প্রবাসে ক্রিসমাসের ধর্মীয় প্রভাব উপেক্ষা করা গেলেও সামাজিক প্রভাব উপেক্ষা করা যায়না। সন্ধ্যায় বের হতেই গীর্জা থেকে ঢং ঢং শব্দ ভেসে এলো। আগে কখনো শুনেছি মনে পড়েনা। হয়তো শুনেছি, খেয়াল করা হয়নি।
আজ ক্রিসমাস ইভ, বড়দিনের আগের রাত। শহরে লোকজন যে যথেষ্টই কমেছে তা বেশ বোঝা যায়। বাসার পার্কিং লটের তিন-চতুর্থাংশই খালি। সবাই বোধহয় টরন্টো, অটোয়া কিংবা বাবা-মা-পরিবারের সাথে ছুটি কাটাতে ...
অতঃপর সময় করে গিয়েছিলাম সেই 'লং-উড গার্ডেন'। ঢুকে দেখি সমস্ত পাতা ঝরে গেছে! শরৎ শেষ হয়ে শীত চলে এসেছে। তবুও দু'চারটে এরকম গাছ পেলাম। দেখে দেখে চোখে আগুন ধরে যাচ্ছহিলো প্রায়!
সামনেই বিশাল 'কাউ লট'।
সেখানে ঘাস আর ঘাসের উপর এভাবেই ঝরা পাতা
যখন ভাবছিলাম কিছুই তো নেই আর কি দেখি....তখন আশা নিয়ে 'consevatory' তে পা রাখলাম।
লিফটের দরজা খুলতেই চারদিকে নানা রঙের ফুল আর গাছের সমারোহে দিশেহারা অব...
একটা সময় ছিল কুড়িটাকা পকেটে থাকলেই বেশ একটা ভ্রমন হয়ে যেতো। সেরকম কুড়িটাকার ভ্রমনে আমি আর রনি শ্রীমঙ্গল গিয়েছিলাম অক্সিডেন্টালের সেই পাহাড়সম আগুন দেখতে। তারপর দেখার কথা ছিল রাসপূর্ণিমা।
কেন যেন দলটা আর সেরকম গুছিয়ে তোলা হলো না , একসঙ্গে রাসপূর্ণিমা দেখা বাকীই থেকে গেল আমাদের। এবার বেশ আয়োজন করে রওনা হলাম, ফেসবুকে যদিও অভিশাপ দিল রনি।
রনি মির্জার অভিশাপে জোর আছে , শেষ সময়ে এস...
ম্যাপ জিনিসটা আমার সবসময়ই খুব বেশিরকম পছন্দ। ছোটবেলায় অক্সফোর্ড অথবা টাইমস ওয়ার্ল্ড এটলাসের ওপরে উপুড় হয়ে থেকে অনেক নিঝুম দুপুর কেটেছে। কল্পনায় চলে গেছি সমরখন্দ-কাশগড় থেকে কুজকো পর্যন্ত। এখনো ডেস্কটপে সচলের পিছনে গুগল আর্থ খোলা- দেখছিলাম যোশীমঠ, উত্তরাখন্ডের ছোট্ট একটা শহর। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সপ্তাহচারেকের মাঝে হয়তো সেখানে সশরীরে দাঁড়িয়ে থাকতেও পারি। ...হয়তো। ২০০৭ এর গ্র...
গতরাত থেকে মন মেজাজ খ্রাপ। সকালে উঠে ফ্রিজ থেকে মাংস বের করে আবার ঢুকিয়ে রাখলাম…রান্না-বান্না আর ভালু লাগে না। বাইরে আজ ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রৌদ্র নেই তেমন একটা। ঠান্ডা খুব বেশি নয় তবে প্রচন্ড বাতাস…। ঘন্টাখানেক ক্যাম্পাসে ঘুরাঘুরি করে কিছু ছবি তুললাম…সেখান থেকে ৪/৫ টা।
...
১। শরৎ করছে আসি আসি.....
২। রঙ রসহীন রুক্ষতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে হাসি দিচ্ছে সে, ঠোটময় কমলা আভা নিয়ে....
শরৎ দেখবো বলে বেরিয়েছিলাম আসে পাশেই..... যেতে যেতে পথে সেই বিশাল বাগান পরলো, নাম "লং-উড গার্ডেন"। প্রায় ১,০৫০ একর জমি নিয়ে এই বাগান পেনসিল্ভ্যানিয়া স্টেটে অবস্থিত। তবে দুঃখের বিষয় এই যে, ভেতরে না ঢুকেই ফিরে এলাম সময় স্বল্পতার কারণে। খুব শিঘ্রই লম্বা সময় নিয়ে ঘুরে দেখতে যাবো বাগ...
…
১৬ জানুয়ারি ২০০৯, ছুটির দিন থাকায় দুই-মেগাপিক্সেলটা সাথে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। উদ্দেশ্য রায়েরবাজার বধ্যভূমি। এর আগে যাইনি কখনো। লোকেশান নিয়ে জানলাম, মিরপুর থেকে ‘শতাব্দী’ টাউন সার্ভিসে ‘শংকর’ নামক জায়গায় নেমে রিক্সায় গন্তব্যস্থল। আমি তো আর চিনি না, গাবর যাত্রী পেয়ে বাসঅলা আমাকে নামিয়ে দিলো পিলখানার রাইফেল স্কয়ারের কাছে। কী আর করা ! বাংলাদেশ রাইফেলস-এর সুদৃশ্য ফটকটি তাক করে দ...
ভোলাগঞ্জ নিয়ে আমার মুগ্ধতার শেষ নেই! সেই শুরুর দিন থেকে আজ পর্যন্ত আমার মুগ্ধতা এতটুকু কমেনি বরং বেড়েছে। বন্ধু-বান্ধব সিলেটে বেড়াতে আসলেই তারে ভোলাগঞ্জ নিয়ে যাই। ছবি তোলতে যাওয়ার কোনো প্ল্যান হলেই আমি বলি, চলেন ভোলাগঞ্জ যাই।
এ নিয়ে আমার বন্ধুমহলে হাসাহাসি কম হয় না। ছবি তোলতে যাওয়ার কোনো প্ল্যান হলে সুচতুরভাবে তারা আমাকে এড়িয়ে যান। তবু আমি ভোলাগঞ্জ যাই। বার-বার যাই। একা-একা য...
[justify]
কাসেল শহরের ল্যান্ডমার্ক হচ্ছে এর প্রাচীন দুর্গ হেরকুলেস। গ্রীক অতিমানব হেরাক্লেস এর টিউটোনিক উচ্চারণ হেরকুলেস। কাসেল শহরের নামই এসেছে এই দুর্গের ল্যাটিন নাম থেকে। কেউ কাসেলে বেড়াতে এলে এখানটা হয়ে যান।
হেরকুলেস একটা বেশ উঁচু পাহাড়ের একেবারে চূড়ায় তৈরি করা। নিচে তাকালে চোখে পড়ে দু'টি প্রাসাদ, আর বিস্তৃত কাসেল শহর। কাসেলের বুক চিরে একেবারে সোজা একটি রাস্তা আছে, ভিলহেল্...
খুব ছোটবেলায়, হয় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক-এর পাতায় না হলে উইণ্ডোজের স্ক্রীন সেভারে, প্রথম ডেলিকেট আর্চের ছবি দেখি। তখন নামটা জানতাম না। আর কোন বৃত্তান্তও না। তখন থেকে ভেবেছি একদিন বড় হয়ে এই জায়গাটায় যেতেই হবে। তো একদিন বড় হয়ে খোঁজ খবর করতে গিয়ে দেখি নামধাম না জেনে এমন জিনিসের খোঁজ বের করাটা বেশ কঠিন কাজ (প্রাক-উইকিপিডিয়া যুগের কথা)। ছবি-টবি এঁকে, নানান অঙ্গভঙ্গী করে জ্ঞান...খুব ছোটবেলায়, হয