Archive - সেপ 12, 2011 - ব্লগ

দ্বিতীয় সফেনস্মৃতি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি
লিখেছেন মৃত্যুময় ঈষৎ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ১০:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উৎসর্গঃ কাব্যবিশারদ রোমেল চৌধুরী


দ্বিতীয় সফেনস্মৃতি

হিমাঙ্কের বালুঘর বদ্ধমুখ হয়েছিল পায়,
শূন্যতার বেলাভূমে কৃশতায় জমেছিল কিছু
নিরাশার সুখ,
বিভাজিত যুগ।

সুনিবিড় ছায়াঘরে জীবনেরা গড়েছিল স্তূপ,
ঝরনার প্রিয়সখা চিরবাধ্য অনুমিত প্রজা
দণ্ডায়মান ঠায়,
শুভ্রসিক্ত কায়।


মরুযাত্রা ৫ম পর্ব : কায়রো প্রবেশ

মন মাঝি এর ছবি
লিখেছেন মন মাঝি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ১০:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গিজা পিরামিড। কায়রো।


শুভাশীষ দাশের জন্য গল্প : কারবালা বিবি

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ১০:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ওপারে সন্যাসী গ্রাম। এপারে কলারণ। মাঝখানে পানঘুচি নদী। ও নদীর কুল নাই কিনারা নাই—আছে দৈরার পানি। পানি দেখলে বিশুবাবুর প্রাণ উড়ে যায়। তার এই ভয়ধরা মুখ দেখে বুড়ো মেনাজ মাঝি হাসে। বৈঠা হালকা মেরে বলে, আপনের বাড়ি কনে?
–ফরিদপুর।


পোপের দেশ ভ্যাটিকান সিটি

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ১০:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম স্বায়ত্বশাসিত দেশ ভ্যাটিকান সিটি আয়তনে মাত্র এক বর্গ কিলোমিটারের চেয়ে কম হলেও এর প্রতাপ দৌর্দন্ড। বিশ্বের নানা প্রান্তের শতকোটি ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখে এই ক্ষুদে ভূখণ্ডটিকে, এখানেই যে বাস করেন তাদের ধর্মের জীবিত সবচেয়ে সন্মানিত ব্যক্তি পোপ!


আমি যামুনা। আমার ইচ্ছা।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ১০:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২ দিন আগের কথা।
-হ্যালো।
-হ্যালো, আমি নিশু।
-সুন্দরী! তোমার খবর কি?
-সুন্দরী! যাক শেষ পর্যন্ত তুমি আমাকে সুন্দরী বললা।
-সুন্দরী বলছি নাকি? বুল অয়ে গেচে। এই বুলের কুনু কমা নেই। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম সুন্দরীর বান্ধবী। তোমার সেই ‘অপ্সরা’ বান্ধবীর খবর কি?
-অই ব্যাটা। ঠিক হবি কোনদিন? নাকি লুল প্রজাতী হয়ে যাচ্ছিস?


[ কবিতার অপমৃত্যু ]

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ১০:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতি রাতে একটি করে কবিতা আত্মহত্যা করে আমার বারান্দায় ।
আমার ভাবনা গুলোকে যখন আমি
কবিতার খাতায় বন্দী করতে পারিনা,
তখন ভাবনাগুলো আমার অজান্তে
সুসজ্জিত হয়ে কবিতায় রুপ নেয় ।
তারপর আমার বারান্দায় ফুলগাছটির ডালে ঝুলে আত্মহত্যা করে ।

আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি,
কবিতার মৃতদেহ পড়ে আছে আমার বারান্দায় ।
বিকৃত অবস্থায় ।

সে কবিতার চেহারা আমি মনে করতে পারিনা


অপেক্ষা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ১০:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে আমার সবচেয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার কথা , নিঃসন্দেহে সেটি ছিল বাবার মৃতদেহ ঘরে এসে পৌছানোর অপেক্ষা । রাত প্রায় আড়াইটার কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে যদি বুঝতে পারেন, আপনার বাবা যাকে খুব সাধারন এবং আপাতঃদৃষ্টিতে নিরিহ একটা পেটব্যথার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল তিনি আর নেই , তখন কেমন লাগে ?


"বাউল আব্দুল করিম বলে, জীবন লীলা সাঙ্গ হলে..."

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ৯:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'বাউল আব্দুল করিম বলে.
জীবন লীলা সাঙ্গ হলে.
শুয়ে থাকব মায়ের কোলে.
তাপ অনুতাপ ভুলে।'

তিনি শুয়ে আছেন, তাঁর মতোন। আমরা ও প্রায় ভুলতে শুরু করেছি আমাদের মতোন। তাঁর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তাই কোথাও তেমন কোন উচ্চারন নেই। না থাক, তুচ্ছ আমাদের বিস্মরনে আসলে কিছুই যায় আসেনা তাঁর।

সচলায়তনে তাঁকে নিয়ে নানা সময়ে লিখা কিছু পোষ্টের লিংক রেখে গেলাম। হয়তো পড়বেন কেউ, হয়তো মনে করবেন কেউ।


‘আ ম্যাজিকাল জার্নি’ (শেষ পর্ব)

দিহান এর ছবি
লিখেছেন দিহান [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ৯:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুপুর দুইটায় ফ্রেশার ডিউটি ডাক্তার চলে গেলেন। পরে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার এলেন আর এলেন দারুণ এক নার্স। মরমা এই মেয়ের নাম তিংতিং! একদম শেষ পর্যন্ত আমাকে অসম্ভব সাহায্য করেছে সে। বিকাল তিনটায় আমাকে ব্যাথা বাড়ার ঔষধ দেয়া হলো। ব্যাথার ঔষধ মানে Oxytocin।মেয়েদের শরীরে সহজাতভাবেই এটা তৈরি হয়। সিন্থেটিক ফর্মে Pitocin দেয়া হয় স্যালাইনের মাধ্যমে যাতে ব্যাথার তীব্রতা বাড়ে আর জরায়ুর মুখ তাড়াতাড়ি খুলে যায়। নার্স মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলাম কতক্ষন লাগবে, সে বললো তিন ঘন্টার মতো। আমি জানতাম লেবার এর গড়পড়তা সময় আট ঘন্টা তবু সেসময় সেটা ভুলে গেলাম। তিনঘন্টা কে আঁকড়ে ধরলাম...দিহান, দেখতে দেখতে কেটে যাবে ১৮০ মিনিট, এমন কোনো ব্যাপার না।


দেশ দেশান্তর

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ৯:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাস্পাতালে টোটাল নী রিপলেস্মেন্ট অপারেশানের তৃতীয় দিনে ঘুমে যখন চোখটা একটু লেগে এসেছে, ঠিক তক্ষুনি নার্স এসে মোলায়েম সুরে জাগিয়ে বললো তার সাথে হাটতে যেতে। তার সাহায্য বিছানা থেকে নেমে ক্রাচে ভর দিয়ে রুম থেকে বারান্দায় বের হোলাম। আমার ঠিক সামনে আমার মতন ক্রাচে ভর করে হেটেঁ চলেছেন আমার পড়শি। অপারেশান হওয়া পা ফুলে একদম কলাআআআ গাছ। নার্স আমাকে বারান্দার শেষ প্রান্তের গন্তব্যর সীমানা দেখিয়ে দিল, যেখানে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা ইতালীয়ান লেদার চেয়ার গুলি বিশ্রামের জন্য আমন্ত্রন জানাচ্ছে। পাঁচ মিনিটের পথ পঁচিশ মিনিটে শেষ হোল। পড়শির সাথে পরিচয় করিয়ে, দুজনের সামনে দুটি টোস্ট এবং এক কাপ করে রং চা দিয়ে বললো, ‘তোমরা বিশ্রাম, গল্প করো, দশ মিনিট পরে সিড়িতে ওঠা নামা প্রাক্টিস করে রুমে ফেরত যাবে’।