লোটাখানা হাতে, উঁকি দিয়ে দেখি
জলের বদলে ছাই;
কামাল তু নে কামাল কিয়া ভাই ...
কামালের বড় খায়েশ হয়েছে
নরকে ঘুরতে যাই;
কামাল তু নে কামাল কিয়া ভাই ...
আদিষ্ট হয়ে মূল সেনাপতি বলে
"আমি ওই দলে নাই;
কামাল তু নে কামাল কিয়া ভাই" ...
তাইতো চলিছে একেলা কামাল
পুঁছিবার টাইম নাই;
কামাল তু নে কামাল কিয়া ভাই ...
স্কুলে থাকতে শিখিয়েছিলো জড় পদার্থকে ডাকাডাকি করার দরকার হলে নাকি স্ত্রীবাচক শব্দ দিয়ে ডাকতে হয়। জড় পদার্থ যেহেতু, সেহেতু ‘জ্বী স্যার’ বলে সালাম ঠুকে দাঁড়াতে পারবেনা বলেই জানতাম, তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম এদের ডাকাডাকি করার দরকারটা কী! বেশী প্রশ্ন করা বাচ্চাদের কেউ দেখতে পারে না, এখানেও তার ব্যতিক্রম ঘটে নাই, তাই মিনি দাবড়ানির সাথে ‘এটাই নিয়ম’ এই উত্তরেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিলো তখন! নিয়ম মানবো বলেই হয়তো তখন থেকেই আমি আমার সব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তিকে স্ত্রীবাচক সম্বোধনের সাথে সাথে ওদের সাথে গল্পগুজব করাও শিখে গেলাম! স্কুল থেকে এসে অবশ্য এর বেশী কিছু করারও থাকতো না। সবাই ব্যস্ত থাকতো আর আমার সারাদিনের স্কুলের কতশত গল্প শোনার সময় কারো হতোইনা! তাই আমার বড় পুতুলটাকে একপাশে বসিয়ে পেন্সিল বক্স থেকে শুরু করে চাইনিজ গল্পের বইগুলোকে পর্যন্ত লাইন ধরে সাজিয়ে গল্প করতাম, গোলমরিচ গুড়ো দিয়ে ডিম সেদ্ধ আর গ্লাস ভর্তি দুধ ভাগাভাগি করে খেতাম সবার সাথেই। আঁকার খাতায় ছবি এঁকে পেনসিলটাকেই বলতাম, ‘দেখেছো, আমি আর তুমি মিলে কতো সুন্দর ছবি আঁকি?’ সেই অভ্যাস আজও আছে।
সম্প্রতি স্কুলে একটা নতুন দায়িত্ব ঘাড়ে চেপে বসায় আমার বেশিরভাগ সময় কাটছে কলেজ বিল্ডিং এ। কাজটা লম্বা সময়ের যদিও, কিন্তু করতে হয় থেমে থেমে। আর আমাদের স্কুল বিল্ডিংটা থেকে কলেজ বিল্ডিংটা বেশ খানিকটা দূরে। এই কারণে একটু সময় পেলেই দৌড়ে স্কুল বিল্ডিং এ আমার পরিচিত গন্ডিতে আড্ডা দিয়ে কাটাবো সেই উপায়ও নেই। কাজেই এই সময়টাতে আমি বই পড়ি। সিরিয়াস টাইপ বই না। কলেজ লাইব্রেরি থেকে নিয়ে আসি হালকা
চাটগাঁও জিলা কয়েকশো বছর ধরে বাংলার মুসলিম শাসক আর আরাকানের মঙ্গোল শাসকদের টানাটানির বস্তু ছিল। পঞ্চদশ শতাব্দীতে এক পলাতক আরাকানরাজ বাংলায় আশ্রয় পান, পরে ১৪৩০ সালে গৌড়ের মিলিটারির সাহায্যে তিনি গদি ফিরে পান। কৃতজ্ঞতাস্বরুপ তিনি হুকুম জারি করেন তার বংশের লোক বার্মিজ পালি নামের সাথে আলি খান, সিকান্দার শা বা সেলিম শা এইরকম মুসলিম টাইটেল যুক্ত করবেন। ঐ নামে কয়েনও ইস্যু করা হয়। কিন্তু পরের প্রজন্মের আরাকানেরা বাংলার সাথে ভাই বেরাদরি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় আর ১৪৫৯ সালে পুরো চাটগাঁও জিলা বাংলার সুলতান বুরবক শা এর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়।
বাংলাদেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে জাহাজ ভাঙাকে শিল্প বলা হয়, যদিও ভাঙচুর ব্যাপারটাকে আদৌ শিল্প বলা যায় কিনা আমি নিশ্চিত নই। পৃথিবীতে পাকিস্তান, ভারত (শুধু গুজরাট), চীন, বাংলাদেশ এরকম হাতে গোণা কয়েকটি দেশে শুধু জাহাজ ভাঙা হয়। পরিবেশ দূষণের কারণে উন্নত বিশ্বসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই জাহাজ ভাঙা নিষিদ্ধ। চীন অবশ্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আবদ্ধ প্রক্রিয়ায় জাহাজ ভাঙে। আর আমরা ভাঙি খোলা সমুদ্র সৈকতে হাতুড়ি,
বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা শহরের বহুতল ভবনগুলো যেনো এই বৃষ্টিকে উপহাস করে। বড় বড় হাসপাতালগুলোর ভিতর থেকে তা আরো অনুভব করা যায় না। কেবিনে রোগী দেখতে এসে জানালা দিয়ে শুধু বৃষ্টির অঝোর ধারাই দেখা যাচ্ছে, শব্দগুলো অণুরনিত আর হচ্ছে না। কিন্তু এই অঝোর ধারা দেখেই দিপু কেমন উতলা হয়ে উঠলো। পালস দেখার জন্য রোগীর হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে, পালস বিট দূরে কোথাও হারিয়ে গেছে, সেখানে জায়গা দখল করেছে টাপুর টুপুর শব্দ।