Archive - 2009

March 24th

ভোরের একটু আগে

অনীক আন্দালিব এর ছবি
লিখেছেন অনীক আন্দালিব [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৩/২০০৯ - ৩:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাত শেষ হয়ে আসছে ধীরে ধীরে। আকাশের দিকে তাকালে এখনও সময়টা আন্দাজ করা যায় না। আমি উঠে পড়ি। এপাশ ওপাশ অনেকক্ষণ তো হলো! বিছানাবালিশ ধীরে ধীরে উষ্ণ মনে হচ্ছে। আর কতোক্ষণ এভাবে গড়াগড়ি করা যায়?
আমি উঠে পড়ি। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি কিছু পরিষ্কার হয় না। তাও কী মনে করে তাকিয়েই থাকলাম। হালকা কুঁজো হয়ে বসলাম। আমি সবসময় এভাবে বসি। ছোটবেলায় নানী রেগে যেত, বলতো "পিঠ সোজা কইরা বয়। ব্যাঁকা ...


অনিকেতদা'র মার জন্মদিনে শুভেচ্ছা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৩/২০০৯ - ১০:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতবছর এরকম এক দিনে অনিকেতদারএই লেখাটা হৃদয় ছুয়ে গিয়েছিল। আমরা তো সচলে সবসময় সচলদের জন্মদিন পালন করি। তাই আমি ভাবলাম, আজকে আমরা সবাই মিলে অনিকেতদার মার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালে কেমন হয়?

মা, শুভ জন্মদিন!!!

দ্বিতীয় স্বত্তা

ditioshotta@gmail.com


প্রকৃতি যখন অসময়ে ডেকেছিল

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৩/২০০৯ - ১০:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১. গ্রামে

খুব ছেলেবেলা- আট কি নয় বছর বয়স। নানাবাড়ীতে গিয়েছি শীতের ছুটিতে। নানাবাড়ীর টয়লেটটা ছিল বাড়ী থেকে একটু দুরে জংলামতো নির্জন জায়গায়। তখন নানাবাড়ীর টয়লেট ছিল কাঁচা। বাঁশের বেড়ায় ঘেরা, আকাশ দেখা যেতো। নীচে বিশালাকার গর্তের ভেতর জমা হতো মানববর্জ্য। মঞ্চের মতো উঁচু জায়গায় দুটো তক্তার উপর দুই পা দিয়ে বসতে হতো। দুই তক্তার মাঝখানে ফুটো, সেটা দিয়ে নিক্ষেপিত হতো মানববর্জ্য। সে...


বায়োস্কোপের বাক্স ৪: আরো কাছাকাছি

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৩/২০০৯ - ৭:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অপরূপা নারীটি কাঁদছে, তার প্রেমিকের দ্বিচারিতার স্বীকারোক্তি শুনে:
Is it because she's successful?

পুরুষটি দুঃখিত, নতমুখ, কিন্তু সে সত্যি কথা বলে:
No, it's because she doesn't need me.

আমরা গান শুনতে পাই:

And so it is,
Just like you said it would be
Life goes easy on me
Most of the time.

And so it is
The shorter story


রোদমহল

ফকির ইলিয়াস এর ছবি
লিখেছেন ফকির ইলিয়াস (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৩/২০০৯ - ৬:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি হরিণ বুকের ভেতর পুষি
একটি শালুক জলহাওরের মূলে
একটি শালিক রোদমহলে ওড়ে
একটি সাগর পোহায় নগ্ননিশি

কার বয়নে বিকোয় চাঁদের ছায়া
কে ভুবনে রাখে ঋতুর স্মৃতি
ঘোরের ঘাসে ভোরের ছবি দেখে
দূরে হাসে শুক্লা ও অদিতি !

যাবার আগে স্রোতের আয়ু জানে
মাঘ মিশেছে মন্ত্রদের উজানে !


নতুন প্রদেশ!!

অপালা এর ছবি
লিখেছেন অপালা (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৩/২০০৯ - ৪:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশ থেকে বের হোয়ে এসে দেশ নিয়ে চিন্তিত হওয়া টা কতটা যুক্তি যুক্ত ঠিক জানি না। তবু, এখন ও কিছু টান আছে, রয়ে গেছে অনেক পিছুটান, আছে ২৬ বছরের সৃতি। দূর থেকে দেখি বলে ই হয়তো, পুরা ক্যনভাস টা চোখে পড়ে। বুঝার আর দেখার সীমাবদ্ধতা হয়তো আছে, তাও মন মানে না। যখন পত্রিকায় পাতায় সরকার তোড়ে জোড়ে নিজের রক্ষাবলয় বানাচ্ছে জংনের রাস্তায়। বাকী জংনের কথা কি একবার ও চিন্তা করছে? পাকিস্তানে ও কোনো না কোন ...


হারাবার মত অনেক কিছু

শাহীন হাসান এর ছবি
লিখেছেন শাহীন হাসান (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৩/২০০৯ - ৩:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখানে নি:শব্দে হারাবার মত আছে অনেক কিছুই।
জলজ হাঁসের কর্ণে এ-যে দেখি শামুকের দুল, পরেছে
নোলক তারা, বাপের বাড়ি যাবে বলে সেজেছে কন্যা?
ভিনদেশী পাখির পাখায় কেঁপে উঠে বিলের সলিল বুক,
জলকেলির উল্লাসে আনন্দে উপচে পড়ে পদ্মপাতার উপর
ছোট্ট নোরুলমাছ : পৃথিবীর বাতাস আর গন্ধ মাখে গায়।
মা আমার কখন ধরে রেখেছেন হাত- "ফিরে আসিস বাবা!”

ঝিম-ধরারাত, ঘোরলাগে স্বপ্নের উদরে সময়ের পৃষ্ঠায়।
হটাৎ গর...


ইয়োগা: সুদেহী মনের খোঁজে |২২| আসন: শল্‌ভাসন।

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৩/২০০৯ - ১:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘শলভ্‌’ শব্দের অর্থ পতঙ্গ। আসন অবস্থায় দেহটিকে অনেকটা পতঙ্গের মতো দেখায় বলে আসনটির নাম শলভাসন (Salabhasana)|

পদ্ধতি:
হাত দু’টো দেহের দু’পাশে লম্বাভাবে রেখে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাতের চেটো মেঝের দিকে এবং আঙুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ হয়ে থাকবে। চিবুক মেঝেতে বা একপাশে বাঁকিয়ে রাখতে পারেন। পায়ের গোড়ালি উপর দিকে সোজা হয়ে থাকবে। এবার পা দু’টো জোড়া ও সোজা রেখে মেঝে থেকে আনুমানিক দেড় হাত থেকে দু’হাত...


দুঃখবিলাসী

হাসিব জামান এর ছবি
লিখেছেন হাসিব জামান [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৩/০৩/২০০৯ - ১১:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একজনকে উৎসর্গ করা হল। যাকে উৎসর্গ করা হয়েছে তিনি নিজ দায়িত্বে বুঝে নেবেন।

কিছু কিছু মানুষ থাকে দুঃখবিলাসী টাইপের। তারা দুঃখকে মনের ভেতর সযতনে লালন করে। চেহারায় সবসময় একটা দুঃখী দুঃখী ভাব ফুটিয়ে তোলে আর কারো সাথে কোন কথা হলে বলে, “আমার না খুব মন খারাপ।” রেডিও জকিরা যেন এদের অপেক্ষাতে বসে থাকে সারাক্ষন আর চান্স পেলেই বাজিয়ে দেয় বাপ্পাদার গাওয়া দুঃখবিলাসীদের জাতীয় সঙ্গীত, “আজ ...


জ্যোতিষী

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা পারভীন শিমুল (তারিখ: সোম, ২৩/০৩/২০০৯ - ১০:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনের খেয়ালখুশির তো আর ঠিকঠিকানা নেই। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর হাবিজাবি গল্পের বইয়ের ভীড়ে যখন একটা কিরোর বই পেয়ে গেলাম, তখন জ্যোতিষী হবার ইচ্ছে মনের মধ্যে লাফ দিয়ে ওঠে। সেই উদ্দেশ্যে আমি রীতিমতো অধ্যয়ন করিয়া বিভিন্ন রেখা চিনিতে শিখিলাম। তারপর গ্রামের বাড়িতে বসত করার সময়টাতে যখন স্কুল করে এসে বাকি সময়টা, কাটে না দিন...অবস্থা, পুরোনো বিদ্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আশেপাশে ঘুরে বেড়ান...