Archive - জুন 2013

June 20th

এসো নিজে করি ০৯ - কিভাবে ভ্রমণ করবেন / How to travel like Tareq Onu - (পর্ব এক)

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/০৬/২০১৩ - ৩:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশ্ব ঘুরতে কয়দিন লাগে? বড়জোর তিনদিন। সেইদিন কি আর আছে যে ফিলিয়াস ফগ হয়ে ভৃত্য প্যাসেপার্তুকে বগলদাবা করে বিশ্বকে চক্কর দিতে পুরা আশি দিন লাগাবেন আর ফিরে এসে সেইটা নিয়ে আবার বিতং করে বই লিখে ফেলবেন। ঢাকা থেকে এমিরেটস এ চড়ে ৪ ঘণ্টায় দুবাই চলে যান। প্লেনে বাথরুম চাপলে বা থুতু ফেলতে মন চাইলে পাকি দেশের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্লেনের জানালা খুলে কাজ সেরে ফেলুন চটপট।


বুয়েটে র‍্যাগ প্রোগ্রাম : সীমা-পরিসীমা, অঘটন ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/০৬/২০১৩ - ৩:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিগত কয়েকবছরের ধারাবাহিকতায় এইবারের র‍্যাগ প্রোগ্রামটিও বিশৃংখল ঘটনা থেকে মুক্ত থাকতে পারল না। র‍্যাগ কনসার্টের পূর্বে প্রানজুড়ানো বৃষ্টিতে সবার যেখানে মাথা শীতল হওয়ার কথা, সেখানে ঝামেলা পাকিয়ে বসল প্রথমবর্ষের একছাত্র। ইঁচড়েপাকা জুনিয়র প্রপোজ করে বসল র‍্যাগব্যাচের এক ছাত্রীকে। তাও আবার একা নয়, যৌথভাবে। ছাত্রীর ভাষায় এবং অভিযুক্তদের পরবর্তী স্বীকারোক্তিতে যেটা ইভটিজিং হিসেবে গণ্য হয়েছে। এই ঘটনারই আরো বিস্তারিতে যাবার আগে আলোচনার সুবিধার্থে কিছু বিষয় অবতারণার প্রয়াস পাচ্ছি।


পাগলাত্মার প্রলাপ

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/০৬/২০১৩ - ৩:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


গল্পটা রহস্য পত্রিকা’র অক্টোবর-২০১০ সংখ্যায় প্রকাশ হয়।

আমি আনারুল। মা বলতেন ‘আনারুল হক’। বাবা ডাকতেন আনু নামে। গাঁয়ের লোকেরা বলত আনারুল পাগলা। ভাঙাচোরা অবয়ব। পাখির নীড়ের মত উষ্কখুষ্ক কেশশ্রী, সাপের খোলসের মত খসখসে ত্বক, অস্পষ্ট বাচনভঙ্গি, বোকাবোকা চাহনি আর বুদ্ধির ঘটে আমড়া কাঠের ঢেঁকি; সবমিলিয়ে গ্রামবাসীদের দেয়া পদবীটা ধারণ করার মত যথেষ্ট যোগ্যতা আমার ছিল। তাই আজও এই গাঁয়ে পাগল ও আনারুল সমার্থক দুটি শব্দ।


ময়ূরনৃত্য

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/০৬/২০১৩ - ৮:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

BeFunky_1


June 19th

রেলখাতের সমস্যাগুলো ও সম্ভাব্য সমাধানসমূহ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/০৬/২০১৩ - ৪:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

একটা বিশেষ দিনের ঘটনা দিয়ে শুরু করি-

৭ই জুন, ২০১২


সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফলঃ আসছে দিনের হিসেব-নিকেশ

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বুধ, ১৯/০৬/২০১৩ - ৪:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
শুরুতেই সদ্য সমাপ্ত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল ভিত্তিক কিছু তথ্য দেখা যাকঃ

বরিশাল বিভাগঃ
মোট ভোটার ২,১১,২৫৭। ভোট প্রদত্ত হয়েছে ১,৫০,৪৯২। ভোট প্রদানের হার ৭১% । ভোট প্রদান করেন নি ২৯% ভোটার।
প্রদত্ত ভোটের বিপরীতে, জয়ী বিএনপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের হার ৫৬% , বিজিত আওয়ামী প্রার্থীর ভোটের হার ৪৪%।


বিদায় ঋতুপর্ণ ঘোষ

রিক্তা এর ছবি
লিখেছেন রিক্তা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৯/০৬/২০১৩ - ৯:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঋতুপর্ণ ঘোষের নাম প্রথম শুনি চোখের বালি বের হবার পর। ক্লাসের ছেলেরা ঐশ্বরিয়ার পিঠ দেখতে পেয়ে খুবই আনন্দিত ছিল মনে আছে। তখনো আমার সেই সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হয় নাই। ধরেই নিয়েছিলাম ঐশ্বরিয়ার রূপ দেখিয়ে সিনেমার হিট করার তালিকায় আরেকটা সিনেমা যোগ হল। আমি কখনই খুব সিনেমা বা টিভি দেখার পোকা ছিলাম না। কাজেই এরপর কয়েকবছর আর তাঁর কোন সিনেমা উপভোগ করা হয় নাই।


দেশবিদেশের উপকথা-মহাবন্যা(সার্বিয়ান) (২)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ১৯/০৬/২০১৩ - ১২:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কুরেন্ত আর ক্রানিয়াৎস ঘুরে ঘুরে দেখছিল মহাপ্লাবনের (এইখানে প্রথম অংশ) পরের দুনিয়াটাকে। ডাঙা জেগে উঠেছে বটে কিন্তু কোনোখানে কেউ নেই। প্রাণশূন্য এক বিবর্ণ দুনিয়া। কেজানে কতদিন লাগবে আস্তে আস্তে গাছপালা পশুপাখিতে দুনিয়া ভরে যেতে। মানুষ জাতির মধ্যে আছে কেবল ক্রানিয়াৎস। সে এই বদলে যাওয়া দুনিয়া দেখে কেমন হতভম্ব হয়ে গেছে, মুখে কথা নেই। হাজার হোক, মানুষ ত


লাল খাতার লেখা

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৯/০৬/২০১৩ - ১২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লিখতে আমার একটুও ভাল্লাগে না। তবে এইবার লিখতে হবে।

নানার কলম আছে একটা, খুব সুন্দর, পুরোটা কালো, ক্যাপটাও, গায়ে তিনটে পাতার একটা ছবি খোদাই করা, আঙ্গুলে ছুঁয়ে দিলে কেমন আরাম লাগে, নামটাও সুন্দর, নানা বলে বুঝিয়ে দিয়েছে- ‘রেড লীফ’ মানে হল ‘লাল পাতা’। ‘লাল পাতা’ যে কলমের নাম সেটা কাল কেন কে জানে!

নানার অবশ্য ‘লাল পাতা’র লাল কলমও আছে, সেটা পুরোপুরি লাল। কলমতো লাল হবেই, ক্যাপটাও লাল, খোদাই করা ছবিটা লাল, এমনকি কালিও লাল! দুপুর বেলায় টেবিলের পাশটা এতগুলো লেখা খাতা বের করে নানা, এরপর চশমাটা চোখে দিয়ে লেখাগুলার দিকে তাকিয়ে থাকে আর বড় বড় করে একপাশটায় এক দুই পাঁচ সাত লেখে, লাল রং দিয়ে। এর নাম নাকি খাতা দেখা।

খাতা দেখার সময় নানার কাছে থাকা যায় তবে কিছু বলা যায় না, কলমটা হাত থেকে নেয়া যায় না, চশমাটা কেমন করে কানের দুইপাশে ঠিক ঠিক লেগে থাকল সেটা দেখা যায় না, এমনকি নানার মত করে এক দুই তিন লিখতেও মানা- আম্মু আর নানু আর খালামনি সব কিছুতেই “না না” বলে, নানা অবশ্য বলে না কিছু। কেবল পাঞ্জাবীর পকেট থেকে “ওভালটিন চকলেট” দেয় একটা। আবার একটা। তার মানে দুইটা। মাঝে মাঝে বিস্কুটও দেয়, হরলিক্স বিস্কুট। এই জন্যই থাকতে হয়, নয়ত বসে থাকতে আমার ভাল লাগে না একটুও। নানার মত খাতা দেখতে মন চায়।

খাতা আমারও আছে, তবে লেখা খাতা নাই, এটাও সমস্যা। এক দুই তিন চার আমি লিখতে পারি, তবে সব কয়টা সমান হয় না, এটা আরেকটা সমস্যা। আর আমার লাল কলম নাই, সেটা সবচেয়ে বড় সমস্যা।