একটা সময় ছিল- সারাক্ষন ভাইবোনেরা মিলে কিচিরমিচির করতাম। এত এত ভাইবোন আর কাজিনদের মাঝে একা একা লাগার কোনো সুযোগই ছিল না। আর বন্ধুরা তো ছিলই। খোঁচাখুচি, মারামারি তো ডেইলি রুটিন এর অংশ ছিল। তবে আর সবার মতই গালাগালি থেকে তা গলাগলি তে আসতেও বেশি সময় নিত না। এইভাবেই স্কুল-কলেজের দিনগুলো কেটে গেল। এরপর থেকে বাসার বাইরে। আস্তে আস্তে নিয়ম করে করা অভিযোগ গুলোর সংখ্যা কমতে লাগলো। আর সেই শ...
আফ্রিকার আরেক উপকথা, এটা পূর্ব কেপ দেশের গল্প। আশেপাশের অন্যান্য নানা দেশে নানা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে এই গল্পের নানা রূপ পাওয়া গেছে। গ্রীক উপকথার কিছু কিছু গল্পের মধ্যে এই গল্পের প্রতিধ্বনি শুনে চমকে উঠতে হয়।
গল্পে চলে যাই এবারে। সে অনেক অনেকদিন আগের কথা। তখন নদীতীরের এক গ্রামে এক মানুষ থাকতো যার ছিলো অনেক জমিজমা গরুভেড়া। বাড়ীঘর ধনদৌলত কোনোকিছুর তার অভাব নেই, কিন্তু তার আপন বল ...
[justify]
বুদ্ধিটা পেয়েছি বুদ্ধির ডিপো জিয়েমের কাছ থেকে। সচলে কবিতা দিলে পুরাটাই শোরুমে চলে আসে বেশির ভাগ সময়, গোডাউনে কিছুই থাকে না। ফলে পাঠকনারায়ণ উইন্ডোশপিং করেই সদর রাস্তা ধরে চলে যান। এমনিতেই কবিতার পাঠকের আকাল, তার উপর আবার এই গেরো! তাই এই বকান্তিস।
এইবার কবিতাটা পড়ুন। ধন্যবাদ।
মাঝরাত্তিরে ঘুমকাড়া মাদীঘোড়া
ঘুমপাড়ানিয়া গুনগুন হ্রেষাগানে
কী বলো? কী চাও বোঝাতে অযথা এসে...
কাল আবার আরেকটা ই-মেইল আসলো। গত দশ দিনে এই নিয়ে তিন নম্বর। জরুরী সাহায্য দরকার, এগিয়ে আসুন। এবার বুয়েটের একজন প্রাক্তন ছাত্র। ই-মেইলেই পেপ্যাল-এর লিঙ্ক দেয়া আছে। যখন সামর্থ্য থাকে আর ইচ্ছে হয়, নির্বিকার নিরাবেগ হয়ে লিঙ্কে ক্লিকাই, কিছু টাকা দেই। কখনো সামর্থ্য হয় না, অথবা প্রয়োজনটা সেভাবে আঘাত করে না, তখন দেই না। দানছত্রও আজকাল মার্কেটিংয়ের ব্যাপার হয়ে গ্যাছে। যে যত ...
( সহমর্মী ষষ্ঠ পান্ডব কে)
পুরোটা বালকবেলা খরচ করে
কিশোরীর হাতে ঘুড়ি হতে চেয়েছিলো সে,
যে ঘুড়ি পাবে বলে
অনেকটা আলপথ এসেছে হেঁটে কিশোর একাকী,
পলিমাটি কাতর বিগতা নদীবুকে
দাঁড়ানো বিষন্ন চিমনীগাছ ছাড়িয়ে
যে ঘুড়ি ওড়ে অনেক ওপরে,
একদম আকাশের বুকের ভেতর -
লাটাইয়ের শৃংখল ছিঁড়ে যে ছোঁয় মেঘের নরম
ঠোঁট; যে ভাসে কোন ভীরুতা ছাড়াই, অনাবিল -
যতক্ষণ না গোধুলী চুমু খায় পাখিদের পালক;
কিংবা তারাদে...
জানি না, ঠিক কতটা পাপ করলে কপালে এমন যন্ত্রনা জুটে। যথারীতি মহা আনন্দে হেসে খেলে দিন চলে যাচ্ছিল আমার, ৩ তলায় থাকি আমি, ২ তলায় দিলারা আপা আর নিচ তলায় অনিকেতদা। কথায় কথায় আমরা একত্রিত হচ্ছি, আমি অখাদ্য কিছু রান্না করলেই উনাদের ডেকে ডেকে মহা আগ্রহ নিয়ে খাওয়াচ্ছি, দিলারা আপাও ভালো কিছু রান্না করলেই, নিয়ে চলে আসেন উপরে, আমরা মিলে ঝিলে খাই। এর চেয়ে সুখের দিন যেন আর হয় না। এর মাঝে হঠাৎ একদ...
বড়োগুপ্ত যতদিন বাড়িতে থাকেন বাঘেরা এদিকে আসে না কেউ। গুপ্তের হাটে বসেই খরগোশ কিংবা কাঁকড়া ধরে খায় না হলে উপোস দিয়ে অপেক্ষা করে কখন বড়োগুপ্ত বাড়ি থেকে যাবেন আর তারা বাঘের কান্দি ঢুকে আবার গরু মহিষ ছাগল মানুষ ধরে নিয়ে যাবে। বড়োগুপ্তের পূর্বপুরুষরা উত্তর থেকে এসে এখানে বসত করার সময় থেকেই এ নিয়ম চালু। পুরো এলাকাটাকে বাঘের কান্দি আর গুপ্তর হাট নামে দুই সীমানায় ভাগ করে ঠিক মাঝামাঝি...
চারিদিকে তখন বিশাল গিয়ানজাম কারণ সাল তখন ২০০৬। মান্নান ভূইয়া আর জলিল সাহেব তখন কোন এক রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে চা নাস্তা খান আর বাইরে বের হয়ে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না। তবে আমি এইসব ব্যাপারে তখন তেমন একটা পাত্তা দিই না কারণ আমি তখন অন্য গিয়ানজামে ব্যস্ত। আমি তখন অন্য গিয়ানজামে ব্যস্ত কারণ হলে আমার সিট দরকার আর হলে সিট পেতে গেলে দরকার লিংকের। আর এরকম এক লিংকের ...
লেটার ফ্রম লাইবেরিয়া আমার লাইবেরিয়া থেকে লেখা দিনপঞ্জি। প্রায় ৬ মাস হলো আমি বাংলাদেশে চলে এসেছি। অনেক এ জানতে চেয়েছেন আমার এই সিরিজ কি শেষ? যেহেতু আমি লাইবেরিয়া থেকে চলে এসেছি সুতরাং লে্টার ফ্রম লাইবেরিয়া নামটা এখন আর উপযুক্ত নয়। তবে এখানে একটা কথা আছে। এই নামেই সবাই আমার ব্লগ পড়েছেন। লাইবেরিয়ার অনেক মজার গল্প এখনো আমার বলা হয় নাই।তাই ঠিক করলাম এই নামটা থাকুক।চলুক যতদিন লাইবে...
এমির কুস্তুরিকার ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ দেখছিলাম সাব্বির ভাইয়ের জহির রায়হান ফিল্ম সোসাইটি। ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ বানানো হয়েছিল মহাকাব্যিক ঢঙ্গে। প্রথম দেখার অনুভূতি এখনো মনে আছে। প্রায় পৌনে তিন ঘন্টার ছবি। মার্কো আর ব্লেকি এই দুই চরিত্রের মধ্যে এমির পুরা যুগোশ্লাভিয়ার ইতিহাস ঘুটা মেরে দিয়েছেন। কুস্তুরিকা আর সাথে মারাদোনা
একটু কুস্তুরিকার সুল ...