এই যে পাথর
শতাব্দীর পর শতাব্দী হয় তো পড়ে থাকবে কথাহীন
বসে কেউ জিরিয়ে নেবে
রোদ পোহাবে
আর কেউ কীটের কোলাহল আরতি লিখে
পাথরকে শোনাবে এক শ্বাসরুদ্ধকর কষ্ট, এবং
গল্প ।
এই যে পাতার ছায়া
আর বনের মধ্যে যে ছন্দে নাচছে অন্ধকার
এই নৃত্যে তুমি কি টের পাও, রাত আসছে ?
জীবনের কালি ফুরিয়ে যায়
লেখার শেষ আছে একদিন
এই তো পাথর জীবন ?
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কার্ড খেলতে একটা কমন সমস্যা হতো। টুয়েন্টি নাইন খেলার লোকের অভাব নেই, কিন্তু চারজন ব্রিজ খেলোয়াড় পাওয়া যায় না। টুয়েন্টি নাইন অল্পবয়সে খারাপ লাগে না, কিন্তু দীর্ঘদিন চালিয়ে যাবার মত মেরিট এটাতে নেই। কিছু কিছু সহপাঠীর অকশান ব্রিজ (বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজ বা আই বি নামে বহুল প্রচলিত) খেলার অভিজ্ঞতা ছিলো বটে, কিন্তু কন্ট্রাক্ট ব্রিজ খেলোয়াড় দুর্লভ।
(এটি মূলত: বিডিনিউজ২৪.কমের জন্য লেখা। কিন্তু আমি পাঠানোর পর পরই এই নিউজটি বের হয় যে কারণে আমার লেখা কিছুটা প্রাসংগিকতা হারায়। তাই ভাবলাম এখানে দিয়ে রাখি।)
পায়ের তলায় খাদ
[i]এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ..
এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
সত্তর বছর বয়সে কি আমি নিজেকে হিমালয়ের কোন দুর্গম গুম্ফায় আবিস্কার করব? নাকি আদিপুরুষের ভিটে আফ্রিকার সাভানার কোন লালমাটির গোলাঘরে? নাকি ফিনল্যান্ডের বরফাচ্ছন্ন লাল কাঠের উষ্ণ কুড়েতে? পলিনেশিয়ার প্রবাল দ্বীপে? নাকি প্রিয় ভুখন্ড পেরুর কোন নাম না জানা গ্রামে? পদ্মাপারের রাজশাহীতে? জানি না। তাতে আদৌ কিছু যায় আসেও না হয়ত।
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
[justify]
পৃথিবীর পাঠশালাঃ
"ক্যান উই গো টু ডিজনিল্যান্ড ফর মাই বার্থডে?"
"নারে মা...হাতে টাকা নেই একদম..."
"আব্বু ক্যান আই গেট অ্যান আইপ্যাড?"
"নাহ...ওই টাকার সমস্যা..."
"হাও অ্যাবাউট অ্যান আইপড টাচ?"
"টাকা বড় ইয়ে..." মিনমিন করে আমাকে জানাতেই হয়।
বাকাট্টা বাকাট্টা হৈহৈ হৈহৈ। প্রবল চিৎকার চ্যাঁচামেচির মাঝে একটা সপ্নের পতন। সাকরাইন। পুরান ঢাকার পৌষ সঙ্ক্রান্তির উৎসব। ঘুড়ির উৎসব। যখন সাকরাইনের কথা মনে পরে যায় মনে হয় আগের জন্মের কোন মধুর সপ্ন দেখে এই মুহূর্তে জেগে উঠলাম। পৌষের শেষদিন জানুয়ারির মাঝামাঝি ১৪ বা ১৫ তারিখ। চারদিকে শুধু ঘুড়ি,ঘুড়ি আর ঘুড়ি। সাদা, হলুদ, লাল,নীল, বেগুনি গোলাপি সবুজ কোন রঙ নেই তাই খুজে দেখার মত।
যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতায় এই পর্বটি একাধিক খন্ডে দিতে
হয়েছে। এটি আগের অংশের সরাসরি ক্রমধারা।
(এখানে ক্লিক করে আগের অংশটুকু পড়তে পারবেন।)
গল্পের সুত্রপাতের গল্প-
তিনি মাঝে মাঝে গল্প লেখেন। সবগুলো ঠিক গল্প হয়ে উঠতে পারে না। তবু একজন স্থায়ী পাঠকের মনোযোগ পেয়ে তিনি লেখালেখি জারি রেখেছেন। এই পাঠক তাঁর লেখার ঠিক ভক্ত নয়। যদিও তাঁর সব গল্প মনোযোগ দিয়ে পড়ে। গল্পের রেটিং করে, সমালোচনা করে, মাঝে মাঝে উৎসাহও দেয়। লেখক সেদিন একটা নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন। পাঠকের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহনে একটা গল্প হোক। কিন্তু এত রাতে কোথায় খুঁজবে পাঠককে। তাছাড়া ভৌগলিক দূরত্বও কম নয়। হোক দূর, হোক রাত, এখন ইন্টারনেট যুগ, এই যুগে পৃথিবীতে কিছুই দূর নয়, কোন সময়ই অসময় নয়। কিছু মানুষ আছে যাদের গরু খোঁজা করে বাস্তবে কোথাও পাওয়া না গেলেও ইন্টারনেটে বা ফেসবুকে ২৪ ঘন্টাই খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তিনিও যথারীতি খুঁজে পেয়ে গেলেন পাঠককে। দূরবর্তী পাঠক তখন ঘুম থেকে উঠে নাশতা করতে বসেছে মাত্র। প্রস্তাব পেয়ে প্রথমে দোনোমোনো করলেও অবশেষে সে রাজি হয়েছে গল্প সৃষ্টির অংশীদার হতে। লেখক এখনো জানেন না কি গল্প হবে। গল্পের কাহিনী না জানলেও তার একটা চটকদার নাম ঠিক করা হয়েছে- "অপ্রত্যাশিত বিদ্যুতের চমক"।
ভুমিকাঃ