প্রতীক্ষার প্রহর খুব দীর্ঘ হয়,
অনন্ত আকাশের মতন বিশাল-
প্রসারণশীল জগতের মত পরিমাপহীন।
আমার সীমিত ধৈর্য্য তার শেষ দেখতে না পেয়ে
অশ্রুআর্দ্র হয়ে ওঠে বারে বারে।
আলতো হাতে তা মুছে নিয়ে যায়
অপরাজিতা-নীল হাওয়া ....
নীলমানুষ বলেছিলো সে আসবে আবার
সেই থেকে তার অপেক্ষায় বসে আছি,
বসেই আছি নদীতীরের বালিপাথরে ......
কত রৌদ্রদিন এলো গেলো-
কত নক্ষত্ররাত রেখে গেলো অক্ষয় স্মৃতি,
অব্যয় অন্ধকারে...
ক্লাউদিয়া ক্যাস্টিলো ত্রিশ বছর বয়সী এক কলম্বিয়ান মহিলা। তার আর দশটা মানুষের মত সবকিছুই স্বাভাবিক, কিন্তু সমস্যা একটাই। দীর্ঘদিন টিউবারকুলোসিসে ভুগে তার বাঁদিকের ফুসফুস একেবারে অকেজো হয়ে গিয়েছিল। এখন তাকে সুস্থ করে তোলার উপায় ছিল একটাই - বাঁ দিকের ফুসফুস বাদ দেওয়া। অথবা, সমগ্র শ্বাসনালীটা বদলে ফেলা। এতদিনের রক্ষণশীল চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রথমটাই করার কথা - যদিও তাতে আয়ু কমে যাব...
অপুর সঙ্গে আমার পরিচয় বছর আটেক আগে। আজ সেই অপুর জন্মদিন ফিরে এসেছে। সত্যিকথা বলা ভালো : ফেসবুক- যে-জিনিসটি আমি পছন্দ করি না!- না থাকলে আমি জানতাম না আজ অপুর জন্মদিন। এতো ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও আমরা কেউ কারো জন্মদিন জানার কথা মনে করিনি কখনো।
সিলেটের একটা নতুন দৈনিক পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্নে আমরা একসাথে কাজ করেছিলাম। পরিচয় তারও আগে থেকে। পত্রিকাটিতে কাজ করার সময় থেকেই প্রবল সখ্যের শুর...
রাজনৈতিক প্রহসনে ইউক্রেইন ও আমাদের দেশের খুব একটা পার্থক্য পাওয়া এখন হয়তো কঠিন। রাজনীতিবিদরা (প্রথমেই দন্দ - নীতির সংগে রাজনীতিবিদদের) এখানেও জনগণের কাছে বড় মাপের চোর-ছ্যাঁচড়, মিথ্যেবাদি, বিশ্মাসঘাতক, ক্লাউন , ইত্তাদি হিসেবে পরিচিত।
বিশ্বব্যাপি অর্থনৈতিক সংকট সত্যেও এখানকার "জাতির সেবকরা" নিজেদের সার্থ নিয়েই পুরোপুরি ব্যস্ত। তো, দিন দু আগে মেট্রোতে দু জন লোকের খুব মজার আলোচ...
লাভ চিনিনি,
লোভ চিনেছি!
লোভের পাটায় সুখ বেটেছি,
সুখ মেখেছি গায়।
সুখ যে দেখি ধুতুরা পাতা,
সুখে থাকাই দায়!
সৎ চিনিনি,
খল চিনেছি!
খলের খোলে ঝোল টেনেছি,
ঝোল খেয়েছি বেশ।
ঝোল যে দেখি গরল সম,
জীবন জ্বলে শেষ!
ন্যায় চিনিনি,
পাপ চিনেছি!
পাপের কাছে হার মেনেছি।
পাপ জেনেছি ঠিক!
পাপ যে এখন বাপকে ধরে
সুখ দাওগো ভিখ্!!
সময়ের অমোঘ পাহারা উপরে ও নিচে- মাঝে নক্ষত্ররাজি জেগে থাকে চুপচাপ, বিষন্ন নির্জন চাঁদে ফুটে থাকে এলোমেলো চুলের ভুলে যাওয়া মুখ।
নি:শব্দ শিশিরে শিশিরে মিছিমিছি কান্না ঝরে যায়। তন্দ্রাচ্ছন্ন তুন্দ্রার তুষারে সে আজো সাবধানী পায়ে হেঁটে যায়, নীলসবুজ ওড়না দুলে ওঠে আকাশে।
‘যেখানে দেখিবে ছাই/ উড়াইয়া দেখ তাই/ মিলিলে মিলিতে পারে/ অমূল্য রতন...।’ কে লিখেছিলেন ? রামনিধি গুপ্ত ? ঈশ্বর গুপ্ত ? না কি অন্য কেউ ? এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না। তবে এই চরণগুলো সেই শৈশব-কৈশোরে স্তোত্রের মতো ঠোটস্থ করেই কি ক্ষান্ত হয়েছিলাম ? মোটেই না। স্তোত্র বা শ্লোক কি আর মিথ্যে হতে পারে !
আজ থেকে ত্রিশোধিক বছর পূর্বে মফস্বল শহরগুলোতে এখনকার মতো তো আর প্রাকৃতিক জ্বালানী গ্যাসের কায়কারবা...
তসলিমা নাসরিন
রমনীর যাতনা করিতে যতন
রমনীয় পংতি নাহি কমনীয় মন!
একেতো জন্মিল নারী পুরুষ উত্তম
কেমনে শুনিল বাঁশী অরুপ রতন।
মানুষের নাম ধরি নর প্রভূ ধায়
যে মতে যেথায় যাই শুনি শুধু তাই!
নারীর কর্তব্য তায় লিংগ উপাসন
বীর্জ স্খলনে প্রভূ হয় সুখী জন।
কে কবে শুনেছে ভবে মানুষ রতন
লালন-হাসন গাইছে নারীর কীর্তণ!
ঈশ্বর করিতে সেবা স্বামী-পতি ধন
বারবনিতার বেশে রমন...
জীবন-রেশমসুতো তোড়া করে বেঁধে-
সাবধানে রেখে যাবো ত্রিমাত্রাস্ফটিকে,
সোনালী গমের দানা, জলপাই শাখা
উজল দরোজামুখে তালাচাবি আঁকা-
দেখে যাবো জলঘরে ক্লান্ত কবিকে।
এইসব পার হয়ে ভেসে যাবো দূরে
কালিন্দীর স্রোত বেয়ে ভরাডুবি তোড়ে,
ভেসে চলে মান্দাস-
পাড়ে পাড়ে বিষ-শ্বাস,
আকাশ ঝাঁপিয়ে নামে চাঁদনির গোরে।
যেতে যেতে ফিরে আসা পাকে পাকে ঘুরে,
ফেলে যাওয়া পথে কার ভুলবাঁশী সুরে।
যারা ব্লগস্পটে ব্লগান তাঁদের বেশিরভাগই কাউন্টার বসান - কে এলো গেলো, কোত্থেকে এলো, কেমন ভিজিটর এলো এসব জানতে। ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে ইন্টারেস্টিং। গুগলে কোন শব্দ সার্চ করে আমার ব্লগস্পটে কীভাবে কে এলো সেটাও দেখা যায়। গত এক মাসে খেয়াল করেছি জনৈক জম্মানবাসী সচলের নাম ধরে গুগলিং করে আমার নিজের ব্লগস্পটে ভিজিটর বাড়ছে। আটলান্টিকের এপার ওপার দুপার থেকেই গুগলিং হচ্ছে। মজার ব্যাপার হ...