অরণ্যে কমছে শ্বাপদ, বাড়ছে জনপদে
রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে খুন, আছে হিংসা প্রতিপদে।
নিজেদের কেউ কখনও পড়লে বিপদে
তেড়ে আসে পশুরাও তার প্রতিরোধে
আসে না মানুষ শুধু বাঁচাতে স্বজাতে!
কাক কোনোদিন খায় না কাকের মাংশ
মানুষেরা মানুষের খায়
গ্রেনেড গুলি, বুকেতে ছুরি, শিরচ্ছেদে
কতো আদমের প্রাণ যায়!
দ্যাখো বিশ্ব চরাচরে মানুষে বিদ্বেষ
বাড়ছে নিষ্ঠুর নৃশংসতা
কাঁদছে নীরবে মানবতা একা ঘরে
কবিতা, তুমি দিনে-দিনে অনেকদূরে চলে যাচ্ছো!
স্পাইন অপারেশনের পর থেকে আমাদের মেলামেশা
কমে গেছে, টেবিলে বসতে পারি না পিঠে ব্যথা করে
বুকে বালিশ চেপে লিখতে পারি না কাঁধের শিরাগুলো
ফুলে-ফেঁপে ওঠে... শুয়েও পারি না, ঘুমে চোখ টলে
জানি না, রণজিৎ দাশের ‘আমাদের লাজুক করিতা’র
মত তোমাকে কোথায় শোতে দেব? এই পরবাসে—
এই শীতের দেশে ফুটপাতেও তোমার জায়গা নেই
এখানে ফেরিওলাও পাবে না, যে আদরে বানাবে
মারুফি ভাইয়ের সাথে পরিচয় ধানমণ্ডি লেকের আড্ডায়। রাইফেলস এর মার্কেট কমপ্লেক্সের উল্টোদিকে সন্ধ্যার পর আমরা নানা কিসিমের লোক জড়ো হয়ে রাজাউজির মারি এবং তাদের স্ত্রীকন্যাদের নিয়ে আদিরসাত্মক গল্প ফাঁদি। একেক দিন একেক লোকের বন্ধুবান্ধব সেই আড্ডায় এসে জোটে, তাদের কেউ কেউ নিয়মিত আড্ডাধারীতে পরিণত হয়, কেউ হয়তো তর্কাতর্কি ঝগড়াবিবাদ করে সেই তল্লাট ছেড়ে বিবাগী হয়ে চলে যায়।
[ এই লেখাটার পেছনের উদ্দেশ্যটা বলছি, বেশ কিছুদিন আগে খুবই কাছের একজন আস্তিক বন্ধুর সাথে কিছু বিষয়ে কথা বলার সময় ধীরে ধীরে কথার প্রসঙ্গ বিবর্তনবাদের দিকে গড়ায়, স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহলী বন্ধুটি কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে, তখন তার কিছু সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দেখলাম, খুব সহজ ভাষায় ব্যাপারগুলো বর্ণনা করতে পারছিনা, বিবর্তন নিয়ে পড়ার পরেও সহজ ভাবে সেটি সেদিন বন্ধুকে বোঝাতে ব্যার্থ হয়েছিলাম, তারপর থেকেই
চারদলীয় জোটের রোডমার্চ কর্মসূচী সুন্দরভাবে শেষ হলো। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনুযায়ী আশংকা ছিলো- সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের বাধা দেয়া হয় কিনা, কেন্দ্রীয় না হোক নিদেনপক্ষে স্থানীয় সরকারদলীয় অতিউৎসাহী কর্মীরা ঝামেলা করলে বড়ধরনের রাজনৈতিক বিশৃংখলার সূচনা হতো। কিন্তু সে রকম কিছু ঘটেনি শেষপর্যন্ত। সরকার পক্ষ থেকে যেমন কোন প্রতিবন্ধকতা আসেনি তেমনি চারদলীয় জোটের আয়োজকরা ও এতো বড় আয়োজনে চমৎকার দক
জীবাণু, বৃষ্টি, মশা, গুলি ও অপমানের হাত থেকে রক্ষার জন্যে আপনার ত্বককে যেভাবেই হোক দুইশো দিয়ে গুণ করুন।
স্বর্গে প্রমত্তা জায়হুন নদীর তীরে ঈশ্বর বিরক্তমুখে পায়চারি করিতেছেন। অদূরে আদম উদাস মুখে বসিয়া বসিয়া বাদাম চিবাইতেছে। গিবরিল ঈশ্বরের পিছু পিছু সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রাখিয়া ডানা ঝাপটাইয়া বাতাস করিতেছে।
ঈশ্বর অস্ফূটে কহিলেন, "ফেরিঘাটে দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া ঠ্যাং দুটি ব্যথা হইয়া গেল!"
আদম হেঁড়ে গলায় গান ধরিল, "জায়হুন-ঢেউ রে এ এ এ, মোর শূন্য হৃদয় জায়হুন নিয়ে যা, যা রে ...।"
'আশি'র পরে তিতির চোখে আর জ্যোতি ছিলো না।
অথচ, আমরা সেখান থেকেই আলো নিয়ে,
আলো নিয়ে বানিয়েছি সোনার বালিয়াড়ি।
সেখান থেকেই স্বপ্ন নিয়েছি-কেমন দ্যুতিময় ছিল শৈশব!
কাঁপত ভবিষ্যত, তিতির চোখের মত তিরতির-
আর আমরা অবেলায় সানাইয়ে চমকিত
আমপাতার শিরায় লুকিয়ে ফেলতাম গোপন অভিজ্ঞতার সমস্ত আয়না!
মাঝে মধ্যে দুটি একটি অবুঝ মুখ দেখা দিয়ে মেলাত সাবধানে
আমরা ফিরে গিয়ে চৈত্রের ধূলার মাঝে
[justify]
১.
বিখাউজ বলে একটা রোগ আছে। ঢাকা কলেজের সামনে বিখাউজ রোগের ওষুধ বেচতে দেখেছি। যে কোনো জনবহুল স্থানে ওষুধ বিক্রেতারা এই রোগের ওষুধ বেচেন। সেই থেকে অনুমান করতে পারি যে এই অসুখটা মানুষজনের বেশ হয়। আমিও মাঝে মাঝে বিখাউজ রোগে আক্রান্ত হই, সে সময়ে যাই দেখি সেটাই বিখাউজ লাগে। বতর্মানে সেই বিখাউজ রোগ চলছে। সকালে এক পশলা বিখাউজ বৃষ্টি দেখে, একটা বিখাউজ জ্যাম পেরিয়ে, আমাদের অফিসের বিখাউজ লাল রঙের (যেটার আগে অন্য রঙ ছিল, বিভিন্ন জায়গায় জং-টং ধরে লালচে হয়ে গেছে) ভবনে ঢুকে, দৈনন্দিন বিখাউজ কাজ সেরে বিখাউজ এই লেখাটা শুরু করলাম।