দৃষ্টিপাত এর ডিসি চ্যাপ্টার (Drishtipat DC) আজ দুপুরে ওয়াশিংটন ডিসি শহরের ডুপন্ট চত্বরে অভিজিৎ রায়ের স্মরনে এবং তার হত্যার বিচারের দাবীতে 'Standing with Avijit' নামে এক ইভেন্টের আয়োজন করে। প্রায় ৪০/৫০ জন ভিন্ন ধর্ম/মতালম্বির মানুষের জনসঙ্গমে প্রায় দেড় ঘন্টার এই অনুষ্ঠানে ছিল অভিজিৎ দাকে নিয়ে কিছু স্মৃতিচারণ, বন্যাদির বিবৃতি পাঠ, কিছু জাগরণের গান গাওয়া। পরিশেষে বাংলাদেশে বিগত এক দশকে মুক্তমনা এবং অ
পাহাড়ে ভোট নেই। এবং পাহাড়ে সেনা আছে। শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তুললে সেনাবাহিনীকে খেদানোর সাহস রাখে যে মানুষেরা, সেই মানুষেরা পাহাড়কে আপন মনে করেন না। আর সেইখানে যেটুকু প্রতিবাদের ভাষা, সে বন্ধ করার জন্য পাকিস্তানের প্রেতাত্মা রয়েছে পাহাড়ে। যারা পাহাড়ের সাধারণ মানুষকে মারে, নারী আর শিশু নির্যাতন করে। সব মিলিয়ে পাহাড়ের কিছু নেই। নিয়াজীর মতো আমরাও মনে মনে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি, পাহাড়ে মানুষ দরকার নেই, মাটি হলেই চলবে। মুখে প্রকাশ করতে পারছি না বটে। কিন্তু মনে মনে আমরা নিয়াজীর মতোই ভাবছি!
এই মুহূর্তে বেশ স্বস্তি লাগছে তাঁর। ইশ! এই মিডিয়াওয়ালা ছেলেটা যা জ্বালিয়েছে আজ! যাক, বাবা, শেষপর্যন্ত সবকিছু ভালোয় ভালোয় শেষ করতে পারা গেছে। অবশ্য ওই ছোকরার উল্টাপাল্টা প্রশ্ন আর কথার যন্ত্রণায় তাঁর মতো ঠাণ্ডা মানুষেরও মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল কয়েকবার, ভিডিও ক্যামেরায় ভিডিও হয়ে গেছে ঐ মুহূর্তগুলো। হঠাৎ তাঁর মনে হয়-আচ্ছা, ছোকরাকে বললে ওই জায়গাগুলো এডিট করে দিত কি?
অনেক্ষণ ধরে রিক্সার খোঁজে খিলগাঁও রেলগেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এমনিতেই দুপুর তার উপর প্রচন্ড রোদ। বেশ কয়েকটা রিক্সাকে জিজ্ঞেস করলাম বাড্ডা যাবার জন্য। কিন্তু কেউ রাজি হচ্ছে না। এখান থেকে বাড্ডা যাওয়ার একটা সহজ উপায় হলো বাস। কিন্তু দেশের যা অবস্থা, বাসে উঠাই এখন মুশকিল। সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকতে হয় কখন একটা পেট্রোল বোমা কাচ ভেঙ্গে বাসকে ঢুকে পুরো বাসকে ছাই বানিয়ে দেয়। এই ভয়ে ক'দিন ধরে বাসে উঠাই ছেড়ে দিয়
অভিজিৎ রায় হত্যার অভিযোগে অতি সম্প্রতি ফারাবী নামের এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ফারাবী প্রথমে আলোচনায় আসেন ২০১৩ সালে রাজিব হায়দার হত্যাকাণ্ডের সময়। তখন তাকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও জামিনের মাধ্যমে ফারাবী মুক্তি পান। সেই মামলার সুরাহা এখনও হয়নি। জামিনে ছাড়া পাবার পর সংশ্লিষ্ট ধর্মান্ধ দলটির তৈরী করা তালিকার প্রথমে থাকা অভিজিৎ রায়কে নিয়ে ফারাবী নিয়মিত উস্কানীমূলক এবং প্রকাশ্যে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করেন ফেইসবুকে। অভিজিৎ হত্যার পর এজন্য প্রথমেই ফারাবীর নাম উচ্চারিত হতে থাকে।
ফারাবী গ্রেফতারের কাছাকাছি সময় জানা যায় আনসার বাংলা সেভেন নামের একটি টুইটার একাউন্ট থেকে হত্যার প্রায়-দায় স্বীকার করা হয়েছে। তাছাড়া পরে আরো অন্যান্য গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা সর্ম্পকেও গুজব ছড়ায়।
একারনে কেউ কেউ প্রথমতঃ ধরে নেন এই হত্যাকাণ্ডে ফারাবীর সংশ্লিষ্টতা নেই এবং দ্বিতীয়তঃ প্রশ্ন তোলেন শুধুমাত্র ফেইসবুকের মন্তব্যের কারনে ফারাবীকে কি আদৌ গ্রেফতার করা বা শাস্তি দেয়া যায় কিনা। তাছাড়া অনেকে প্রশ্ন তোলেন অভিজিৎের লেখা ধর্মানুভূতিতে আঘাত করায় এক ধরণের সেটা বাক-সন্ত্রাসের পর্যায়ে পড়ে। আমার এই লেখার সুত্রপাত বাক-স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইনগুলো এবং যুক্তির আলোকে বাক-স্বাধীনতা এবং বাক-সন্ত্রাস বিষয়দুটো আলোচনা করা।
কদিন আগেই মনে হয় গেলো ডাকবাবা আফ্রিদির জন্মদিন। আর তার সাথে চলছে এখন বিশ্বকাপ, মাঝে মাঝেই হয়ে যায় পাকি শুয়োরের বাচ্চাদের খেলা। এই খেলায় তাদের মাঠের যা পারফর্মেন্স থাকে, তার থেকে ভাল পারফর্মেন্স দেখায় পরদিন এদেশের মিডিয়া, বিশেষ করে মইত্যা আলুর উটপোদ শুভ্র। এর সাথে হঠাৎ করে শুরু হয়েছে করপোরেট হাউজগুলোর পাকি ডান্ডু চোষন। পাকিপ্রেম এরা আর ধরে রাখতে না পেরে উগরে দিচ্ছে এক্কেবারে।
(১)
গতকাল রাতে রকমারিতে বিভিন্ন লেখকদের বইয়ের তালিকা ঘাঁটছিলাম আর ঠিক করছিলাম যে কী কী বই কেনা যায় বইমেলা থেকে। কিন্তু লেখক বাছাই করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলাম কারণ বাংলাদেশে আমার প্রিয় লেখকদের তালিকাটা খুব বেশী বড় না। আর তাঁদের বই আগেই কেনা হয়ে গেছে। হঠাৎ মনে এল একজনের নাম। তার একটা বই আমি বড় ভাইকে দিয়ে কিনিয়েছিলাম বইমেলা থেকে বছর ছয়েক আগে। বইয়ের নাম “বিবর্তনের পথ ধরে”। লেখিকার নাম বন্যা আহমেদ। বাং
কাছের মানুষের সস্তা ধর্মানুভূতির কথা মাথায় রেখে কিংবা স্বার্থপরের মত নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করা মানুষগুলোর অধিকাংশই ছদ্মনামে বা বেনামে লেখালেখি করে । ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের ধারালো চাপাতি তাই খুজে পায় অভিজিৎ রায়ের মত মুখচেনা মানুষগুলোকেই । কারণ ? কারণ ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করা হাজারো পরিচয়হীন ব্লগারের ভিড়ে অভিজিৎ রায়দের খুব সহজেই আলাদা করে ফেলা যায় বলেই । আমার মত মেরুদণ্ডহীন বেনামী ব্লগার চাপা চিৎকার করে যাই । গুমরে কাঁদি । মৌলবাদীদের ভয়ে ছদ্মনামের আড়ালে লুকিয়ে বৃথা আস্ফালন করে যাই । কারো টনক নড়ে না । কারণ আমাদের পরিচয় নেই । আমাদের ছদ্মনাম হালনাগাদ করা নেই ভোটার তালিকায় । আমাদের নেই কোন সংগঠন । রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমাদের যৌক্তিক দাবীও তাই বেনামী নাস্তিক ব্লগারের প্রলাপ । অভিজিৎ রায়ের আদর্শ ( মুক্তচিন্তা এবং প্রগতিশীল চিন্তা ) বুকে নিয়ে আমরা গোপনে এক প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন লালন করে যাই । অথচ আমাদের চেনা গণ্ডীর মানুষের কাছে সে আদর্শ থেকে যায় অজানা, কোন এক নাস্তিকের আদর্শ হিসেবে । অভিজিৎ রায়ের মত প্রগতিশীল মানুষ তাদের মনের কোন এক কোনে জায়গা পায় ধর্মানভূতিতে আঘাত দেয়া এক নাস্তিক ব্লগার পরিচয়ে ।