সন্ধ্যেবেলা রিকশায় করে বাসায় ফিরছিলাম। খিলগাঁও রেলগেট থেকে বাসাবো। নর্ম্যালী এই দূরত্বটুকু পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিই। কী মনে করে আজ রিকশায় উঠে বসলাম। রিকশায় উঠলেই কী যে হয়, মামারা আমাকে আপন মনে করে তাদের লাইফের সুখ-দুঃখের গল্প জুড়ে দেন। একদিন এক মামা আমাকে তার রিকশা চুরি যাওয়ার কাহিনী শুনিয়েছিলেন। বলা বাহুল্য, রিকশা মালিক ঐ মামাকে এরপর জামাই আদর করেননি। এইসব ঘটনা শুনলে মনটা কেমন হ ...
সরু গলি, চেনা রাস্তা শুধু টানে। যতবার এ-পথ দিয়ে ফিরি ততবার চোখ টেনে ধরি যতদূর যায়। সরব জনপথ, কেবল আমিই কাউকে দেখি না। নিথর আঁখি কাকে খোঁজে!... আজও স্পর্শের ঘ্রাণে দু'চোখ কেন্দবিন্দুতে খোঁপ গেঁড়ে বসে। দূরপথের যাত্রী, নেশাতুর চোখ, অদেখাক্লান্তি লেগে থাকে কপালের ভাঁজে। কাঁচা ঘুমের নেশায় ঢলে পড়ে চোখ। যাতায়াতের জন্য এই একটি মাত্র রাস্তা। গলির কাছাকাছি আসতেই মনের অগোচরে নেশা কাটে। চলন ...
১.
স্বপ্ন নিয়ে কাঁটাছেড়া এ পর্যন্ত নেহায়েত কম হয়নি, কিন্তু সত্যি করে বললে তার কতটুকুই বা আমরা জানি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এটুকু বলা যায় স্বপ্নের কথা প্রায়ই আমার মনে থাকেনা, আর যেটুকুও মনে থাকে সেটুকুও বোধহয় অনেকটাই আটপৌরে। কোন উঁচু স্থান থেকে নিচে পড়ে যাওয়া, পরীক্ষার হলে সময় খুব দ্রুত ফুরিয়ে আসছে অথচ একটি প্রশ্নের উত্তরও ঠিকঠাক দিতে পারছিনা বা কোন কিছু আমাকে তাড়া করছে, আমি ক্রমা ...
আমি সূর্যকে শুধিয়েছি তোমার কথা;
সূর্য হাসে।
চুলে গোঁজা কাঠগোলাপকে
শুধিয়েছি তোমার কথা,
ওরা কথা বলে সুবাসে।
আমি নিত্য বসি যে গাছের ছায়ে,
যে পাখি খেলে শাখে,
ওরা আমায় ডাকে;
তোমার কথা বলবে বলে।
আমার কান ছুয়ে থাকা ঘাসেরা
কথা বলে স্পর্শে স্পর্শে।
আমি প্রকৃতির আদরে আদরে,
জীবনের রঙ-রূপ-গন্ধে,
বেঁধেছি হিয়া এক তন্ময় কাব্যে।
সাবধানে ফেলি পা শিউলিমাখা পথে,
শিউলিরা যদি পায় ব্য ...
আমি কদাচিৎ তার মুখোমুখি হই।
তবুও হঠাৎ কোন নির্জন রাতে, আথবা
আমার একান্ত নিজস্ব সময়ে-
তার সাথে আমার দেখা হয়ে যায়।
পালাতে চেয়েছি বহুবার,
বিদ্রোহ কি করিনি একবারও?
তবু কে জানে কোন সুতার টানে---
আমি মূলত তাকে কেন্দ্র করেই ঘুরছি অনবরত
যেমন চাঁদটা ঘোরে পৃথিবীর পাশে।
সে আমার পৃথিবী নয়, কিংবা আমি তার চাঁদ,
কি জানি, যদি বা হয়ও সেটা আমার দুর্ভাগ্য।
বৃষ্টির রাতে রিক্সাটা যে পথ ধরে এগুচ্ছে, সে পথের শেষে কেবল একটা সিল্কের বোরকা দেখতে পাওয়াটা ভালো কথা নয়। বৃষ্টিস্নাত রাস্তা চকচক করছে। চকচক করছে সিল্কের বোরকা। পর্দায় মুখ ঢাকা। কিন্তু আমি আশংকা করতে পারছি এর আড়ালে কে আছেন।
রিক্সাটা এপথে আর না এগুলে পারে। বোরকা পরিহিত মহিলাটি আর দাঁড়িয়ে না থাকলে পারেন। রাস্তায় আরো চৌদ্দটা মানুষের ভিড়ে সেই মহিলা বা আমার মুখ আড়াল হয়ে যেতে পারে ...
দৈনতা
মো: সহিদুর রহমান সুমন (কীরণ)
জ্ঞানী বোঝে জ্ঞানের কদর, মানী মানীর মান,
মূর্খ কি আর তফাৎ বোঝে, ভাবে সব সমান।
সহজ কথা সহজ করে বুঝতে ক’জন পারে?
সহজ জিনিস পেঁচিয়ে তারা শুধুই জটিল করে।
জটিল বিষয় সহজ করার সাধ্য আছে কার?
উদরে বিদ্যা মাথায় বুদ্ধি সাধনার দরকার।
প্রশ্ন কঠিন জবাব সহজ “আমি জানি না”,
তাল গাছটা না পেলে বিচার মানি না।
সাধ্য হয়নি নিজেকে জানার তর্ক করা চাই,
ভরার চেয়ে খালি কলস ...
রুলটানা ধবধবে সাদা কাগজে বাংলায় হাতে লেখা অপ্রত্যাশিত এই চিঠিটা; নাকি ‘কল্যাণবরেষু’ - এই সম্বোধনটা আমাকে বেশি অভিভূত করল ঠিক বুঝতে পারলাম না। তবে চমৎকার ঝরঝরে হাতের লেখায় বিশাল এই চিঠিটা অনেকবার পড়লাম, ফিরে গেলাম যেন শৈশবের এবং কৈশোরের সেই দিনগুলোতে।
নাভিদ আহমেদ চৌধুরীর সাথে আমার যোগাযোগটা কিছুটা নাটকীয়ই বলা যায়। শৈশবে কিংবা কৈশোরে জনাব চৌধুরীর নাম শুনেছি – বাবার একসময়ের ...
সেঁধে দিলে নিতে আমিও প্রস্তুত
সচকিত চোখে জমা পূর্ণতা যত
তুমি তুলে রাখতে পারো চেষ্টাযত
ক্ষিপ্তগতি ইচ্ছা লয়ের পাশে অক্ষত
যোগ্য সীমার ঠিক সাড়ে তিনহাত
আমি দেখে নেই দূরকল্পনা মিশ্রিত
ব্যবধান রাখছি টেনে টিনেজের ক্ষত
শীতবর্ষায় লেড়েল্যাপ্টে তুমিও অক্ষত
আত্নকথা যদি বুকের বাঁ-পাশে হয় বিস্তৃত
প্রীতিসম্ভবা নারীর প্রাণশক্তি বহু-প্রতীক্ষিত
নো-মেন্স ল্যান্ডে-এ আমার অধিকার স্থা ...
[০]
তিন বছর বয়সী বালিকাটি ফোনে আমার সাথে আলাপ শুরু করলো এক দিন, অ্যাই তুই কী করছিস?
- খাচ্ছি।
-কী খাচ্ছিস, জিব্রা? (আজকালকার বাচ্চারা আমাদের মতো জেব্রা বলে না, একেবারে z দিয়ে জিব্রা বলে, শুনে শুনে আমরাও শিখছি আর কি।)
- নাঃ, এই একটু জিরাফ খাচ্ছি।
এই শুনে সে হেসে কুটিপাটি। যেন জিব্রা খাওয়া চলতে পারে, কিন্তু জিরাফ খাওয়াটা ঘোর বাজে একটা কাজ! তো সেখানেই আলাপ শেষ না, এরপর বলে, আচ্ছা তুই কি এক ...