ও জানলে কি হবে
অ্যান্থনি ভারাল্লো
-
[justify]
[justify]তৃতীয় অধ্যায়: বাস্তবতা কী? (What Is Reality)
[justify]প্রথমে কিছুক্ষণ ব্লা ব্লা করা যাক। বাসাবাড়ি বাড়িঘর ঘরবাড়ি কোনোটার মানেই এক না। পূর্ববঙ্গের লোকেরা বাসা বলে। পশ্চিমবঙ্গে বাড়ি। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যোমকেশ মারফত এই তথ্য বলেন (আমি উচ্চশিক্ষিত)। এছাড়া, বাসাবাড়িতে মানুষ থাকে। কিন্তু বাড়িঘরে স্বয়ংচল বিমান থেকে বোম মারা যায় (পত্রিকা পড়ি)। বাড়িঘরে আগুন লাগে (ঐ)। বাড়িঘর বন্যায় ডুবে যায় (ঐ)। বাড়িঘরে প্রচুর দুর্যোগ। কিন্তু ঘরবাড়ি ছেড়ে দূরে থাকা যায়, বাসাবাড়ি হলে যায় না। আবোলতাবোল ভাবতে ভাবতে সময় কাটাই। ব্লা ব্লা ব্লা। তবে অন্যমনস্ক হওয়ার নিয়ম নাই।
অবেলার ঘুমের পর বিষণ্ণতায় অবশ বেমানান আমি নীরবতায় ডুব দেই,
আমার চারিদিকের নানা কোলাহল কমতে কমতে একসময় মিলিয়ে যায়।
ধীরে ধীরে নৈঃশব্দ্য দীর্ঘতর হতে হতে অনুভব করি
ক্ষীণকায় জীর্ণ নিঃস্ব আমি...
নিঃশব্দতার অবুঝ জাতক।
সিগারেটের আগুনে সময় পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে জমতে থাকে অ্যাস্ট্রেতে।
হঠাৎ হঠাৎ উদয় হয় এলোমেলো ভাবনা।
টুকরো টুকরো মুখ, ঘটনা আর অস্থির সময়ের ছবি।
কোথাও বাতাস নেই, সূর্য ছিটোচ্ছে বিস্তর
ঝাঁঝালো রোদের থুতু―
আজ সারা শহরে অবিরাম বৃষ্টি
শহুরে ভদ্র বৃষ্টি
চুপচাপ এসে চলে যায়
আমাদের জীবন থাকে বৃষ্টিহীন নিঃসঙ্গতায়...
আমাদের মধ্যবিত্ত প্রেম
কিছু সন্দেহ আর অবিশ্বাস
তবুও আমাদের ছোট সংসার,
বৃষ্টিও আজ কেমন যেন
আমাদের মাঝে হয় একাকার...
বৃষ্টি এবং আমরা মধ্যবিত্ত শহরে
ভীষণ একা আছি।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস
বোকা জনগন। জানে না তথ্য জানা মৌলিক অধিকার। সরকারকে তাই পয়সা খরচ করে SMS পাঠাতে হয় দুইদিন পরপর। অধিকার বজায় রাখতে গিয়ে আজকে গেলাম তথ্য মন্ত্রনালয়ে।
ওয়েবসাইট খুলেই প্রথমে দেখি দুই বছরের অর্জন জ্বলজ্বল করছে একটা লিংকে
বাইরে আলোছায়ার খেলা চলছে আর হাত ধরাধরি করে আমরা দু'জন পরিপার্শ্ববিচ্ছিন্ন হয়ে ফিরে গেছি আমাদের কিশোরীবেলায়। সেই তখন, যখন আমাদের বিশ্বাস ছিলো কাঁচা আর বিশুদ্ধ, যখন আমাদের মনের মোড়কটা কচ্ছপের খোলার মতন হয়ে যায় নি।
শিরোনাম:: 'হিরণ্ময়'
মনন:: আবহমান বাংলা।
লিখিত:: ১৭ মে ২০১১।
--- কবি মৃত্যুময়
সোনালি স্রোত রূপোলি আলোয় সোনাঝরা
বিকেলের রঙে হৃদয়ে রক্তসূর্য আঁকে- দেখি অপলক!
দীঘল জীবনজালে সুবর্ণ শরীরে এঁকেবেঁকে
স্বচ্ছ সলিলে মীণগণ অধরা অস্থির তবু আশা জাগে
জেলের মুমূর্ষু পালে বৈরাগী হাওয়া লাগে- দেখি সহাস্য তারে!
প্রাণহীন তরী সোনালি স্রোতে এলে অনন্ত যৌবনা, দিকহারা