ভদ্রলোকের বাসাটা নীচ তলায়। মহল্লার রাস্তার সাথে লাগোয়া এ বাসাতে তিনি থাকেন সপরিবারে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে। চার তলা বিল্ডিংটার বাইরের গেইটটা খোলাই থাকে সাধারনত। সকাল তখন সাড়ে আটটা। অফিসের উদ্দেশে বের হচ্ছেন। বাসার মেইন দরজা খুলে বাইরে পা দিতেই ৩ জন লোক তাকে ঘিরে ধরল। ছোরা হাতে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে বাসার ভেতরে নিয়ে গিয়ে দরজাটা লক করে দিল। তাদের সাথে ধস্তাধস্তির কারনে ভদ্রলোক কিছুটা আহ
১.
দেখেছি পাখীর ডানা আসলে ততটা কোমল নয়
আসলে ততটা কোমল নয় জলবতি নদী
কিংবা একটি রজনীগন্ধার আদ্যোপান্ত শরীর;
আমাদের অনুভূতির মত কোমল আর কোন কিছু নেই!
------------- ১৫.১০.২০১১ বরিশাল
২.
সব কথা যায়না বলা, এমনকি সব অনুভূতিও প্রকাশ করা যায়না!
বন্ধু, এতদূর শুনে ফেলো আর এত গভীরে দেখো বলে
তোমার শূণ্যতার সাথে পাল্লা দিয়ে যায় -
অসহ্য বিলাস!
পদ্মা সেতু
তারেক মাহমুদ
হবে-হল-হচ্ছে বলে
তিন বছর কাটলো
নতুন করে আবুলটাও
ফন্দি যে আঁটলো।
সততার সার্টিফিকেট
কথায় কথায় আনে
তদন্তের দলে এখন
বিএনপিকেও টানে।
তদন্ত দল হলেই
গাইবে তারা সাফাই
বস্তা ভর্তি টাকা হাতে
আবুলটা যে লাফায়।
স্বপ্ন আসে স্বপ্ন ভাসে
স্বপ্ন পদ্মার জলে
পদ্মা সেতুর স্বপ্ন বুঝি
গেল রসাতলে।
দোহাই লাগে শেখ হাসিনা
করেন একটা হেতু
স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবার পর গ্রামে বেড়াতে যাবার রেওয়াজটা আজকাল উঠে গেছে কিনা জানি না। আমাদের সময় ওটাই ছিল বছরের সেরা রিক্রিয়েশান। প্রাইমারী পেরিয়ে হাইস্কুলে ওঠার পর গ্রামে গেলে মজা করা হতো খুব। শহরে আমার ভাবগুরু ছিল বড় মামার ছেলে তমাল। ক্লাসে আমার এক বছরের বড় হলেও গ্রামে গেলে আমরা বন্ধু। বড় মামা শহরে থাকতেন, মেঝমামা গ্রামে।
২০০৯। গ্রীষ্মের ছাঁতিফাটা গরমে হাসফাঁস করছে কলকাতা। আমরা আধো অন্ধকার আলোর মধ্যে ঘরময় বইয়ের স্তুপের ভেতরে বসে আছি। আমার চোখ কবি ও প্রাবন্ধিক তরুণ স্যানালের মুখের উপর স্থির। দু'কান - প্রাণভরে তার কথা শুনছে। কথা বলতে বলতেই- মাঝে মাঝে তার দৃষ্টি চলে যাচ্ছে জানালার পাশে বেড়ে ওঠা রক্তজবা গাছটির পাতার ফাঁক গিলে আকাশের দিকে। ঝাকড়া চুলের মত বেড়ে ওঠা এই রক্তজবার চারাটি তিনি বয়ে এনেছিলেন সেই সূদুর পাবনা থ
দিনগুলো অসহ্য মনে হচ্ছে অলির। বেশ অনেকদিন হোল মেয়েটির সাথে সরাসরি কথা বলতে চাচ্ছে, কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে তার বাসা-কলেজ, কলেজ-বাসা, বাসা-কোচিং, কোচিং-বাসায় যাতায়াত। এই ব্যূহ ভেদ করে কলির কাছে যাওয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। মনের ভাব অবশ্য এতো বাঁধা বিপত্তি মানতে বাধ্য নয়। একটু চোখাচোখি, ঠোঁটে হাল্কা হাসির রেখা, লজ্জায় রাঙ্গা অবনত মুখ, অনেক আগেই বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল অপর প্রান্তে।
টিং...।
ভোর চারটের জনশূন্য লবি। ডাবলিনের বুকে এক নামী হোটেল। এলিভেটরের শীতল ধাতব দরজাটা খুলে যায় অপেক্ষমান তরুণীর জন্য।
বাক্সে ঢুকে ফিরে দাঁড়িয়ে তিনি লক্ষ্য করেন, বারের সেই লোকটা দ্রুত এগিয়ে আসছে এলিভেটরটা ধরার জন্য।
কাউন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে এতক্ষণ যে এক দঙ্গল লোকজনের সঙ্গে তাঁর টুকটাক কথাবার্তা চলছিল, তার মধ্যে এই লোকটাও ছিল। তবে সে নিজে ছিল চুপচাপ, কেবল তাঁর কথা শুনে গেছে।
কোলাবোরেটিভ লার্নিং ই-বুক - "শিখবা নাকি ক্যামেরাবাজী?" যাত্রা শুরু করেছিলো মুর্শেদ ভাইয়ের উদ্যোগে এবং পরে তাতে শামিল হয়েছিলেন প্রকৃতিপ্রেমিক-ও, সেই সাথে শোমচৌ-এর কারসাজির ক্যামেরাবাজি সিরিজ মিলিয়ে সচলায়তনের ক্যামেরাবাজি ইস্কুল বেশ ভালোই চলছিলো। আলোচনা হয়েছে অ্যাপারচার বা আলোকছিদ্র, পর্দাগতি বা শাটারস্পীড, সংবেদনশীলতা বা ISO, উন্মুক্ততা বা এক্সপোজার, ফোকাল লেংথ, HDR ছবি, বাবুর ছবি, বোকে/বোকেহ (Bokeh) এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে। কিন্তু সময়ের সাথে ইস্কুলের ক্লাস অনিময়িত হয়ে যাওয়ায় চিন্তা করলাম সিরিজটাকে নিজের স্বার্থেই পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন। এরই মাঝে সচলে অনেক প্রতিভাবান ফটোগ্রাফারের সমাবেশ হওয়ায় আমার চেষ্টা থাকবে আলোচনার সূত্রপাত করা, বাকী আলোচনা এগিয়ে নেওয়া এবং আমাকে শেখানোর কাজ আপনাদের সবার ।
[justify][=grey]বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান নিয়ে লেখা বড় কঠিন ব্যাপার। ভূতত্ত্ব বিষয়টি পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যার মত অতোটা জনপ্রিয় না হওয়ার কারণে ভূতত্ত্বে ব্যবহৃত খটমটে শব্দগুলোর কোন সুন্দর বাংলা প্রতিশব্দ তৈরি হয়নি। যেগুলো আছে সেগুলো এমনই দাঁতভাঙ্গা যে শব্দগুলো বাক্যে ব্যবহার করলে বাক্যের অর্থোদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ে। সঙ্গত কারণে এ সিরিজটিতে প্রচুর বিদেশি শব্দ বেড়ার ফাঁক গলে লেখায় ঢুকে পড়ছে। তাই পাঠক