[justify]
আটলান্টিকের পাড়ে দাড়ানো ইউরোপের এক দ্বীপদেশ আয়ারল্যান্ড। এ দেশে আসার পর এ জাতির রাগবীর প্রতি বাড়াবাড়ি রকমের ভালোবাসা আমাকেও ধীরেধীরে নাড়া দেয়। উঠতে বসতে, রাস্তাঘাটে, বাসে-প্রান্তরে এদের রাগবী প্রীতি বেশ দারুন লাগে। উপবৃত্তাকার আকৃতির একটা বল যে কত উন্মাদনার সৃষ্ট করতে পারে সেটা এখানে না আসলে হয়তো জানা হতো না। ছোট ছোট বাচ্চাদের টি-শার্টে লেখা দেখেছি - “টু ইয়াং, কান্ট প্লে ...
ইউরোপে সামার ভ্যাকেশন একটা বিরাট কিছু। আগে অবশ্য সেটা বুঝতে পারি নাই। তখন জানতাম ভ্যাকেশন মানে প্লেনের টিকেট, ট্রেনের টিকেট, হোটেল, জিমার সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। সে সময় বেশি বেশি নিজের বাড়ি আর গাড়ি ব্যবহার করতে হয়। ভ্যাকেশন বাদে অন্যসময় ঘুরাঘুরি করতে হয়। মেয়ে যবে থেকে স্কুলে যাচ্ছেন তবে থেকে অবশ্য সে সব বন্ধ। ওলন্দাজ পাজিরা এয়ারপোর্টে যেয়ে বসে থাকে, কোন গার্জেন স্কুলকে ফাঁকি দি...
গত লেখাতে উল্ল্যেখ করেছিলাম যে আমি ছোটবেলা থেকেই কিছুটা ভাবুক গোছের ছিলাম। আমার এহেন ভাবনার কারণে প্রায়শই দেখা যেতো গাছের মুচি এবং আমড়া পেকে বড় হবার আগেই গাছ থেকে নাই হয়ে যাচ্ছে! ওগুলো যে আমারই পেটে যাচ্ছে তা কি আর আমার নানা বুঝতেন? উনি লাঠি নিয়ে প্রায়ই চক্কর দিয়ে যেতেন বাগানে, যদি পাড়ার বাঁদর ছেলেপিলেগুলোকে হাতে নাতে ধরা যায়! যা হোক, প্রকৃতি এবং বিজ্ঞান নিয়ে আমার ব্যাপক চিন্তা ভ...
আমরা ছিলাম মোট ১৩ জন। নতুন দেশ দেখার প্রবল ইচ্ছা আর অভিযানের নেশা আমাদের এক করেছিল। আমরা এক হয়েছিলাম পাহাড়ের দেশ নেপাল ভ্রমনের স্বপ্ন নিয়ে। পাসপোর্ট-ভিসার ঝামেলা মিটিয়ে, বহু অনিশ্চয়তাকে তুচ্ছ করে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম একসাথে.....
"নেপালের পথে-১ (কাঠমুন্ডু কতদূর??)" পড়তে পারেন এখানে
২৮.০২.০৯ রাত ১০:৩০ (বাংলাদেশ সময়)
স্থান: হোটেল তাজ ইন্টারন্যাশনাল, বাগবাজার, কাঠ...
এ কাবাব ঘরটা বেশ। স্কুল অব বিজনেসের সামনে মোটামুটি শস্তায় উন্নতমানের খাবার খাওয়ার সাথে উন্নত অর্থাৎ সুডো সুন্দরীদের ন্যাকামী দেখতে পারা যায়। বেশ লাগে। আমি এখানে প্রায়ই আসি নিশা'কে নিয়ে। মূলতঃ বিকালের দিকে। ওসময় একটু খালি থাকে আশপাশ। নিশ্চিন্তে বসে আড্ডা মারা যায়।
আজ এ কাবাব ঘরটায় অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু ভিড়। একটা দল ঘোঁট পাকাচ্ছে। সবার আগে হাতি সাইজের একজনক...
[এখানে আমি শিবির নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছি, যেখানে '৭১-এ জামায়াতের যুদ্ধাপরাধের কথার দিকটা ভাবা হয়নি। এটি ইনএক্সকিউজেবল এবং আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আলোচনা অনুসরণের সুবিধার্থে আমি লেখার কোন অংশই মুছিনি। বিস্তারিত মন্তব্য অংশে দেখুন।]
১
আমি বসে বসে হুমায়ূন আজাদকে নিয়ে লেখাগুলো পড়লাম (কবিতাটা বাদে; আমি আসলে কবিতা মনোযোগ দিয়ে না পড়লে বুঝি না, তাই)। জুবায়ের ভাই,...
একটু একটু করে সময়ের মোচড়ে জীবন বদলায়। জানুয়ারীর কোনও একটা সময়ে গর্ভে আসা আমি সেই প্রতিটা দিনের সাথেই বদলেছি, যে বদলের ধারা চলছে এখনও, আমি মরার পরেও কি শেষ হবে? কিছুদিন তো চুল আর নখ বেড়ে চলবেই, তারপরে ব্যাকটেরিয়ার কব্জায় আমার সাধের শরীরটা সার হবে, ছোট ছোট অংশ হয়ে স্থান নেবে কোনও গোলাপ ঝাড়ের একটা সাদা গোলাপে! সেই গোলাপটা হয়তোবা কোনও না কোনও দিক দিয়ে বেহিসেবী হবে আমার মতো, হয়ত বাতাসের ...
তখন আমার বয়স কতই বা হবে, ক্লাস সেভেনে পড়ি। আমার বাবার দেয়া লাল ডাইরীটা সামনে ধরে বৃষ্টি দেখছি। বৃষ্টির ফোটাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে লিখে ফেললাম একটা কবিতা। সম্ভবত ঐ কবিতাটাই প্রথম লেখা কবিতা। তারপর মাস খানেকের মধ্য লিখে ফেললাম আরো গোটা দশেক কবিতা। ডাইরীর শেষ কবিতাটা ছিল একটা ফুল নিয়ে, কবিতার নাম "কৃষ্ণকমল"। কবিতার মূল ঘটনা ছিল- একটা ফুল যেটা নাকি প্রতি ১০০০ বছরে একবার ফুটে, ওটা ...
এই একই রুটের বাসে ভীড়ে পকেট সামলাতে সামলাতে, আমি
বহুবার ভেবেছি-
একদিন, ঠিক হেঁটে যাবো দক্ষিণ বাংলার কোন অচেনা গাঁয়ের পথ ধরে।
কোন গেরস্ত বাড়ির উঠোন কলমি শাকের ঘ্রাণে টইটুম্বুর,
বাঁধানো পুকুর ঘাটে লজ্জায় নত নববধূ বলবে,
"আমাদের বাড়িতে ইট্টু ঘুইরা যাইয়েন ভাইজান-
মাগুর মাছের ঝোল দিয়া দুইডা গরম ভাত!"
আমার পায়ে থাকবে না এক জোড়া বাটা জুতো-
আমি হেঁটে যাবো আরো দক্ষিণে, মিশে যাবো ইশকুলগাম...
আমি হতবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি--
বলে কি ছেলেটা?
আমার মুখে বিস্ময়ের সকল চিহ্ন উপেক্ষা করে সাইফ বলে যেতে থাকে, বুঝলেন বস, আসল মজা হইল এর পরে। যেহেতু গর্ভাবস্থায় বাচ্চাটার আর অন্য কোন অপশন নাই কাজেই যেটা ঘটে সেইটা হল----একটা নালী দিয়ে তার শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া সকল বর্জ্য পদার্থ আবার সে গিলে ফেলে---হে হে হে ---তার মানে বুঝতেই পারছেন----হে হে হে ---
একটু আগে উদরস্থ করা সকল সুখাদ্য গুলো পেট...