সে অনেক কাল আগের কথা।
আরবের লোকেরা অবশ্য ততদিনে গুহা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে, তারপর গঙ্গা বইতে বইতে পদ্মা হয়েছে, পদ্মার চরে কুঁড়েঘর বানিয়ে আমরা উপরে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছিলাম “সচলায়তন”।
তো, অনেকের মনে আছে, অনেকে হয়ত ভুলেই গেছেন- সচলায়তনে একসময় অমিত আহমেদ নামে একজন সু-লেখক নিয়মিত লিখতেন। সু, মানে, ভাল লেখক তো তিনি অবশ্যই ছিলেন। কিন্তু আমার তাঁকে সু-লেখক ডাকার কারণ অন্য, সুদর্শন লেখক-কে সংক্ষিপ্ত করে আমি এই শব্দ হাজির করেছিলাম।
বইমেলায় অমিত আহমেদের বই বের হবে শোনার পরই আমরা কিছু পাপী বান্দা কল্পনা করেছিলাম, মেলায় গিয়ে স্টলে অমিত একটু দাঁড়ালেই হলো, ব্যস, আর পায় কে, বই সব হু হু করে সুন্দরী ললনাদের বগলদাবা হয়ে যাবে! এবং সেই আনন্দে হয়তো ফরিদ রেজা সাহেব তখন সত্যজিতের নকল করে নতুন বই বের করে ফেলবেন, “বগলবন্দী বই”।
যাই হোক এই লেখার আসল উদ্দেশ্যে আসি। এখানে আপনাদের একটা অসম্ভব সহজ বুদ্ধি শিখাবো। কিভাবে সহজে আপনার বন্ধুকে বোকা বানাতে পারেন এই দিনে
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সচলায়তন মূলধারার একটি সংবাদপত্রের সাবসিডিয়ারী গ্রুপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। সচলায়তনের জনপ্রিয়তা এবং বিভিন্ন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এই সংবাদপত্রটি বরাবরই সচলায়তনকে প্রশংসার চোখে দেখেছে। এবিষয়ে দুপক্ষের দীর্ঘ আলোচনা শেষে পহেলা এপ্রিল থেকে সচলায়তন উক্ত সংবাদপত্রের ব্যানারে পরিচালিত হতে থাকবে। যথাসময়ে সংবাদপত্রটির নাম আপনাদের জানানো হবে।
চল্লিশ বছর ধরে যে মানুষটা একটা ছবি লেমিনেটিং করে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে, কেউ তার কথা শুনেনি, স্বীকৃতি মিলেনি প্রবাসের প্রথম পতাক সৈনিক মিছির আলির। ১৪ ডিসেম্বর বার্মিংহাম শহরের মিষ্টি দেশ রেস্তোরায় মিছির আলীর সাথে প্রথম দেখা। চ্যানেল আই'র ইউকে ও ইউরোপের এমডি শোয়েব ভাই, আমি, আমার সহকর্মী শুভ ভাই আর জামান ভাই আমরা চারজন আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধি সৈয়দ নাসিরের আমন্ত্রনে বামিংহাম প্রবাসী সুধিজন
১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ আর পরবর্তী কয়েকদিনে চট্টগ্রামের লালখান বাজারে পাক বাহিনী, তাদের দোসর আর বিহারীরা মিলে হত্যা করে প্রায় আড়াই হাজার বাঙালী। আমরা বাংলাদেশীরা গোল্ডফিস মেমোরি জাতি। তাই, সহজেই ভুলে যায় অতীতের কথা। লালখান বাজারে বসবাসরত বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশই জানে না এই নিশৃংস গণহত্যার কথা।
প্রচন্ড ধাক্কা, তারপর হঠাৎ যেন সবকিছু স্থির হয়ে গেল। বীথির চিৎকারে সজীবের হুশ ফিরল। সেই সংঘাত পূর্ণ রাজপথ, চারপাশে ভীত পায়ের ছোটাছুটি, তার মাঝে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে সজীব। আবারও বীথির চিৎকার "সজীব পালা"।
মনোরম একটি সন্ধ্যা। অভিজাত এলাকার বিস্তৃত মসৃণ সড়ক। দু' একটি ছিমছাম বহুতল বাড়ি। গোছানো মানানসই পরিপাটি ঘাস ও গাছ। বহুতল আবাসগুলোর পাশে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে কিছু সুদর্শন দোকানপাট, চীনা রেস্তোরা, অভিজাত স্কুল, আত্মসম্মানবোধে দৃঢ় বইয়ের দোকান, অত্যাধুনিক ও স্মার্ট যন্ত্রাদির স্টোর। সড়কে সাঁই সাঁই করে ছুটে চলছে চকচকে গাড়ি, রাগী বড়সড় বাস, ক্বচিৎ ক্ষ্যাপা হলুদ-সবুজ ট্রাক। এদের পাশ দিয়ে চিপা চাপায় মিশে গিয়ে
তাজুল ইসলামের কোনো ডাক নাম ছিল না।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসে ডেভিড ব্রুকসের একটি প্রবন্ধ পড়ে edge.org এর সাথে পরিচিত হলাম। তারপর গত কয়দিন ধরে রাত-বিরাত ওটাই পড়ছি।
‘দৈনিক আনন্দবাজার’ নামে পশ্চিমবঙ্গে একটি 'বনেদী' খবরের কাগজ আছে এবং তা বাংলাতেই ছাপা হয় এটা জানতাম। তবে আমি ভারতে গিয়েছি মাত্র একবার, পশ্চিমবঙ্গেও ছিলাম মাত্র দুই দিন। সেটাই আমার প্রথম বিদেশ সফর হওয়ায় স্বাভাবিক ট্যুরিস্টসুলভ উত্তেজনায় (অথবা আমার নিজের স্মৃতিভ্রষ্টতায়) এই বনেদী কাগজটি হাতে তুলে নেয়ার 'সৌভাগ্য' অর্জন করতে পারিনি। এমনকি পত্রিকাটির কারেন্ট অনলাইন ভার্সনও ইউনিকোড-সমর্থিত না হওয়ায় অনেক