সহসচল মনি শামিমের লুকিয়ে রাখা প্রতিভার বিকাশে আমার অল্প হলেও অবদান রয়েছে-- এই কৃতিত্বটুকু নিয়েই লেখা শুরু করছি। ছবি তোলা শখের হলেও আমার প্যাশনে পরিণত হতে পারেনি। যে কারণে ছবি তেমন তোলাও হয়না। হয়তো সমায়াভাব একটি বড় কারণ। ঠিক একই কারণে সাজিয়ে গুছিয়ে আর ছবি তোলা হয়ে ওঠেনা। ঘটা করে বাইরে যাব--সেটাও এখন হয়না। ঘরে বসে তো আর ফটোগ্রাফি হয়না!
আজ, আজ না গতকাল ২০ তারিখ বই মেলায় বিভিন্য স্টলে ঘুরতে ঘুরতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি স্টলের সামনে দাঁড়ালাম। সবই বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বই। এরমধ্যে একটা দেখলাম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর জীবনের বিভিন্য সময়ের ওপর আঁকা বিভিন্য শিল্পীদের আঁকা কিছু ছবি যা ছোটদের জন্যে প্রকাশিত হয়েছে। ছোট বোনের জন্যে কিনবো কি কিনবো না ভাবতে ভাবতেই ভেবে দেখলাম আমি নিজেও তো ছোট। এই ছবিগুলা কিনলে ছোট বোনের সাথে আমার চাহিদাও পুরন হয়ে যাবে। ভাবনাটা শেষ হওয়ার আগেই কিনে ফেললাম ছবিগুলো। এখানে তাঁর মধ্যে নয়টা ছবি শেয়ার করা হল। বাকিগুলোও আস্তে ধীরে শেয়ার করা হবে।
মাঝে মাঝে খুব অবাক হই, বুঝে উঠতে পারি না যে কেনো এই পাগলামী আমার ফটোগ্রাফি নিয়ে। আর মজার ব্যাপার হলো, এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়, বহু আগে থেকেই আমি এরকম! আমাকে যারা ব্যাক্তিগত ভাবে চিনেন, তারা খুব ভালো করেই এটা জানেন! মনে পড়ে অনেক আগের কিছু ঘটনা, ৮৯ কি ৯০ সালের দিকে হবে। বাসায় যত অনুষ্ঠান হতো সেখানে অবধারীত ভাবে ক্যামেরাটা আমার গলায়ই ঝুলতো। অন্য কোনো দায়িত্ব নেবার কথা বললেই আমার হাজারো অজুহাত কিন্তু ছবি তুলতে হবে – এটা বলা হলেই আমার আর কোনো রা নেই। ছবি তুলতে যারা ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতো, তাদের চেয়েও বেশি ব্যস্ত থাকতাম আমি ছবি তোলায়! কি এক বিশাল কর্মযজ্ঞ করে যাচ্ছি – এমন একটা ভাব নিয়ে এলোমেলো ছুটোছুটি লাগিয়ে দিতাম। আমরা তিন ভাইবোন মিলে টিফিনের টাকা, বাজার থেকে ‘মেরে’ দেয়া টাকা জমিয়ে ফিল্ম কিনতাম। ফুজি আর কোডাক ফিল্ম গুলো তখন স্টুডিও গুলোতে খুবই সহজলভ্য ছিলো। ISO জিনিশটা তখনও বুঝতাম না, শুধু ISO 100 লেখা দেখে কিনতাম। কারণ কোন এক স্টুডিও থেকে জেনেছিলাম যে, এটা বেশি স্পিডের ফিল্ম! কিন্তু কেনো এর স্পিড বেশি বা সেই স্পিডটাই যে কি, তা জানতে চাইনি। এখনো বাসার ‘ফ্যামিলি ফটো এ্যলবাম’-এ সবার মাঝে আমার অনুপস্থিতি এটাই মনে করিয়ে দেয় যে, ফটোগ্রাফারটি আমিই ছিলাম।
বিষণ্ণ কাজরীর মত কাঁদে
জলগন্ধী হাওয়া,
মধুকূপীর ছায়ামাখা সমাধির শূন্য বুকে
শিশিরের মত ঝরে মহুয়ার ফুল।
যে মৃতের মুখ ছিল আঁকা
কোনো এক বিরহীর নয়নচকোরে,
জীবন ফোয়ারায় ফিকে হয়ে যায়
অশ্মীভূত সেই ছবি।
তবু অনন্ত রাত্রি ঘুমোয়, নির্লিপ্ত
বিস্মৃত সেই প্রিয় মুখ।
সেই কোন কালে ওস্তাদ মুজতবা আলী বইকেনা প্রবন্ধে লিখেছিলেন - বই কিনে কেউ কখনো দেউলিয়া হয়না। আলী সাহেবের সারাজীবনের কাজ পিডিএফ হিসেবে নামাতে সময় লাগে মিনিট খানেক। খরচ লাগে শূন্য টাকা। সুতরাং দেউলিয়া হবার প্রশ্নই আসে না। একথা জানার পর তিনি বেঁচে থাকলে আজ কি বলতেন জানিনা। তবে 'বই চুরি করে কেউ কখনো পাপী হয়না' এই কথা নিশ্চয়ই বলতেন না।
অনুবাদ সাহিত্যে হাতেখড়ির জন্য ছোটোগল্পের চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারেনা, তার উপর গল্পটি যদি হয় ও হেনরি'র। এই গল্পটি মূলত অনুবাদ নিয়ে নিরন্তর আগ্রহের ফসল। প্রথম ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ হিসেবে ভুল-ভ্রান্তিগুলো সবাই আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবার সমালোচনা ও পরামর্শ একান্তভাবে কাম্য।
পরিশেষে, বন্ধু ফাহিমা আল ফারাবি ও ফরহাদ হোসেইন মাসুমকে ধন্যবাদ। তাদের পরামর্শ অনুবাদটিকে আরো প্রাঞ্জল হতে সাহায্য করেছে।
যারা মূল গল্পটি পড়তে চান, এখানে ঢুঁ মারতে পারেনঃ http://www.ciudadseva.com/sevacity/stories/en/henry/mammon_and_the_archer.htm
ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোর বাংলাদেশী ছাত্র এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে, প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে আমরা ইউনিভার্সিটিতে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে থাকি। এইবারের অনুষ্ঠানের একটা আয়োজন ছিল টক শো। তাতে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলাম আমি সাফি, বিয়ের পক্ষে ছিল শাহেদ এবং বিবাহিতদের পক্ষে ছিলেন আবীর - যিনি বিয়ের পর থেকে এখন চরম বিয়ে বিরোধী। আলোচনার মূল বিষয় ঠিক করি - বিয়ে করা কী উচিত নাকি উচিত না?