আকাশের রঙ গাঢ় ছাই। দূরে কোথাও দরজা লাগে সশব্দে, হতে পারে জানালা। একটা সাদা পলিথিন ব্যাগ ইতস্তত উড়তে উড়তে জানালাগুলোর পাশ দিয়ে চলে যায়, তারপর বেঁধে যায় কোন বৈদ্যুতিক তারে। তারপর একটা মৃদু কিন্তু গম্ভীর শব্দ, গুরগুর গুরগুর। উৎসুক মানুষেরা ঝুলবারান্দায় এসে দাঁড়ায়। বয়ে যায় এক দমকা ঠান্ডা বাতাস। আবার কোথায় কী যেন পড়ে বিকট শব্দে। রিকশাচালকেরা জোরে জোরে প্যাডেল মারে, সাথে অবিরত বেল।...
“কোথায় ছিলে, কোন্ পাহাড়ে কোন্ পোষ্টাপিসে
চিঠির মতো
ভোরের মতো কোন্ জানালায় তাকিয়ে ছিলে
চোখের ছায়ায়?”
আজ ২১শে নভেম্বর। আমার জন্য চমৎকার একটি দিন। অনন্য একটি তারিখ। নভেম্বরের একুশ তারিখ এলে আমার সামনে স্মৃতির একটি বাক্স ঝপ্ করে খুলে যায় আর অমনি অনেক অনেক ভালোলাগার স্মৃতিতে আমি আপ্লুত হয়ে যাই। এই দিনটিতে আমার ২০০২ সালের ২১শে নভেম্বর চোখের সামনে ভেসে উঠে। দিনটি ছিল আমাদের প্রা...
বাবা, তোমাকে নিয়ে লিখবো প্রায়ই ভাবি... কলমে কিংবা কিবোর্ডে, ভেবে পাইনা কি করে শব্দগুলো সাজিয়ে নেওয়া যায়! জানি, "অন্ধকারে সিগারেট" অথবা "আব্বুকে মনে পড়ে"-- অমন মায়াজাগানিয়া পোস্ট লেখা আমার সাধ্যের বাইরে, কিন্তু হিজিবিজি হলেও কিছু লিখতে ভীষণ মন চাইছে যে.... মেয়েরা নাকি বাপঘেঁষা হয়, আমিও হয়তো হতাম-- সবাই তো বলে আমাদের মুখের আদল এক, স্বভাবেও হয়েছি অনেকখানি একই... তবু পুরোপুরি ত...
চারটার সময় হঠাৎ বেল বাজার শব্দে বিছানা থেকে উঠে আসলেন রোকেয়া। এ সময়ে তিনি ঘুমান না কিন্তু বিছানায় একটু শুয়ে থাকেন। দুই বার বেল বাজার আওয়াজে তিনি নিজেই উঠে এলেন। এসময়ে বাড়িতে কেউ আসে না। তিনি বের হতে হতে দেখেন ময়না দরজা খুলছে।
দরজার ঐ প্রান্তে সুন্দরী একটি মহিলা দাঁড়িয়ে। মহিলার পড়নে হাল্কা গোলাপি রঙের সালোয়ার কামিজ। মাথায় সুন্দর করে ওড়না দিয়ে ঢাকা। মহিলার গায়ের রঙ ফর্সা। রো...
(.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
)
কবেকার কোন বৈশাখী মেলা থেকে একটা লাল
ডুরে শাড়ি কিনে এনে দিইনি বলে সে
আমার থেকে দূরে সরে সরে থাকে শুধু।
ব্যস্ত দুপুরের কোন একদিন একটা কাঠি
লজেন্স অথবা হাওয়াই মিঠাই এর আবদার আমার
মন ভুলে গিয়েছিলো হয়ত, সেই
থেকে, অভিমানী মেয়ে গাল ফুলিয়ে কেবলই
ছলছল চোখে চেয়ে দেখে আমাকে, কাছে আসে না।
বিকেলের ভেজা আলোয় আজ মনে পড়লে এক হাত...
নিরাসক্তি আমার বড় -
এমন কথা বল্লে যে,
গণকটুলির রায়বাবুকে
চেন নাকি, শুনি হে।
করছি না যে এই কাজটি-
এটা বলো এমন কি?
শুনলে তুমি বিষম খাবে-
রায়বাবু আজ বল্লো কি।
ন’নটি মেয়ে মাথার উপর-
নিজের তাহার তিনজনা,
তাদের মাঝে রইলো আরো
ভেসে আসা ছ’জনা।
রসুই ঘরে আনাজপাতি-
নুন-তেল তো হাতটানা।
তবুও মশাই আজকে উনি
পোষ্য নিল দু’জনা।
সিডর এলো, মঙ্গা এলো-
এলো আরও কত কি!
খুঁজে খুঁজে আগলে নিল-
মা-বাপহারা মে...
“চা খাইবেন? চা?”
প্রথমে প্রথমে মুখে বেঁধে যেত । পেটের মধ্যে সুড়সুড়ি। লোকে কথা শুনে দাড়াবেতো? আস্তে আস্তে শেখা হয়ে গেছে ।
“দুইটা রং চা লাগান”
কাজটা মজারই আছে। কত রকমের লোক দেখা যায়! দোস্ত যে কাজটা করে, সেটার তুলনায় তো বেহেশতের চাকরি।
এই পরশু দোস্তের কেনি আঙ্গুলটা কাটা পড়লো। দোস্ত হাসে আর বলে “ সবার আঙ্গুল পাঁচটা, আর আমার সাড়ে চারটা বুঝছস তারেক?”, তারপর আবার ব্যাথায় মুখ কুঁচকে ফে...
- আপনি কে?
- আমার নাম অর্ক
- এইখানে কি করেন?
- একটা ব্লগ খুলতে চাই।
- তো খুলেন না, হুদাকামে কীবোর্ডের টেমপার খাইতাছেন ক্যান?
- না লিখলে তো একাউন্ট অ্যাকটিভ হবে না।
- ও, হ।
- কিন্তু ভাই এইখানে ডট ডট ডট লিখতে হলে কি করতে হয় জানেন?
- যে ফোনেটিক বানাইছে তারে গিয়া জিগান, মাথা চাইটেন না।
- জ্বি ধন্যবাদ।
- হ বাদ, যান এখন।
টানা এক সপ্তাহ, কি তার চেয়ে একটু বেশী? একনাগাড়ে নাইট ডিউটি করে গেলে তুমি। সকালবেলা বাড়ী ফিরতে, গোসল করে, খেয়ে, দূপুরের একটু পরেই আবার ছুট। তোমার কাছে সেটা কোনো কষ্টই না! তুমি কাছে থাকলে নানুর একটুখানি সুবিধা হয়, এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বা অর্থময় কাজ সেই সময়ে আর কিছুই কী হতে পারতো?
তারপর? তারপর একদিন আর ধরে রাখতে পারলে না তাকে, ছেড়ে দিতেই হলো, হাসপাতালে তখন তুমি একা। সেদিনও তোমার কাছে থা...
।।এক
ছোটবেলায় দুনিয়ার কিছু বুঝে ওঠার আগে থেকেই বিদেশ যাওয়ার খুব শখ ছিল। কিন্তু বিদেশ কী জিনিস সেটাই ঠিকমত বুঝতাম না! বিভিন্ন সিনেমা আর পরিচিতদের গল্পের সুবাদে দার্জিলিং, নেপাল আর কাশ্মীর ছিল আমার বিদেশ যাওয়ার স্বপ্নের চূড়ান্ত সীমানা। একটু বড় হওয়ার পর সেই সীমানা বেড়ে গেল বিলাত-লন্ডন পর্যন্ত। বইয়ের পোকা হওয়ার পর- উত্তর মেরু, ল্যাটিন আমেরিকা, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া, স্ক্যান্ডিন...