণ করেন বলে এই নাম, নাকি এটি তার মাতৃপিতৃপ্রদত্ত নাম, তার কিছুই আমি জানি না। ক্যাম্পাসে আসার পর আমি জেনেছি, তিনি চলে যাচ্ছেন। মানে তার পড়ালেখা শেষ, সুতরাং কয়েকবছরের মধ্যেই তিনি ক্যাম্পাস ত্যাগ করবেন। একজন বিদায়ী কমরেডের নাম-রহস্য উদ্ঘাটন না ...