Archive - জুন 15, 2013

বাবার জন্যে ভালোবাসা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৫/০৬/২০১৩ - ১০:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার বাবা তাঁর ছেলেবেলায় বাবা-মা'কে হারিয়েছেন। আরও স্পষ্ট করে বললে বলতে হয় যে, সামান্য বুদ্ধি হওয়ার পর বাবা তাঁর এক ভাবীকে জেনেছেন মা বলে, ভাইকে জেনেছেন বাবা হিসেবে। সময়ের পরিক্রমায় তাঁর সেই সম্বোধন টিকে থাকেনি। বালকবেলায় বাবা যখন সেই সত্যটা জানলেন তখন তা কেমন প্রভাব ফেলেছিলো তাঁর শিশুমনে - আমার ভাবনায় আসেনা। ৬৭-৬৮ বছর আগে বিধাতা আমার বাবার জীবনটা একরকম অনিশ্চয়তার মাঝে ফেলে দিয়েছিলেন। সেই দূর্গম গ


অসীমের অন্ধপথে

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান (তারিখ: শনি, ১৫/০৬/২০১৩ - ৫:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সময় কখনো এমন অস্থির হয়ে ওঠে
বাতাসের শীষ বাজে
শীষের শব্দেরা ঘুরপাক খায়
দরজা কপাটে বারান্দায়
আমাদের পোড়াঘরে
ছাইকয়লার অন্ধকারে

সময় কখনো এমন মন্থর হয়ে ওঠে
স্তব্ধ পাতালের গহীন নৈশব্দে
থমকে দাঁড়ানো পদধ্বনি
ফিরে ফিরে পেছনে তাকানো
আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ মৃত্যুময় পথে
সকলের সাথে একা একা নিঃসঙ্গ যাত্রায়

মরুঝড় সময়ের আঙুল ধরে
হেঁটে যাই অসীমের অন্ধপথে!


আমার ৫ বছরের মেয়ের চোখে কল্পনা চাকমা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৫/০৬/২০১৩ - ১১:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড আমাকে জানালো ১২ জুন সন্ধায় দৃক গ্যালারিতে ফরেনসিক স্টাডি শীর্ষক প্রদর্শনী (কল্পনা চাকমার সন্ধানে একটি আলোকচিত্র) হবে । মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম যাবো । যাওয়ার জন্য তৈর হচ্ছি আমারে ৫ বছর বয়সি মেয়ে ( সঞ্চারী ) কোথায় যাচ্ছি জানতে চাইল, বললাম দৃকে , শুনেই বায়না ধরলো সে যাবে ।গায়ে জ্বর বলে আমি নিতে চাইলাম না , কিন্তু সে যাবেই । বাধ্য হয়েই নিয়ে গেলাম । পুরোটা সময়


ইনফার্নো

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: শনি, ১৫/০৬/২০১৩ - ৮:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“মৌ, দেখো, গণ্ডোলা! আমরা গণ্ডোলায় চড়ব!”


রিওর সৈকত এবং নৈশজীবন

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শনি, ১৫/০৬/২০১৩ - ৬:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিঙ্কিণী রিনিঝিনি শব্দে কাঁচা ঘুমটা ভেঙ্গে গেল, জলতরঙ্গের মত তরল সুরেলা কয়েকটা কণ্ঠস্বর উড়ে বেড়াচ্ছে ঘরময়, তারই কোন একটা তন্দ্রাভেদী বাণ হয়ে কর্ণকুহরে প্রবেশ করা মাত্র আপাতদৃষ্টিতে হিমালয়ের মত অটল ঘুমখানা বজ্রআঁটুনি ফস্কা গেরোর মত জামানত হারালো। রিও ডি জেনিরোর লেমন গ্রাস হোস্টেলের এক কোণার কক্ষে তিন তলা খাটের সবচেয়ে উপরেরটাতে শুয়ে আছি, উপরের দিকে তাকালে নানা আঁকিবুঁকি সহ বিবর্ণ হতে থাকা ছ


আমার আমি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৫/০৬/২০১৩ - ৩:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেঘ ছোঁব বলে দুই দুইবার পাহারে গেলাম। কিন্তু ছুঁয়ে এলাম রোদ। মেঘলা মেঘলা একটা দিন দেখে বেরিয়ে পরলাম পাহাড়ে। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে যেতে যেতে দূরে বেশ মেঘ দেখা যাচ্ছিলো। মনে মনে খুশিই হলাম। কিন্তু এমনি দুর্ভাগ্য, যখন পৌছালাম তখন চারিদিকে চকচক করছে রোদ্দুর। আমার আর মেঘ ছোঁয়া হলনা। একটা সময় সমুদ্রে খুব যেতে চাইতাম। আর এখন পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়াই। হয়ত তখন আমি সমুদ্রের মত বিশাল ছিলাম। আর এখ


পলাশ নদীর খোঁজে

আশফাক আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন আশফাক আহমেদ [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৫/০৬/২০১৩ - ৩:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি তখন রোজ সকালে কলেজ পড়াই

এমনি এক ঘুমভাঙা সকালে
আকাশের মন খারাপ দেখে আমারও মন খারাপ হয়ে গেলো
খুব ইচ্ছে হল ক্লাস ফাঁকি দিয়ে শুয়ে থাকতে
মনিটরকে ফোনে জানিয়ে দিলাম, আজ আর ক্লাস হবে না
আজ তোমরা পলাশ নদীর তীরে ঘুরতে যাও
আমিও আসছি। ব্‌ষ্টিটা ধরে এলে আমিও চলে আসছি

-স্যার, পলাশ নদীটা কোথায়? ৬ নম্বরে যাব না ৩৬ নম্বরে?
আমি বললাম, ৩৬ নম্বরেই যা।


আসমান শুকোর মাহুত

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: শনি, ১৫/০৬/২০১৩ - ১২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আব্বা তুমি নাকি হাতির খেলা দেখাও?

শিশু নাসিরুদ্দিনের কথায় একটু হাসে আজিম, হ দেখাই। এখন খা।

আলুভাজি রুটির দিকে তাকালোই না নাসিরুদ্দিন। মুগ্ধ চোখে পিতার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, আমারে নিয়া যাইবা আব্বা হাতির খেলায়? আমি তোমার মত হইতে চাই। আমারে খেল শিখাইবা?

পাশে বসা নাসিরুদ্দিনের মা একটু শিউরে উঠে ছেলেকে একহাতে জড়িয়ে বলে না না, হাতির খেল তোরে শিখতে হইব না। তুই লেখাপড়া কইরা কাছারিতে যাবি, দেখবি তোর কত সম্মান হইব।

কাছারিতে কি হাতি আছে আম্মা?