গত সতেরো মিনিটে মাত্র ছয়টা নোটিফিকেশন। চারটা লাইক, একটা কমেন্ট, একটা পোস্ট। কোনো মেসেজ নাই
বত্রিশটা ছবি আপলোড করে দুই দিনে পনেরোটা লাইক, নয়টা কমেন্ট। ব্যাড, ভেরি ব্যাড।
সবুজ একটাতে কমেন্ট করেছে, ‘কুল, ডুড!’ লাইক দিলাম।
জামালের স্ট্যাটাস- ‘আরেকবার উপলব্ধি করলাম, একটা ব্যর্থতা শুধু পথ করে দেয় আরেকটা ব্যর্থতার...’
লাইক।
মৌমি আমার সহপাঠি ছিল। মৌমি আমার বন্ধু ছিল। মৌমি আমার বোন ছিল। মৌমির সাথে একদিন দেখা না হলে সেই দিনটা আমার অসমাপ্ত মনে হতো। দিনের মধ্যে অন্তত একটাবার আমি মৌমির কাছে যেতাম। অথবা মৌমি আমার কাছে আসতো। আমরা একসাথে কোথাও বসতাম। আমাদের ছাদে চেয়ার পেতে। কিংবা মৌমির বারান্দায়। আমি হয়তো বলতাম, “মৌমি, আজকে আমার মনটা খুব খারাপ। বাসায় যাবোনা।” মৌমি বড় বাটিভর্তি মুড়িমাখা নিয়ে আসতো। আমরা একটু একটু করে খেতাম আর মৌমির পায়রাগুলোকে খাওয়াতাম। আমাদের সামনে রেখে একসময় সূর্য অস্ত যেতো। পায়রাগুলোর ডানা নানা রঙে রঙিন হয়ে যেতো।
অনেকদিন পর গ্রামে ফিরল রতন। সেই বাবার মৃত্যুর পর এক পুতুল নাচিয়ে হয়ে এক যাত্রাদলের সাথে ভিড়েছিল তারপর অনেক গ্রাম ঘুরলেও নিজের গ্রামে আর ফেরা হয়নি।আর রতনের খোঁজ করবার মত গ্রামে কোন আত্মীয়স্বজনও ছিলনা। এবার অনেকদিন পর বর্ষার বিরতিতে কোন অজানা টানেই গ্রামে ফেরত আসলো। গ্রামে ঢোকার একটু পরেই একটি দোতালা বাড়ি দেখে রতনের কৌতুহল হলো। তার যতটুকু স্মৃতি তাতে দোতালা কেন পাকা বাড়ি করারই কোন সামর্থ্য কোন গ্রামবাসীর ছিলো না। ভাবতে ভাবতেই বাড়িটার উঠোনে চলে আসে রতন। আরে সামনের বারান্দায় বসা ওটা মইত্যা রাজাকার না?
তর্ক করা যেতে পারে 'বাধ্যতামূলক স্বেচ্ছাসেবা' বলে কিছু থাকতে পারে কিনা। আক্ষরিক অর্থে হয়ত পারে না, কারণ শব্দ দুটো পরস্পরবিরোধী। বাধ্যতামূলকই যদি হবে তাহলে স্বেচ্ছাসেবা হল কীভাবে? মানলাম। মেনে নিয়ে নতুন একটা নাম দিলাম 'বাধ্যসেবা'। এরপরেও কথা থেকে যায়, এই বাধ্যসেবা কে কাকে দিবে, কেনই বা দিবে, কখন-কীভাবে দিবে, আবার কখন দেওয়া উচিত হবে না। অনেক কিছুই জানার আছে এই বিষয়ে। একটা একটা করে তাহলে জানা শুরু করি।
সুন্দরবনের শীত ভোরে গলায়-পিঠে ক্যামেরা ঝুলিয়ে কাদা ভেঙে হাঁটছে ফটোগ্রাফার দলটি। কারো পায়ে বুট- কারো স্যান্ডেল। সবাই হাঁটছে জুতায়-পায়ে কাদাঠাণ্ডার উহুআহা অনুভূতি নিয়ে। দলের সামনে নির্লিপ্ত বনপ্রহরী রতন আর পেছনে তার তরুণ সহকর্মী মাজেদ। বেতনের বাইরে ভাতা আর বখশিশের আকর্ষণ ছাড়া এই বন তাদের কাছে পুরোটাই বিরক্তিকর। তারা হাঁটছে সুন্দরবনের যে কেনো গার্ডের মতো বারবার বনের বেশি গভীরে না যাবার সতর্কতা জানিয়ে
তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র। ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। সাধারণ গণিতে ৬৫ পেয়েছি। সব বিষয়ের মধ্যে সেটাই সর্বোচ্চ। উচ্চতর গণিতে কোনমতে পাস করেছিলাম শুধু। বাবা-মা দু’জনই মহা দুঃশ্চিন্তায়। এহেন অবস্থা থাকলে তো ছেলেকে এসএসসিতে স্টার মার্কস পাওয়ানো প্রায় অসম্ভব! কাজেই, আমার স্বল্প আয়ের বাবা আমাকে অংকের টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। বাড়িভাড়া, ইলেকট্রিক-গ্যাসের বিল, স্কুলের বেতন- এসব দিয়ে মা’র হাতে সেসময় সর্বসাকুল্যে ৪০০০ টাকার মত থাকত- সারা মাস ৪ জনের এ পরিবারটিকে চালিয়ে নেয়ার জন্য। এর মধ্যে এখন যোগ হল ৮০০ টাকা- মানিক স্যারের মাইনে।
এইটা কি আদৌ কোন গল্প হইল কিনা- জানিনা। গল্প লেখার চেষ্টাও বোধ হয় করিনি। শব্দ নিয়ে কিছু খেলা করলাম মাত্র।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি;
সারারাত দখিনা বাতাসে
আকাশের চাঁদের আলোয়
এক ঘাইহরিণীর ডাক শুনি,–
কাহারে সে ডাকে!
[justify]একটি ভাষা শুধু তার সংস্কৃতির পরিচায়কই নয় বলতে গেলে ভাষাকে ঘিরেই গড়ে উঠে সংস্কৃতির অবকাঠামো।মানুষের আচার অনুষ্ঠান, উৎসব, সামাজিকতা, চাল চলন, বিনোদন সেই অবকাঠামোটির একটা অবয়ব দেয় মাত্র।তাই ভাষার সমৃদ্ধতা যেমন সংস্কৃতিকে পরিপুষ্ট করে তেমনি ভাষার দৈন্যতা সাংস্কৃতিক দৈন্যতারই বহিপ্রকাশ।তবে বাংলাদেশে থেকে পহেলা বৈশাখে ছোটবেলায় বাবার সাথে সাতসকালে হালখাতা খেয়ে কিংবা যৌবনে রমনার বটমুলে এসো হে বৈশাখ গানের সাথে নববর্ষের সুর্যোদয় দেখে, বা পহেলা ফাল্গুনে বাসন্তি রঙের বসন পরে চারুকলার আশেপাশে ঘুরে বেড়িয়ে যে বাংলা সংস্কৃতিকে অনুভব করতে পারিনি তা পেরেছি এই সংস্কৃতির বেদি থেকে থেকে হাজার মাইল দূরে এস