Archive - ফেব 4, 2011

আন্না আখমাতোভার কবিতা

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৪/০২/২০১১ - ৯:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

In Memory of M. B.
Here is my gift, not roses on your grave, not sticks of burning incense. You lived aloof, maintaining to the end your magnificent disdain. You drank wine, and told the wittiest jokes, and suffocated inside stifling walls. Alone you let the terrible stranger in, and stayed with her alone. Now you're gone, and nobody says a word about your troubled and exalted life. Only my voice, like a flute, will mourn at your dumb funeral feast. Oh, who would have dared believe that half-crazed I, I, sick with grief for the buried past, I, smoldering on a slow fire, having lost everything and forgotten all, would be fated to commemorate a man so full of strength and will and bright inventions, who only yesterday it seems, chatted with me, hiding the tremor of his mortal pain.


শব্দের রসায়ন-১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৪/০২/২০১১ - ৯:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

Rimbaud এর a season in hell বইটি নরকের ঋতু নামে অনুবাদ করতে শুরু করেছিলাম। শিরোনাম "নরকের ঋতু" বদলে "নরকে পরম ঋতু" করলাম।

Une Saison en Enfer: Délires II: Alchimie du Verbe শিরোনামের ৫ম অধ্যায়টির প্রথম অংশ অনুবাদ করলাম। A. S. Kline এর ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হল।


পুনর্মাশুকভব

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ০৪/০২/২০১১ - ৪:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"ঐ যে পাখি! বকপাখি!" উৎফুল্ল স্বরে বলে ফাকমিদুল হক।

রমণ সুমহান বেজায় বিরক্ত হন। ফাকমিদুলকে ইদানীং আর সহ্য হচ্ছে না তার। নির্বোধ লোকের সঙ্গ তিনি অপছন্দ করেন না, কিন্তু সেই নির্বোধ যদি তার প্রাপ্য থেকে তাকে বঞ্চিত করে, তার ওপর চটবার বৈধ কারণ তৈরি হয় বই কি। ফাকমিদুলকে পশ্চাদ্দেশে একটা লাথি মেরে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দিতে ইচ্ছা করে তার, কিন্তু জীবনের সায়াহ্নে এসে তিনি বুঝতে শিখেছেন, ক্রোধ তার মহত্তম অবস্থানে পৌঁছায় সংবৃত হয়ে। তিনি মনের একটি কুঠুরি খুলে একটা চেরাগ বার করেন, তারপর রাগের দৈত্যটাকে পুরে ফেলেন তার ভেতর। ফাকমিদুলের পশ্চাদ্দেশে কোনো কিছুই এখন করতে যাওয়া সমীচীন হবে না। এখন মিত্রতার সময়।

কিন্তু ফাকমিদুল কাজটা কঠিন করে তোলে মুহুর্মুহু! "ঐ যে আরেকটা পাখি! কাকপাখি!"


মহাজ্ঞানী আলু!

স্বপ্নহারা এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নহারা (তারিখ: শুক্র, ০৪/০২/২০১১ - ৩:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

।।এক।।
ছোটবেলায় আমার সবচেয়ে প্রিয় খবরের কাগজ ছিল ইত্তেফাক। বড়দের রাজনৈতিক আলোচনায় হয়তো "ইত্তেফাক" আর "সংবাদ" রেফারেন্স হিসাবে পাশাপাশি থাকত ("ইনকিলাব" আর "সংগ্রাম" বাদ দিয়ে, ওইগুলান ভিন্ন লাইনের), কিন্তু অনেক কিছুর বিচারেই ইত্তেফাক ছিল এক নম্বরঃ বেকারদের জন্য অজস্র চাকরির বিজ্ঞাপন, বাড়ি ভাড়া, বিদেশযাত্রার সংবাদ, বিবাহের খবর, দেশি বাংলা সিনেমার বিজ্ঞাপন (সেই আমলের সামাজিক-রোমান্টিক ছবি), আরও কত কী! কিন্তু আমার শৈশবের ইত্তেফাক প্রিয় হওয়ার একমাত্র কারণ ছিল 'টারজান'! সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে টারজানের সেই তিনটা ব্লক পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে পত্রিকাওয়ালার অপেক্ষায় বসে থাকতাম।


বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ!!

দিগন্ত এর ছবি
লিখেছেন দিগন্ত (তারিখ: শুক্র, ০৪/০২/২০১১ - ৭:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশ্বকাপ এসে গেল, আমার লেখাও চলে এল। ফুটবলের বিশ্বকাপ নিয়ে আমি যতটা মাথা ঘামাই, এ নিয়ে আমি তার কানাকড়িও না। সত্যি বলতে, ক্রিকেটপাগল এক দেশে না জন্মালে আমি এই সাড়ে সাত ঘন্টার খেলা দেখার মানুষ হতামই না। তবে বলে নেওয়া ভাল, ছোটবেলায় যে ক্রিকেট খেলা দেখতাম, তার তুলনায় এখন অনেক ভাল। তখন পাঁচদিনের ভার্সান দেখাই যেত না, একদিনের ভার্সান প্রায়ই একঘেয়ে হয়ে যেত। এখনও মাঝে মাঝেই একদিনের খেলা একঘেয়ে হয়ে যায়, কি


প্রশ্ন-উত্তর

নির্জন স্বাক্ষর এর ছবি
লিখেছেন নির্জন স্বাক্ষর [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৪/০২/২০১১ - ৫:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেকদিনের ভ্যাপসা গরম জীবনের রস-রূপ-স্বাদ-গন্ধ শুষে নিচ্ছিলো একেবারেই। তারপর সেদিন যখন দুপুর থেকেই আকাশ কালো হওয়া শুরু করলো তখন একটু স্বস্তি পেলাম। ঝড়ো বৃষ্টি না হোক, গরমটাকে তাড়াতে অন্তত একটু মাঝারি বৃষ্টিই হোকনা কেন? শেষমেশ সেই বৃষ্টি পড়ল অফিস থেকে বের হবার সময়ে। বৃষ্টিতে ভিজতে সবসময়েই ভালো লাগলেও সারাদিন অফিস করে রাস্তায় জমে থাকা কাদা পানি মাড়াতে হবে ভাবতে ভালো লাগে?


শূন্য রাতের গল্প

বালক এর ছবি
লিখেছেন বালক (তারিখ: শুক্র, ০৪/০২/২০১১ - ৩:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এতো সাজ জীবনেও সাজেনি নীলা। আজ এতো সেজেছে যে তার কান্না পাচ্ছে। কান্নাটা সেজেছে বলে যে পাচ্ছে তা নয়। কান্না পাচ্ছে তাকে আজ পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায়। সাজিয়ে-গুজিয়ে মানুষের সামনে নিয়ে যাওটাকে নীলা সহজ করে নিতে পারছে না। দুঃস্বপ্নেও এমটা ভাবেনি নীলা। অথচ আর তার মা-বাবা এই কাজটা করলেন। নিথর হয়ে বসে আছে নীলা। কি করবে, কিছু কি পারবে করতে; ভেবে যাচ্ছে, ভেবেই যাচ্ছে!


বইমেলার গল্প- গ

নিবিড় এর ছবি
লিখেছেন নিবিড় (তারিখ: শুক্র, ০৪/০২/২০১১ - ২:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আমার সন্তান যেন চোখ খুলে দেখে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: শুক্র, ০৪/০২/২০১১ - ২:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

কাঁপাকাঁপি জিনিসটা সবসময় ভালো না। আমার কথা বিশ্বাস না হলে হাইতির লোকজনকে জিজ্ঞেস করে দেখুন। অনেকে আবার ভ্রুকুঞ্চিত করে আদিম কাঁপাকাঁপির দিকে অদৃশ্য আঙুল বাঁকিয়ে ধরবেন, তারা নিতান্তই কাঁপনমূর্খ। আদিম রসাস্বাদনের সাথে কাঁপাকাঁপির কোনো সরলরৈখিক সম্পর্ক নাই, সেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ছন্দটাই আসল এবং সেই ছন্দে কাঁপাকাঁপি প্রায়শঃই ঋণাত্মক অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু রসায়ন, ভূতত্ত্বে কাঁপাকাঁপিকে সৎছেলের দৃষ্টিতে দেখা হলেও আমাদের বাংলাদেশে তাকে আদর করে পত্রিকার পাতা ভরা হয়, জনমানুষের চেতনাসুদ্ধা সেই কাঁপন পৌঁছে দেয়া হয়। ৩০ মিনিটের কাঁপাকাঁপিতে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস লেখার যুগান্তকারী বিষয় আমরা সবাই জানি। এবার তার সাথে যোগ হয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের মতো দুনিয়া কাঁপানো ঘটনা। অবশ্য বিশ্বকাপের ৪৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৮ ম্যাচের আয়োজক বাংলাদেশের টিকেট না পাওয়া হতাশ দর্শক ঘরে ঘরে টিভিতে, রাস্তার মোড়ে বিগস্ক্রীনে এবং অতি অবশ্যই ছাপড়া চায়ের দোকানের কম্পমান চেয়ার-টেবিলে কি মাত্রার কাঁপাকাঁপি সৃষ্টি করতে পারবেন, যাতে দুনিয়াসুদ্ধা লোক কেঁপে কেঁপে দোয়া ইউনুস পড়বে, সে বিষয়ে সন্দেহ থেকে যায়।