ধলপহর। নিশ্চুপ নিস্তব্ধ চারিদিক, মৃদুমন্দ হাওয়ায় কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়ার মত রহস্যঘন কুয়াশা ঘিরে আছে চারিপাশ, চোখের দৃষ্টি কয়েক গজ সামনে সেই ধোঁয়াটে পর্দার অন্য পারে কি আছে সেই সুলুক সন্ধানে ব্যকুল। এর মাঝে আমরা চলেছি শিমুল কাঠের ক্যানুতে চেপে রূপতি নদী বিহারে, উদ্দ্যেশ্য সত্যিকারের বুনো কুমির আর ঘড়িয়াল দর্শন! স্থান- নেপালের সুবিখ্যাত চিতোয়ান বন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশে ভারতীয় (কলকাতা + মুম্বাই) চলচ্চিত্র প্রদর্ষনের অনুমতি দেয়া হচ্ছে এই বিষয়ে খবর বেরিয়েছে।সিনেমা শিল্পের খুবি effective এবং ব্যাপক একটি ধারা বলেই আমরা জানি। সিনেমা, নাটক এর মাধ্যমে যেভাবে সাধারন মানুষকে সম্পৃক্ত করা যায় তা আর্ট এর আর কোন ধারার সাহায্যেই সম্ভব নয়।তাইত "পথের পাচালি"এর অপূর মৃত্যু, দূর্গার সাথে আমদের কেও কাদায়, "অন্তর্জলি যাত্রা" র মৃতপ্রায় বুড়োর সাথে
[justify]
মার্কিনদেশে শিশুপালন করতে গেলে এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে সবাইকেই যেতে হয়। এটা এক বিশাল দেশ। এই মাথা থেকে ওই মাথা পর্যন্ত সারা দেশে মুড়িয়ে রেখেছে এরা চমৎকার সব রাস্তা দিয়ে। বিমানযাত্রার খরচ বাঁচাতে এই রাস্তাগুলো দিয়ে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দেন বহু বহু পরিবার। সমস্যা হচ্ছে বাচ্চাগুলোকে নিয়ে। হাজার মাইলটা যে আসলে কি জিনিস সেটা বোঝানো বড় দায়। ধরা যাক হিউস্টনে যাচ্ছি, শহর থেকে রওনা দিলাম শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায়, হাইওয়েতে ওঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম পাঁচটা চল্লিশ...
মূল ঘটনায় যাওয়ার আগে, আমরা যে বাসায় থাকতাম তার একটা বিবরণ দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছি। আমরা থাকতাম একটা বেসরকারি কোম্পানির চাকুরেদের জন্য তৈরি একটি কোয়ার্টারে যেখানে মাত্র দুইটা বিল্ডিং ছিল। বিরাট এলাকা দেয়াল দিয়ে ঘেরা, এক কোনায় দেয়াল ঘেষে সামনাসামনি দুইটা ৫ তলা বিল্ডিং। আমরা থাকতাম সামনেরটার নিচতলার ডানপাশে। বিরাট বারান্দার তিনদিকে ৩টা ঘর। প্রতিটা ঘরের বারান্দার দিকে একটা দরজা, আবার একটা করে দরজা দিয়ে
দশ বারো দিন আগে পরে আমাদের গ্রামের বাড়িটায় কোত্থেকে দুটো কুকুর এসে হাজির হল। রোগাভোগা শুকনো মলিন মুখ। একজনের আগুনেরঙা বড় বড় ঝোলানো লোম আরেকজন খয়েরি কালোয় মেশানো নেহাত দিশি চেহারা। আমাদের বাড়িটায় লোকজন নেই, সারাবছর খালিই পড়ে থাকে। তাই ওরা হাজির হল পাশের বাসায়। সেটা বড়মামার বাসা। সেখানে লম্বা টানা মাটির বারান্দায় তিন বেলা তিরিশ চল্লিশজনের পাত পড়ে। এরকম সম্পন্ন গেরস্থের বাসায় দুটো কুকু
বোকার মতো পক্ষ ধরে,
মরবো কেন খাদে পড়ে?
ভেদাভেদের নীতি ভুলি,
আমার পথেই আমি চলি।
পক্ষ যেন লক্ষ লক্ষ,
আমি সদাই নিরপেক্ষ!
১.
'আপু, আপু, ওই জিনিসটা আমাকে কিনে দাও।'
'কোনটা? ওটা তো বার্বিডল। মেয়েদের খেলনা। ওটা দিয়ে তুই কি করবি?'
'না না না। আমাকে দিতেই হবে, দিতেই হবে। দাও দাও, এক্ষুণি দাও।'
এই হচ্ছি আমি। আমার অনেক রাগ। কেউ কিছু না শুনলে আমার অনেক রাগ হয়। আমার কেউ নাই। শুধু রানু আপা আছে। রানু আপারও কেউ নাই। খালি বাবা আছে। রানু আপার বাবাকে আমি পছন্দ করি না। কিন্তু রানু আপাকে পছন্দ করি। অনেক অনেক।
ন্যাড়া মাঠটার দিকে বিষন্ন মনে তাকিয়ে কি যেন ভাবছে একটা মানুষ। পরনে তার লাল, গেরুয়া আর কালো রংয়ের পট্টি দেয়া অদ্ভুত কাবলির মত পোষাক। কাঁধে একটা সবুজ রংয়ের ময়লা চটের থলে। রুগ্ন ধরনের লোকটার চিবুকে একটুখানি দাঁড়ি, কিন্তু চোখে মুখে তীক্ষ্ণ একটা ভাব আছে। দেখেই মনে হয় খুব বুদ্ধিমান একটা মানুষ। অদ্ভুত পোশাকের এ তীক্ষ্ণ চেহারার মানুষটা পথচারীদের কারো চোখই এড়িয়ে যাচ্ছে না। সবাই যাবার পথে আড়চোখে
[justify]যারা জগা খিচুড়ির প্রথম দুই পর্ব পড়েছেন, তারা ইতোমধ্যেই জেনে গেছেন এই খিচুড়ি কোমল পেটে হজম হবার নয়। এ খিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের মসলা আছে, তাঁর মধ্যে কিঞ্চিৎ (!) অশ্লীলতার গন্ধ পেতে পারেন কেউ কেউ। সুতরাং সামনে এগুনোর আগে সাবধান! তবে কিনা অশ্লীলতার সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। আমার নিজের কাছে যে কোন ধরনের ফ্লপ রসিকতাকে অশ্লীল মনে হয়। যেটা শুনে হাসি আসবে সেটা আবার অশ্লীল হবে কেন?