Archive - 2011

August 15th

ইশ্বরের খোঁজে - আমার যৌক্তিক ভাবনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৫/০৮/২০১১ - ৮:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধর্ম ও বিজ্ঞান সব সময়ই পরস্পর বিরোধী। একটি কখনো আরেকটিকে স্বীকার করতে চায় না। ধর্মের মূল ভিত্তি হচ্ছে অদেখা কাল্পনিক বস্তুতে বিশ্বাস, বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি হচ্ছে তত্ত্ব, পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও যুক্তিতে।
ধর্ম ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমি তাই বিজ্ঞানকেই সমর্থন করি।


তাই আমি কুম্ভকর্ণ , অতিবুদ্ধিমান কাক কিংবা গণ্ডার হয়েই থাকতে চাই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৫/০৮/২০১১ - ৮:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমরা আবার উত্তেজিত হয়ে উঠেছি । এবার আমরা হারিয়েছি আমাদের এমন দু জন বুদ্ধিজীবী কে যাদের স্থান অপূরণীয় । আমাদের এই উত্তেজনা কিছুদিন চলবে তারপর আমরা আবার ঝিমিয়ে পরবো। আমাদের আসলে কিছুই করার নেই। এমন করে এক একটি ঘটনা ঘটবে আমরা উত্তেজিত হয়ে চেঁচামেচি করবো । তারপর কিছু দিন পর উত্তেজনা প্রশমিত হলে নিজের কাজে বাস্ত হয়ে পরব । আবার কিছু ঘটবে আবার চেঁচাব । আমন করে আবার, আবার বারবার । আমাদের চোখের সামন


দেশবিদেশের উপকথা-সেফালাস ও প্রোক্রিস (গ্রীক)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ১৫/০৮/২০১১ - ৪:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেফালাস ছিলো পবনদেব ইয়োলাসের পৌত্র। পিতামহের মতই দিলদরিয়া ছিলো সে। আর উপরি হিসাবে সে ছিলো খুবই শিকারপ্রিয়। ভোররাতেই সে বনে বনে হরিণ শিকার করতে বেরোতো। আর পুব আকাশ থেকে ঊষাদেবী ইওস তাকে দেখতেন। আহা, কে এমন চমৎকার ছেলেটা? খবরও নিলেন, এ ছেলে পবনদেবের নাতি। জেনে দেবী আরো পুলকিত হলেন আর রোজই তাকে দেখতে লাগলেন আরো ভালো করে। দেখতে দেখতে একদিন দেবীমহাশয়া পড়ে গেলেন প্রেমে।


একটাই প্রশ্ন...

সুজন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুজন চৌধুরী (তারিখ: সোম, ১৫/০৮/২০১১ - ৪:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

stop bleeding
কাণ্ডারী দেখ মরিছে মানুষ, সন্তান মোর মা-র ।


বইখোঁজা

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি
লিখেছেন শাহেনশাহ সিমন (তারিখ: সোম, ১৫/০৮/২০১১ - ১:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রায় যুগ আগে। এনডিসি ক্যান্টিনে বসে স্প্রাইট সহযোগে খাশির প্যাটিস চিবুচ্ছি। ক্লাসের বেঞ্চসঙ্গী একটা বই ঠেলে দিলো। কলেজ লাইব্রেরির বই, বোর্ড বাঁধাই, প্রচ্ছদের কোনো বালাই নাই। নিউজপ্রিন্ট ছাপা। পড়া শুরু করলাম। রিসেসের পরের তিনটে পিরিয়ড ওটা নিয়েই থাকলাম। শেষ করতে পারিনি। ফেরৎ দেয়ার শেষদিন ছিলো, তাই ওটা ফেরৎ গ্যালো লাইব্রেরিতে।


দ্বিবর্ণ জাতক ১

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: রবি, ১৪/০৮/২০১১ - ১১:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


প্রায় দুই দশক আগের একটা ঘটনার প্রেক্ষিতে পরস্পর সম্পর্কহীন এই তথ্যগুলি হয়ত কৌতূহলোদ্দীপক, কিন্তু যুক্তির বিচারে কোনই গুরুত্ব বহন করে না। ১৯১০ সালে চট্টগ্রামে ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়োগ পাওয়া আইসিএস অফিসার ড্যাশের উড়িষ্যা থেকে আসা খাস বেয়ারার নাম ছিল দুর্গা, আবার তার রেকর্ড রুম পরিষ্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাঁওতালদের দলনেতার নামও ছিল দুর্গা মন্ডল। এদিকে আবার ১৯০০ সালে বার্মার লেফটেনেন্ট গভর্নর ফ্রেয়ারকে লেখা লর্ড কার্জনের চিঠিতে উল্লেখ করা “ক্রুসেড এগেনস্ট ইম্পিউরিটির” নেত্রী মিসেস অ্যাডা ক্যাসেলের বান্ধবীর নামও ছিল দুর্গা খান্ডেলওয়াল। অসমর্থিত একটা সূত্রে আবার জানা গেল নাজিমুদ্দিনের কাজিন, আহসান মঞ্জিলের নবাবের ঢাকাক্লাব-চারিণী স্ত্রীর পরিবারের দুর্গা নামের একটা মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ছিল।

কিন্তু এই বিশেষত্বহীন দুর্গা নামটা অস্পষ্টভাবে আপাত সম্পর্কহীন কিছু চরিত্র এবং সময়কে একটা সুতোর মধ্যে গেঁথে আনছে বলে মনে হল। ইচ্ছাকৃতভাবে রেখে যাওয়া কোন ক্লু? নিজেকে খুব একটা যুক্তিবাদি বলে দাবী করতে পারলাম না।


‘স্বদেশ ফিরিয়ে দেয়া’ (তারেক মাসুদ স্বরনে)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৪/০৮/২০১১ - ৯:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি ওদের দেখেছিলাম একেবারে
কাছ থেকে, হৃদয়ের অতি কাছ
হতে ছুয়ে দিয়েছিলাম ওদের গভীর কালো ভেজা চোখ ।
শীর্নকায় পাঠকাঠির মত হ্যাংলা আর নিষ্পাপ
প্রানময় শরীর গুলোর সাথে আমি অনেক খেলেছি হাডুডু আর কানামাছি ।
হুজুরের নিঃস্পৃহ চোখ
পেরিয়ে প্রয়াশই ধরতে গিয়েছি কতযে লাল নীল প্রজাপতি
ওরা জানত ঐশী ছোঁয়ায় ওরা আলোকময় হয় অহর্নিশ
আমিও অবাক চোখে দেখতাম __
তূর পাহাড়ের নুর ভর করেছে ওদের ছোট্ট শরীরময়


কোন শিরোনাম দিতে পারবোনা!

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৪/০৮/২০১১ - ৯:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১. উৎসর্গ: মিশুক মুনীর, তারেক মাসুদ এবং তাদের মৃত তিন সঙ্গী

আজকাল মানুষের ভিড়ে মানুষ খুঁজিনা, নিজেকেই খুঁজি!
মানুষ এখন দ্রব্যগুণে মানুষ হয়ে গেছে, তাই বুঝি
মানুষ নগণ্য এখন, হয়ে গেছে নতজানু, পঙ্গু ক্রীতদাস -
এ-শুধু অক্ষম সময়ে টিকে থাকার সক্ষম প্রয়াস।

আজকাল মনুষ্যত্বের দাবি নিয়ে আসিনা মানুষের কাছে -
জেনে গেছি - ’মনু’ থেকে ’হুশ’ বিভাজিত হয়ে গেছে;
এ-কোন সারমর্ম নয়, নয় তর্কের খাতিরে আলোচনা,


বিচ্ছেদ এবং অতঃপর.............

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৪/০৮/২০১১ - ৮:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১)

[justify]সে যখন বলল, ‘তোকে না পেলে এই যে আঠারো তলা বিল্ডিংটা, এর ছাদ থেকে পড়ে মরব’। উপরে চোখটা রাখতেই মনে হচ্ছিল উঁচু ভবনটার মাথাটা যেন আকাশ ছুঁয়েছে। কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে প্রশ্ন করলাম, ‘আমার জন্য মরতে পারবি তুই?’ উত্তরে সে বলেছিল যে এর চেয়ে বেশী করার থাকলে তাই করবে। একটা অন্ধকার পাক খেয়ে গেল মনে তাকে ছাড়া আমার পৃথিবীর কথা ভেবে। ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে বললাম,‘ তুই মরে গেলে কি আমি বেঁচে থাকবো? আমিও চলে যাব এক সাথে’। অজানা আশংকায় হাতটা চেপে ধরে সে আমার। তারপর অনেকক্ষন দু’জনের কোন কথা হয়নি। বৃষ্টির ফোটা গায়ে পড়তেই সম্ভিত ফিরে আসে দু’জনেরই। রিকসার হুডটা মাথার উপর তুলে দিতে বাধ্য হলাম। পলিথিনে মোরা আমরা দু’জন যেন একটা ছোট ঘরে বন্ধী। প্রবল বৃষ্টি ভাসিয়ে নিচ্ছে আমাদের চারদিক। দিনটার কথা মনে আছে খুব। এখন থেকে তের বছর আগের এক ২৫ শে শ্রাবন দুপুরবেলা।


August 14th

সমবয়সী দ্বিধা

সৈয়দ আফসার এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আফসার (তারিখ: রবি, ১৪/০৮/২০১১ - ১০:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একাকীত্ব, দূরে আছো বলেই কি উইশ করব না!

আমি আর মন এক জায়গায় স্থির থাকতে পারি না
কি আশ্চর্য, ঘুমে জাগি, ঘুমে হাসি ভালো লাগে না
প্রস্তুতি, যৌথইচ্ছেকে একা পেয়ে নালিশ করো না
তারচে’ গোপনে চেপে যাও, যা ধরে রাখা যায় না

আমি হাঁটছি, সে হাঁটার রোমাঞ্চ খেয়ে বলছো কথা
শরীরের ভার ধরে রাখছে খাড়ারোদ, পায়ের পাতা
ডালে ঝুলে ফুল হও, ফল হও, গাছে পরাও ভাবনা