“আসলে সোনার বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা কোনো বিষয়েই সোনার মেডেল বিশ্বদরবার হইতে আনিতে পারে নাই, তাই তাহারা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাইয়া দেশের গৌরব সারা পৃথিবীবাসীর কর্ণকুহরের মধ্য দিয়া মর্মে পৌঁছাইতে চাহিতেছে যে, দেখো, পৃথিবীতে এমন দেশও আছে, যেই দেশে এক দল শিক্ষার্থী আরেক দল শিক্ষার্থীকে যথাসম্ভব উচ্চ ভবনে তুলিয়া শূন্যে ছুড়িয়া মারে? তোমরা কি কেহ এই রূপ অভিনব ভাবনা ...
‘স্বাধীন বাঙলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র’ যা পরবর্তীতে ‘স্বাধীন বাঙলা বেতার কেন্দ্র’ নামে পরিচিত হয় তার প্রতিষ্ঠালগ্নে যে দশ জন শব্দসৈনিক জড়িত ছিলেন তাঁদের কয়েকজনের সাক্ষাতকারের উপর ভিত্তি করে সৈয়দ আবুল মকসুদ “স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র অরণ্য-বেতার” নামে একটি রচনা লেখেন যা অক্টোবর ২০০৬-এ প্রকাশিত ‘প্রথম আলো’র ঈদসংখ্যায় ছাপা হয়। রচনাটিতে প্রকাশিত
'আমার' বলে কিছু
আছে নাকী!
মাঝে মাঝে নিজেকে চিনতে পারি না
আর তুমি!
কতোইবা? বড়জোর ছ', বেশি হলে দশ
ধরলামই না হয়
শূন্য থেকে পরস্পরকে আমরা চিনি-
(তাই কী!)
তারপরও চকিত চোখে এখনও যখন তাকাও
কেঁপে উঠি--স্রষ্টার সামনে যেমন
লুপ্ত হয় লৌকিক জীবনজীবিকা...
বা হাতের মসৃণ মুঠোয়
হৃদয়টিকে খোসা ছাড়িয়ে
স্ট্রবেরির মতো স্ট্রেটকাট নিজের করে
চেপে রাখলেই
কী একান্ত হয়ে গেলাম!
হাসানতো বলে গেছে
মানুষ তার ...
লিখে যাচ্ছি নিঃসঙ্গতা আর খুলে যাচ্ছে
একটি বাদামী-দরোজা........................
জিতে যচ্ছে
জিতে যাচ্ছে প্রবল-প্রতাপ অবসাদ;
অসহ-দহনে ক্ষয়ে যাচ্ছে আয়ুর সোনালী ডানাগুলো
কোথায় পালাবো?
কোথায় ফিরবো?
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত নগরীতে ঠিকানা দিক্-চিহ্ন হীন।
অথবা
কোথাও কি কখনো আদৌ কোন ঘর ছিল?
দূরাগত মিহি সুরে বেজে ওঠা বীণ;
স্পর্শাতীত দিগন্ত-বলয়;
দিগন্ত-বালিকার কোন ঘর থাকেনা।
'চামেলী হাতের নিম্নমানের মানুষ' বাবা আমার রক্তে পড়ার নেশা ধরিয়ে দিয়েছিলেন একেবারেই শৈশবে। নানা ঘটনা-দূর্ঘটনায় আর্থিক অস্বচ্ছলতা তখন আরামসে জাঁকিয়ে বসেছে, অনেক ঈদেই নতুন কাপড় কেনা হয়নি কিন্তু বাবা আমার বই কিনে আনতেন।
রবিনসন্স ক্রুশো, হাকলবেরী ফিন, হাঞ্চবেক অফ নটরডেম পড়া হয়ে গেছে তৃতীয় শ্রেনীতেই। অনুবাদ নয়, একেবারে ইংরেজী। বাবা নিজে অনুবাদ করে করে শুনাতেন। উচ্চবিদ্যালয়ে উঠ ...
ব্রিজের উপর দুর্বৃত্তের সাথে ধস্তাধস্তির কোনো পর্যায়েই শক্ত মাটিতে পতন আমার আশঙ্কায় ছিল না। অথচ তাই হল। বড় বড় বাতিগুলো ব্রিজের উপর সুদূরগামী নৈশকোচকে পথ দেখায়। তলার খোঁজ নাই। অন্ধকার অংবং খেলছে। আর শক্ত শীতল মাটি। গোঙাতে গোঙাতে বললাম - জেগে থাকো - সভ্যতায় ফিরতে হবে। আসা যাওয়ার এই রাস্তায় ফেরা তো অবশ্যই যায়। দুর্বৃত্তসকল ব্রিজের উপর দিয়ে ফেরে। উহারা সংসারগামী।
আমার স্বল্পদৈ ...
আমি এখন যেই আত্মীয়দের সাথে আছি স্যান এ্যান্টনিওতে, তাদের সাথে আমার অনেক আগে থেকেই নানা জিনিস নিয়ে নানা রকম আলোচনা হতো। পরিবারের সবার সাথে এ পর্যায়ে আলোচনা করা যায় না; ওনাদের সাথে পারতাম। বিশেষত অপু ভাইয়ের বিশাল বইয়ের সংগ্রহ দেখে লোভে পড়ে গিয়েছি। আজকে দুপুর একটার মধ্যে যতগুলো শেষ করা যায় আরকি। ওনার সংগ্রহের সাথে আমার ওভারল্যাপ খুব বেশি।
গতরাতে ড্যান আরিয়েলির 'দ্য আপসাইড অফ ই ...
আমরা সবাই মৃত্যু নিয়ে কথা বলা এড়িয়ে চলি কিংবা চলার চেষ্টা করি। বিশেষ করে শিশুদের সাথে। শিশুরা তাদের বড় হয়ে ওঠার সাথে সাথে মৃত্যুর সাথেও পরিচিত হতে থাকে। তাদের আশপাশ থেকে অনেক চেনা মানুষ হারিয়ে যায়। ওদের কচি মনে অনেক ভাবনা উঁকি মারে।আমারা যারা বড় তাদের উচিত শিশুদের কাছে মৃত্যু ব্যপারটা সহজ করে বুঝিয়ে বলা যেন এটা নিয়ে ওদের কোমল মনে কোনো জটিলতার সৃষ্টি না হয়।
শিশুমনে ঊকি দেয়া প্ ...
শহরে কৃষ্ণচূড়ারা সবে আসি আসি করছে, উত্তুরে বাতাস তার আনাগোনা বন্ধ করেছে কিছুকাল। ঘরের লেপ, কম্বল গুলো আস্তে আস্তে আলমারি, ট্র্যাঙ্কের ভিতর আস্তানা গেড়েছে, অপেক্ষায় আছে আগামী বছরের। রাতের জানালা গুলো আজকাল তাই আবার খোলা থাকে। সেই খোলা জানালা দিয়ে আসা আলো গলির অন্ধকার রাস্তায় আলো আঁধারির খেলা খেলে, আর খেলতে খেলতেই ঘর থেকে নিয়ে আসে শব্দ- কান্নার, হাসির, চিৎকারের আর কখনো বা শিৎকারে ...
মুনির তপন জুয়েল একদিনে এই তিন খুনে স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো সিলেট। সবার চোখে যেন আবার ভেসে উঠে শিবিরের পূর্বসুরি আলবদর রাজাকারদের একাত্তরের নৃশংসতার কথা। অন্যদিকে ট্রিপল মার্ডারের মাধ্যমে শিবির সিলেট নগরীতে আতন্ক ছড়ালেও খুনীরা ঠিকই পালিয়ে যায়। পালিয়ে যায় না বলে বলা উচিৎ তৎকালীন স্বৈরাচার সরকার খুনীদের নিরাপদে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। দেশে তখন স্বৈরাচার বিরোধী তুমুল আন্দোলন চল ...