১
পাখি কখন জানি উড়ে যায়
একটা বদ হাওয়া লেগে খাঁচায় ...
একদিন যখন তুমি আশ্বস্ত হবে, জানবে, এই মৃত্যু চোখের পলকে তোমাকে ভ্রমণ করে যায়, তখন তুমি, প্রতিবার চোখ খুলে দেখবে, এই পৃথিবীতে বস্তুতপক্ষে নির্লিপ্ততাই মানুষের স্বভাবধর্ম।
২
সুতরাং ছেলের নাম নির্লিপ্ত নিরহংকার। মা বলছিল আরবি নাম রাখতে। সেই মা বাঙালির ইতিহাস কমবেশি ঠিকঠাক জানে। জানলেও, তার ছেলে ভাষানিরপেক্ষ হয়। ভাষা ইতিহাসনিরপেক্ষ না হউক।
[justify]মুখের ভেতরটা তেতো হয়েছিলো সকাল থেকেই। বর্তমান নিবাস থেকে পুরনো শহরে মায়ের কাছে যাবার সময় রাস্তায় লম্বা জ্যামে পড়তে হল। রাস্তা খুঁড়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। বিরক্ত হয়ে বাসে বসে থাকা ছাড়া গতি নেই। মায়ের বাসা থেকে সন্ধ্যায় বেরোবার সময়ও দেখি ভাগ্য সহায় নয় - গলির মোড়ে একটাও রিক্শা নেই। রিক্শা সব গেল কোথায়?
[justify]পুষি
বিড়ালেরা মাও না বলে ম্যাও বলছে বলে চীনে গণহারে বিড়াল মারা শুরু হলে একটা বিড়াল চীন থেকে পালিয়ে আমার বাসায় চলে আসে। নাম দেই পুষি। দুবেলা চারবেলা খেতে দেই। পুষি দেখতে আদুরে। সাদা লোম আর একটু একটু বাদামি ছোপ। পুষি মাছের কাঁটা খায়, দুধ খায়, সোফায় বা বিছানায় উঠে পা উপরে তুলে শুয়ে থাকে। একদিন রাতের বেলা শুতে গেলে পুষির লেজে হাতের চাপ লাগে অনেক জোরে। পুষি ভয়ে ম্যাও না করে মাও করে ওঠে।
[=grey]আই কল মাই ডগ, ডগ
বিজ্ঞানীদের চেহারা কেমন হয়?
কালাতো ভাই হিমু গোয়েন্দা ঝাকানাকায় এক আপনভোলা বিজ্ঞানী চরিত্র আমদানি করেছে। বিজ্ঞানী মতিলাল কারওয়ানবাজারিয়া। দুনিয়া কাঁপানো সব আবিষ্কার করে ফেলেন তিরিশ মিনিটে। কিন্তু বাহ্যজ্ঞান বিশেষ নাই। আর্কিমিডিসের মতো তাই প্রায়ই বিনা তহবনে পথেঘাটে বেরিয়ে পড়েন। আর বেচারার বেশিরভাগ আবিষ্কারই লুট করে নিয়ে যায়, ঠিক ধরেছেন, বদের হাড্ডি বদরু খাঁ।
নইমারি, ডাংগুটি, দাড়িয়াবান্ধা সব খেলা ভুলে গত তিনটা দিন কেটেছে বজলু মামুর বাংলা ঘরে। এত্তো বড় বোম্বা ঘুড্ডি জীবনে দেখি নি। মাহাল বাঁশ দিয়া গুড্ডির কামানি বানাইছে টুক্কু ছৈয়াল। হাঁট থেকে বালি আর লাল-সবুজ কাগজ এনেছেন বজলু মামু নিজেই। কণককাইচের খাঁড়া কাঠিটা বাঁধা হয়েছে কাল সন্ধ্যায়। এখন গুড্ডিটা ছাওয়া হবে। বার্লির গাম দিয়ে ছাওয়ার কথা ছিল কিন্তু বার্লি তেইল্যা চোরায় খেয়ে ফেলে। টুক্কু ছৈয়ালের কথামতো ওড়িগাব দিয়ে ছাওয়া হবে গুড্ডি। লুঙ্গি গলায় ঝুলিয়ে দলবল নিয়ে বাড়ির উত্তর দিকে বড় ওড়ি গাব গাছটার সব কাঁচা-পাঁকা ওড়ি গাব বিদ্যুৎবেগে এনে হাজির করলাম বজলু মামুর সামনে।
ছলাৎ ছলাৎ মনটা তোমার
চরের সাথে আটকে গেলো।
উড়ু উড়ু পাখির স্বভাব
জালের ফাঁদে ধরা খেলো।
কবে তোমার সবুজ বনে
হলুদ রঙের আবাস হলো।
দৃষ্টি কাড়া নীল নয়নে
মেঘের পালে বৃষ্টি এলো।
বাঙ্গালীদের ডেন্টাল হাইজিন খুবই খারাপ। আরেকটা ব্যাপার খারাপ। সেটা হল গায়ে ঘামের গন্ধ নিয়ে ঘুরে বেড়ানো। সেটা এক্ষেত্রে অপ্রসাঙ্গিক। আপাততঃ ডেন্টাল হাইজিনে ফিরে আসি।
ডেন্টাল হাইজিনে আমার দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা শেষে এ বিষয়ে কতগুলো সাধারণ তথ্য আলোচনা করা হয়েছে লেখায়।
দুবলার চর। সুন্দরবনের অস্থায়ী পুরুষ বসতি; এক অস্থায়ী গ্রাম। ঘোরেপ্যাঁচে কোনো নারী যদি সেখানে পৌঁছে যায় তবে দিনে দিনে তাকে চর ছেড়ে আসতে হয়। এটাই নিয়ম। ভাসান নদীর বুকে সাগরের মুখে এই চরে পুরুষেরা বছরের শুকনা মৌসুমে পাঁচ মাসের গ্রাম বেঁধে থাকে। সেখানেই বসে রাসপূজার আসর আর মেলা। দূরান্ত থেকে শতশত নারী পুরুষ তীর্থযাত্রী সেখানে গেলেও মেলা শেষে সবাই ফিরে আসে। শুধু মজুর পুরুষেরাই সেখানে থেকে যায়। তারা সে
শীতকাল মানেই কুয়াশা মুড়ানো অলস সকাল ... অনেক কষ্টে দুপুর এর দিকে সূর্যের উঁকি মারা আর দিন ফুরাবার আগেই বেলা ফুরিয়ে যাওয়া। ছোটবেলায় শীতকাল সবচাইতে পছন্দের সময় ছিল। এখন মনে হয় আমাদের মতো গরিব দেশের জন্য শীতকাল কষ্ট ছাড়া কিছু আনেনা ... তীব্র শীতে ফুটপাত এ কম্বল জড়িয়ে (অনেকে ছালা/চট) শুয়ে থাকা মানুষগুলার ছবি তুলতে গেলে কেন জানি নিজেকে অপরাধী মনে হয়।
এই বছর শীতটা একটু যেন বেশিই । আমার ২ বছরের মেয়েটা যখন ঘরের ভেতর এত গরম কাপরের মধ্যেও কাবু হয়ে যায় তখন রাস্তার বাচ্চাগুলার কথা ভেবে কষ্ট হয়।
গতকালের ঘটনা। সোবহানবাগে প্লাজা এ আরে সময় প্রকাশনীর একটা শো-রুম আছে। সেখানে বসে আছি। গেছিলাম বিজ্ঞান বক্তা ও লেখক আসিফ ভাইয়ের সাথে। উনি একটা পাণ্ডুলিপি দিবেন। সময়ের মালিক ফরিদ ভাই সেদিন আবার ল্যাপটপ নিয়ে যাননি। এদিকে শো-রুমে কোনো কম্পিউটারও নেই। অগত্যা ফরিদ ভাই আসিফ ভাইকে নিয়ে চললেন পাশের প্রিন্স প্লাজায়। ওইখানে সময়ের ডিজাইন-প্রিন্টিং অফিস। বাইরে শীত রাত্রির ভয়ে আমি শো রুমে থেকেই যাই। তাছাড়া এত্তো এত্তো বই একটু নেড়ে চেড়ে দেখার সুযোগও আমাকে আটকে রাখে। পাক্কা দেড় ঘণ্টা বইয়ের দোকানে বসেছিলাম। একজন পাঠকও ঢুঁ মারেন নি সেখানে (বের হওয়ার সময় একজোড়া যুগল ঢুকবো ঢুকবো করছিল)। মার্কেটে কিন্তু লোকের অভাব