Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

চিন্তাভাবনা

প্রতিদিনের রবীন্দ্রনাথ

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: সোম, ১১/০৯/২০১৭ - ১০:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তখন কৈশোর থেকে সদ্য তারুণ্যে পা দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হাওয়ায় দাঁড়িয়ে আছি ঠিকই কিন্তু ঘরের মধ্যে বেড়ে ওঠা কৈশোরের বাল্যভাবটা তখনও কাটেনি। তখনকার আমিকে মনে পড়লো রবীন্দ্রনাথের কবি-কাহিনী কবিতার কয়েকটি চরণের মধ্যে-
“নদীর মনের গান বালক যেমন
বুঝিত, এমন আর কেহ বুঝিত না।
বিহঙ্গ তাহার কাছে গাইতো যেমন
এমন কাহারো কাছে গাইতো না আর।
তর কাছে সমীরণ যেমন বহিত
এমন কাহারো কাছে বহিত না আর। ”


সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে শোন শোন পিতা

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/০৮/২০১৭ - ১:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শোক দিবসকে আক্ষরিক অর্থে কারবালা বানিয়ে ধারালো অস্ত্রে বুক-পিঠ চাপড়ে হায় হোসেন অবলম্বনে হায় মুজিব কমেডি করে শোক দিবসকে হাস্যকর বানিয়ে ফেলছে কিছু ভাঁড়। হায় মুজিব অবস্থাই বটে! আসুন, এই কমেডি পাশ কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু কি বলেছেন একটু পড়ে দেখি- সেটাই শোক দিবসে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটা কার্যকর উপায় হতে পারে। নইলে অদুর ভবিষ্যতে টুঙ্গিপাড়ার সমাধি পরিনত হতে পারে তাজিয়ায়। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন খুব কম, বাগ্নী হিসেবে বলে গেছেন অনেক কিছু। অনুভূতিময় এই উদ্ভ্রান্ত সময়ে সেই কথামালা পাঠ করেও যদি তাকে হৃদয়ে ধারণ করা যায়, অনাগত কোনও অন্ধকারে হয়তো সেটিই কাজে দেবে। মানবিক আবেগহীন এবং দর্শনবিমুখ যান্ত্রিক অনুভূতির অর্গলে বঙ্গবন্ধুকে বেঁধে রাখলে তিনি ধীরে ধীরে হৃদয় থেকে উবে গিয়ে লালুসালু মোড়া পীরের আসনে গিয়ে বসবেন। এই সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে বঙ্গবন্ধুর পঠন-পুনর্পঠন হোক জোরেশোরে। ব্যানারের ম্লান ছবি হয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু ফিরে আসুন ব্যাবহারিক দর্শনে।


শব্দগল্পদ্রুম ০৫

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ০৫/০৮/২০১৭ - ৮:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
চিরুনি অর্থ কী, এ জিজ্ঞাসার মোকাবেলা বালক জগদীশচন্দ্র বসু করেছিলেন "ফাড়ুনি" দিয়ে। দেখা বা শোনা নয়, পড়া কথা। জগদীশচন্দ্রের এই বাল্যকালীন প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে বাংলা শব্দের মহাদ্রুমের বীজ খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু তার আগে জিজ্ঞাস্য, চিরুনি কি আদপেই ফাড়ুনি? চিরুনিকে ফাড়ুনি বললে কি লোকে চিনবে? যদি শব্দের কাজ হয় ভাবসেতু নির্মাণ, তাহলে ফাড়ুনিতে গিয়ে কি ভাবজট তৈরি হবে না? কিন্তু ফাড়ুনিতে কী নেই, যা চিরুনিতে আছে?

শ্রোতার অভ্যস্ততা।


প্যাপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণ, জরায়ু মুখের ক্যান্সার এবং আমাদের মেয়েদের নিরাপত্তা

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৮/২০১৭ - ৬:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জীবনের কোনো এক পর্যায়ে আপনার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৪০%। তারমানে পরিসংখ্যানের হিসেবে, কোনো পরিবারে ৫ জন মানুষ থাকলে তাদের মধ্যে ২ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রতিবছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যায় যে প্রকারের ক্যান্সারে মেয়েরা আক্রান্ত হয়, সেটি হচ্ছে জরায়ু মুখের ক্যান্সার। প্রায় সকল (৯৯ ভাগ) জরায়ু মুখের ক্যান্সারের সঙ্গে একটি ভাইরাসের সংক্রমণ জড়িত। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV)।


বিবাহবিচ্ছেদ এবং সন্তান বনাম আমাদের জাতিগত অ-সংবেদনশীলতা

ধুসর জলছবি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর জলছবি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/০৭/২০১৭ - ১২:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত কয়েকদিন ধরে বাচ্চার কথা ভেবে বাবা মাকে সবকিছু সহ্য করে নেয়ার উপর প্রচুর লেখাজোকা, বকবক পড়ে, শুনে মাথায় প্রশ্নটা আসল। একটা বাচ্চা সুন্দর ভাবে বড় করতে কি লাগে? একটা সুন্দর পরিবেশ, তাই তো? আসুন একটু চিন্তা করে দেখি তো, আমরা আমাদের বাচ্চাদেরকে কিরকম চমৎকার পরিবেশ দেই, দিচ্ছি?


পালাবেন না, প্লীজ!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৩/০৭/২০১৭ - ৮:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইদানীং ঘুম ভাঙলে অয়ন খুব আগ্রহ নিয়ে ঘরের সিলিং আর পর্দার ফাঁক গলে আলো আসা খোলা বারান্দার দিকে লোভাতুর হয়ে তাকিয়ে থাকে। খুব আপন মনে হয় সিলিংটাকে। যে ভীষণ যন্ত্রণা আর অস্থিরতায় তখন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে সে, তাতে মনে হয় ঐ সিলিঙের বন্ধনে ঝুলে পড়ে আয়েশে দুলতে থাকলে একটু শান্তি মিলবে। কিংবা উঁচু বারান্দা থেকে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় যে ক্ষণিকের মুক্তি মিলবে চিরমুক্তির আগে সেটাই বা কম কী!


শব্দগল্পদ্রুম ০৪

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ২২/০৭/২০১৭ - ৮:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শব্দের প্রথম ও প্রধান কাজ নতুনকে বেধ করা, যেভাবে শুক্রাণু বেধ করে ডিম্বাণুকে। এরপর শব্দ আর নতুন মিলেমিশে এক ভ্রুণ জন্ম দেয়, যাকে আমরা বলতে পারি, "ধারণা"।


বইপড়াকথা: মহাবিপদ সংকেত

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: বুধ, ১৯/০৭/২০১৭ - ৫:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের সামরিক ঘটনাগুলো নিয়ে সকলের আগ্রহ। অনেক রহস্যে আবৃত থাকলেও এ সম্পর্কে তবু কিছুটা লেখালেখি হয়েছে। অনেকের ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ, গবেষণার মাধ্যমে সময়টাকে এখন অনেকটা বোধের নাগালে আনা গেছে। চরিত্রগুলোকে চেনা গেছে।


রাজপুত্র-কোটালপুত্র সিনড্রোম

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ১৫/০৭/২০১৭ - ১:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]এই গল্পটার মূল উৎস আমার জানা নেই। গল্পটি প্রথম পড়েছিলাম ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ নামের একটা রূপকথার গল্প সংকলনে। বইটি মোটেও দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের বিখ্যাত সংকলনটি নয়, বরং দেশ-বিদেশের খান পঞ্চাশেক রূপকথাকে স্থানীয় পটভূমিতে পুনর্লিখন করে অজ্ঞাত কোন সংকলকের করা একটি বই। পরবর্তীতে গল্পটির একটু ঊনিশ-বিশ ভার্সান আরও কয়েক জায়গায় পড়েছি, কিন্তু কোথাও এর মূল উৎস উল্লেখ করা ছিল না। শৈশবে একই প্রকার গল্


রসগোল্লা চাই, বীচি চাইনা

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: শুক্র, ১৪/০৭/২০১৭ - ১:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেই দুষ্টু শিশুটির গল্প জানা আছে নিশ্চয়ই। অসুখ হয়েছে কিন্তু কিছুতেই সে তেতো ট্যাবলেট খাবে না। তার পছন্দের খাওয়া রসগোল্লা। মা পরে চালাকি করে এক হাড়ি রসগোল্লা কিনে তার সবগুলোর ভেতর একটা করে ট্যাবলেট ঢুকিয়ে রাখল। দুষ্টু শিশু প্রতিদিন দুটো করে রসগোল্লা খায়। সে মহা খুশী, সাথে তার মা ও খুশী। পরে অসুখ ভালো হচ্ছেনা দেখে একদিন পুত্রকে জিজ্ঞেস করেন, বাবা রসগোল্লা খেয়েছ? ছেলে ফোকলা দাতে ফিচেল হাসি দিয়ে বলে, রসগোল্লা খেয়েছি কিন্তু রসগোল্লার ভেতরের বীচি ফেলে দিয়েছি। যে দেশের বুড়ো বুদ্ধিজীবীরা দেশের প্রথম সারির পত্রিকায় 'বিজ্ঞান চাই, বিজ্ঞানবাদিতা চাইনা' ঘরানার বিষ্ঠা প্রসব করেন সেই দেশের শিশুরা খালি রসগোল্লা চাইবে, তার বীচি চাইবে না এটাই তো স্বাভাবিক।