অণু-গল্প-১: মিনিভ্যান
২০১৪ এর কোন এক সকাল।
বেলা ১০টায় ঘুম ভেঙ্গে গেল ফোনের কর্কশ শব্দে। রাতে কল করেছিলাম একটা গাড়ীর মালিককে, ক্রেইগ-লিস্টে পুরাতন গাড়ির বিজ্ঞাপন দেখে, তখন ফোনে পাইনি। এখন কলব্যাক করেছে।
"বাবা তুমি এফ ওয়ার্ড জানো?"
মাত্র খেতে বসেছিল আনজাম। অহনা আজ গরুর মাংশ রান্না করেছে। আকাশ পাতাল ঝাল, কয় চামচ শুকনা মরিচ দিয়েছে কে জানে! প্রথম লোকমা মুখে দিয়েই কাঁপতে কাঁপতে পানির গ্লাসের দিকে হাত বাড়িয়েছে অমনি এই অপ্রত্যাশিত প্রশ্ন। হাত রয়ে গেল হাতের জায়গায়, মুখ থেকে দুই ইঞ্চি দুরে। পানি ভর্তি গ্লাস ততক্ষণে মাটিতে, প্রশ্নের ধাক্কায় খসে পড়েছে হাত থেকে।
আরেকটু বড় হলেই ছেলে দুটো তাকে ছেড়ে চলে যাবে। এই সত্যটি জেনেও বিলু তাদের খাবার যোগান দিতে কখনো আলসেমি করে নি এবং সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পৃথিবীর আর দশটা মা যেমন সন্তানকাতর, বিলুও তেমনি। বিলুর নিজের কোন স্থায়ী ঠিকানা নেই, পরের ঘরেই তার সংসার। সন্তানদের বাবা তাদের জন্ম নেয়ার আগ থেকেই নিখোঁজ। বিলু জানে পুরুষেরা এমনই স্বার্থপর হয়। মেলামেশায় যতটা আগ্রহ, সন্তান পালনে ততটাই অনাসক্তি। সমাজ এবং প্রকৃতি দুট
প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে অ্যামেরিকার নানা ল্যান্ডমার্ক বিজয়ের অভ্যাস আমার অনেক পুরোনো। তবে প্রচারবিমুখ বলে সেই বিজয়গুলার কথা কোথাও তেমন একটা বলা হয় না। সেই কবে অনেক বিনয়ের সাথে স্যান মিগ্যাল বিজয়ের কথা লিখেছিলাম, সেই বিজয় এতটাই কনভিন্সিং ছিলো যে সেটা নিয়ে কেউ কোথাও প্রশ্ন তুলেনি। সম্প্রতি অ্যামেরিকার অন্যতম বিখ্যাত দুইটা শহর ব্ল্যাকসবার্গ আর ক্রিশ্চিয়ানবার্গকে সংযোগকারী হাকলবেরি ট্রেইল বিজয়ের পর মনে হলো এর খুঁটিনাটি শেয়ার করে পুরো বাংলাদেশকে গর্ব করার একটা উপলক্ষ দেই।
দ্বিতীয় অঙ্কঃ
মাধবীলতাকে দেখে আমার চমকে যাওয়ার কথা ছিলো না। অনেক বছর আমি এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করেছিলাম। আমি জানতাম একদিন দেখা হবে মাধবীর সাথে। আমি খুব স্বাভাবিক স্বরে বলবো, ‘কেমন আছ তুমি?’ আমার হৃদয়ের গোপন প্রকোষ্ঠে লুকিয়ে থাকা একটি প্রশ্ন করবো তাকে। জানতে চাইবো, ‘কেনো? কেনো, মাধবী!’ মাধবীর সাথে দেখা হলে কি কি করবো, সব যেনো আমি সাজিয়ে রেখেছিলাম।
আমার ইনবক্সে একজন একটি লিংক পাঠিয়েছে।“ভয়ংকর ধর্ষণ খেলায় মেতেছে আরব থেকে ইউরোপ”। যে পাঠিয়েছে যে, সে খুবই ভীত, সন্ত্রস্ত, এখন কী হবে ভাবনায়। পুরনো বাসী খবর। এই খেলার জের চলছে এখন জার্মানিতে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে হাজার খানেক(সম্ভবত)আরব যে তাহারুশ খেলেছে তার দাম দিতে হচ্ছে হাজার হাজার আরব রিফ্যুজিকে দেশে ফেরত গিয়ে। আমি তাকে বলি, এই খেলা কি আমার দেশের কাছে নতুন?
বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে প্রায়ই হৃদয়-বিদারক প্রতিবেদন দেখা যায় আমাদের টিভি চ্যানেল গুলোতে। বছরের পর বছর ছেলেমেয়েদের দেখা পান না অনেকে - ব্যাপারটা দুঃখজনক। আমার নিজের দেখা মতে- এই ভিডিওগুলো মানুষ যখন দেখে তখন সব থেকে বড় ভিলেইন হিসেবে অটোমেটিকালি যাকে ধরে নেয়া হয় সে হোল ছেলের বউ ও ছেলে (ছেলেকেও মনে করা হয় ছেলের বউ এর কুচিন্তায় বশ হয়ে যাওয়ার ফল!)। এটা হয়তো অনেকাংশে ঠিক যে সেইভাবে বনিবনা না হওয়া বা সঙ্গের অভাব
ভোর চারটা, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬- সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ের গোলাবাড়িতে নোঙর করা মাদারশিপ থেকে আমাদের ছোট্ট নৌকা খাল দিয়ে ঢুঁকে পড়েছে লেচুয়ামারা বিলে, পশ্চিম দিগন্তে বিশাল এক মরচেরঙা চাঁদ, তার ভুতুড়ে কম্পমান ছায়া পড়েছে হাওড়ের আঁধার জলে। তখন কাকচক্ষু জল এতই কালো যে মনে হচ্ছে আমরা যেন শূন্যে ভেসে পাড়ি দিচ্ছি কাঠের নৌকায়, আমাদের গন্তব্য বুঝি ঐ দূরের চাঁদ, যা আজ নেমে এসেছে হাওড়ের কাছাকাছি। দূরে যেখান
[justify]নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক স্লেভতানা আলেক্সিভিচ রচিত “চেরনোবিলের কণ্ঠস্বর” বইটি পড়ে শেষ করলাম এই গত মাসে। চেরনোবিল দুর্ঘটনার কার্য-কারণ নিয়ে কিছুটা পড়াশোনা আগে ছিল, কিন্তু এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের ইতিবৃত্ত ছিল আমার জানার জানালার বাইরে। এই বইটি পড়ে আমার সেই অভাবটি ঘুচল। আর সেই সাথে এক নিদারুণ বিষাদময়টা আমাকে ছেয়ে ধরল। পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা কিভাবে একটি দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে দশকের পর