ব্লগ

শৈশব

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৯/১২/২০১৩ - ৬:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুকের ভেতর লুকিয়ে থাকা মধুময় শৈশব ডাকে— আয়, ফিরে আয়…। আহা ফেলে আসা শৈশব; জীবনের সুবর্ণ সময়!

লাটিম ঘোরানো, ঘুড়ি ওড়ানো দুরন্ত শৈশব ফিরে আয় একবার! তোকে দেব সোনায় গড়া পঙ্খীরাজ ঘোড়া; তুই ফিরিয়ে দে আমার মাঠে-মাঠে ছোটা ধুলো-মাখা রোদ্দুর, আর কুয়াশামাখা রাতে ঝিঁঝিঁ'র সঙ্গীত আসর। চুমুক দিয়ে পান করবো শিশির-ঝরা ভোর।


আজ পৃথিবীর ভালবাসার সময় গেছে কমে----

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: সোম, ০৯/১২/২০১৩ - ৪:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত ২৪ শে অক্টোবর মান্না দে আমাদের এই ধরাধাম ছেড়ে সুরলোকের পথে পাড়ি জমিয়েছেন। সুদীর্ঘ চুরানব্বই বছরের জীবন তাঁর। সক্রিয় সংগীত জীবনও বেশ দীর্ঘ বলতে হবে--- সেই পঞ্চাশের দশকের শুরুর দিক থেকে শুরু করে প্রায় মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি সঙ্গীতের সাথেই জড়িয়ে ছিলেন। এই দশকের পর দশক পেরুনো সময়ে মান্না দে গেয়েছেন অজস্র গান, সুর দিয়েছেন, করেছেন সঙ্গীত পরিচালনাও। চার হাজারের মত গান, পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ আর দাদা সাহ


মিজান, পিষে ফ্যালো

সুজন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুজন চৌধুরী (তারিখ: সোম, ০৯/১২/২০১৩ - ১২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একদম


আইনের প্রয়োগে বিভ্রান্তি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৮/১২/২০১৩ - ৬:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২০০৩ সালের কথা মীরপুর স্টেডিয়ামে বিশাল একটা কনসার্ট হয়ে তাতে বাংলাদেশের প্রথম সারির সব ব্যান্ড সাথে পাকিস্তানের ব্যান্ড জুনুন আর স্ট্রিংস পারফর্ম করে। সেই অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষন হিসেবে ছিল গুরু আজম খান, আর তার সাথে সঙ্গত করেন আইয়ুব বাচ্চু, ফুয়াদ নাসের বাবু, সুমন এবং সাজু। এই কনসার্টটা ছিল সম্পুর্ন বিনামূল্যে। এই কনসার্টেই প্রথম হেলিকপ্টার দিয়ে কোন ব্যান্ড স্টেজে আসে। “এম্পিফেস্ট” নামে এই কনসার্টের


বিজয়

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: রবি, ০৮/১২/২০১৩ - ৬:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেখ যায় পেরিয়ে যুগের পরে যুগ কত!
আছে অপেক্ষাতে তিরিশ লক্ষ আত্না তো।

জানি বঙ্গবন্ধু পঁচাত্তরে বাঁচলে ঠিক,
অনেক আগেই শুয়োরগুলো দেখতো শিক।
তখতে তখন পাকিস্তানি আত্নারা,
দেশপ্রেমিক আর আমজনতায় বাকহারা।

তারপরে এক মেজর সাহেব নাম করা,
করলে শুরু রাজনীতিতে মশকরা!
পাকিস্তানি ভূতের পূজা হয় শুরু,
গোলাম আজম ফিরল দেশে, তার গুরু?
সংবিধানের কাঁটাছেড়ায় ধর্মবিষ,
ঢুকিয়ে দিলেন মেজর সাহেব, ধানের শীষ।


লজ্জা

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: রবি, ০৮/১২/২০১৩ - ১২:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রশ্ন কমে যাচ্ছে এখন। আগে যেমন প্রতিটা ঘটনায় হাজারটা প্রশ্ন শুনতে হতো এখন সেরকম না। একটা দুটা প্রশ্ন, তার সাথে মানানসই উত্তরেই কাজ হয়ে যায়। বলছিলাম আমার ছেলের কথা। বড় হচ্ছে, সেটা বুঝতে পারি। নিজেই উত্তর খোঁজতে শিখে যাচ্ছে।


মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ২। কুন্তী। পর্ব ৫ [কর্ণ]

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শনি, ০৭/১২/২০১৩ - ৩:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কুন্তীবুড়িটা বহুত হতভাগি হলেও ভাবতে পারে নাই যে নিজের সবচে বড়ো দুর্ভাগ্যটা নিজেরই গর্ভে জন্ম দিছে সে...

কুরুসভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয় নাই। যুধিষ্ঠিরের লগে আলোচনা কইরা সিদ্ধান্ত জানাইব কইয়া সিদ্ধান্তের লাইগা কৃষ্ণ এখন বইসা আছে কুন্তীর সামনে। কারণ কর্ণের বিপক্ষে পাণ্ডবদের সে যুদ্ধে জড়াবে কি না সেই সিদ্ধান্ত দিতে পারে একমাত্র কুন্তী....


উৎসপৃথিবী(২)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শনি, ০৭/১২/২০১৩ - ২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্নান সেরে হাল্কা গোলাপী নরম ড্রেসিং গাউন পরে বেরিয়ে আসে অদীনা, মাথায় ভেজা চুল শুকনো তোয়ালেতে জড়িয়ে। ব্রেকফাস্ট টেবিলে তখন টোস্ট এগপোচ চা কফি এইসব সাজাচ্ছে হিন্দোল। সেদিকে চেয়ে একটু হেসে নিজের ঘরে চলে যায় অদীনা। হেয়ার-ড্রায়ার চালিয়ে দিয়ে চুল শুকনো করতে করতে সে গুণগুণ করে কী একটা গানের কলি। অদীনা কোনোদিন গান শেখেনি বটে, কিন্তু তবু কেন জানি প্রতি সকালেই একটা না একটা গানের সুর তাকে অধিকার করে।


তবুও ফিরতে চাই বাড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৬/১২/২০১৩ - ১১:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২০১০ এর অগাস্ট মাসের কোন এক ভোর রাতের কথা। ঢাকা ঘুমিয়ে পড়েছে, তবুও কোলাহলে জেগে ছিল ঢাকা বিমানবন্দর। এপাশের মানুষরা কাঁচের দেয়াল পার হয়ে ওপাশে যায়, স্বজনরা তাকিয়ে থাকে তখনও। তারপর আরও কয়েকটা কাঁচের দেয়াল, স্বজনদের ক্ষীণভাবে দেখা যায় ঐ দূরে। এরপর, আর দৃষ্টিসীমায় ধরা পড়ে না- এতগুলো কাঁছের দেয়াল ভেদ করে দেখা যায়না কাউকে। এরকম করেই একদল লোকের সাথে বিষণ্ণ মন আরা ক্লান্ত শরীর নিয়ে উড়োজাহাজের পেটে ঢুকে বসেছিলাম। পুরো পথে ঘুমাতে পেরেছিলাম মাত্র ২ ঘন্টা, মাটিতে নেমে দাঁড়াতে পারছিলাম না পেটের প্রচন্ড ব্যাথায়।

শুরুতে খুব মন খারাপ লাগত। প্রতিদিন সকালে সুপারভাইজার আসতেন গত ২৪ ঘন্টার গবেষণায় কি কি মহার্ঘ্য বিষয় আমি উদঘাটন করেছি তার সন্ধানে। শতকরা ৯৯ ভাগ দিনই হতাশ করেছি তাঁকে, হলাকা পাতলা কিছু হুমকি মেশানো, চাইনিজ ভাষায় চিবানো অথচ মোটামুটি স্পষ্ট ইংরেজিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বেড়িয়ে যেতেন তিনি। তারপর, করিডোরে এসে দাঁড়াতাম।