ফেসবুকের কল্যাণে যত বালছাল সব ছেলিব্রেটি; মুশকিল হইতেসে অ-বালছাল ছেলিব্রেটিও আছেন। ফলে, ছেলিব্রেটি মাত্রই বালছাল এইটা নিশ্চয় করে বলা যাইতেসে না। সম্ভবত, এই বিষয়টারে অত্যন্ত নাজুক করে ছাড়বে প্রকৃত বালছালগুলা। পরে, ভালো লুকজন এইটা ছাইড়া যাবে, এবং প্রকৃত বালছালগুলার জয় হইবে, যেমন হইছে আমাদের দেশের রাজনীতি, সিনেমা, সাহিত্যসহ প্রায় সকল মাধ্যমে।
ফেসবুকে কিছু পড়শী
সদাই অনলবর্ষী
স্ট্যাটাসে আগুন জ্বলে শতগুণ "আমি বিপ্লব করসি!"
যখনই জামাত ধকলে,
তারা থেমে যান সকলে,
স্ট্যাটাসের খাতা ফুল-পাখি-পাতা-লতা নিয়ে যায় দখলে।
কভু ফুকো কভু গ্রামশি
তুলো ধুনে হলো আমসি
নামজাদা যতো বামজাদা কন, "শুরু হলে নাহি থামসি!"
মারা যায় যদি গোআ রে
বিপ্লবীদের খোঁয়াড়ে
দ্রোহের অনল নিভে গিয়ে ছোটে আগরবাতির ধোঁয়া রে।
ছাইভস্মতে ফুঁ দি না,
বুড়া শকুন মারা গেছে।
এই বুড়া গোলাম আজম পাকিস্তান আদর্শ রক্ষা তহবিলে চাঁদা উঠিয়েছিল। এই যে কি চমৎকার রশিদ দেখা গেলঃ
চাঁদার টাকা দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদ্যয় ঠেকানোর মতলব ছিল চান্দুর। আহারে বুড়া কদু, সেই বাংলাদেশের যে শুধু অভ্যুদয় হবে তাই না... মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে হাসপাতালে যে তোকে পটল তুলতে হবে এইটা কি আর জানতি রে ময়না? জীবন চোষে বটে।
প্রথম আলোর বান্ধা কলামিস্ট সোহরাব হাসান আজ "সিপি গ্যাং, গং এবং ‘নিষিদ্ধ শহীদ মিনার’" শিরোনামে একটি কলাম লিখেছে। তার লেখার বিষয়বস্তু টকশোজীবি পিয়াস করিমের মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়ার প্রতিবাদ ও তদরূপ ভাবধারার টকশোজীবিদেরকে প্রতিহত করার আহবান - এর সমালোচনা।
- দুনিয়াতে যতদিন ধরে উপর থাকবে ততদিন নিচ থাকবে, শাসক থাকলে শোষিত থাকবে, শ্রেণী থাকলে শ্রেণীবিভাগ থাকবে, বুর্জুয়া থাকলে প্রতিবাদী থাকবে, ডান থাকলে বাম থাকবে।
এক দমে বলে যেতেন কমরেড কামরুল ভাই। কামরুল ভাই আমাদের পাড়ার বাম নেতা। তিনি জন্ম থেকেই বাম। ভাত খান বাম হাত দিয়ে, লেখেন বাম হাত দিয়ে, ব্যাডমিন্টন খেলেন বাম হাত দিয়ে, মেজাজ খারাপ হলে আমাদের থাপ্পড়ও দেন বাম হাত দিয়ে। মাঝে মাঝে পারুল আপার বাম হাত ধরার চেষ্টা করেন নিজের বাম হাত দিয়ে। বাম হাত দিয়ে বাম হাত ধরা মোটেও সহজ কাজ নয়। সেটা হাত ধরা কম, হ্যান্ডশেক বেশী হয়। কামরুল ভাই শুধু বাথরুমের কাজকর্ম করেন ডান হাত দিয়ে। বাকি সবকিছুতে বাম। এমনকি শহরের মূল অংশ থেকে বড় রাস্তা দিয়ে আমাদের পাড়ায় ঢুকতে হলে ডানের গলিতে ঢুকতে হয়। কামরুল ভাই সেটা না করে একটু এগিয়ে গিয়ে পরের গলিতে বামে মোড় নেন। তারপর আবার বাম, তারপর আবারও বামে মোড় নিয়ে সোজা এসে পাড়ায় ঢুকেন। আড়ালে সবাই তাকে কামরুল না বলে তাই বামরুল বলে ডাকে। তিনি পাত্তা দেন না। এটাকেও পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করেন।
তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে রোজ না চাইলেও গুরুত্বপূর্ণ-অগুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয়, নিত্যনতুন-বস্তাপচা তথ্য চোখের সামনে এসে হাজির হয়। তথ্য কখনো গল্প, গল্প কখনো রূপকথায় বিবর্তিত হয়, তাও চোখের সামনেই। ইবোলা নিয়ে এরকমই অদ্ভুত সব তথ্য, গল্প, রূপকথা শুনে শুনে, দেখে দেখে আমি হয়রান থেকে হয়রানতর। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই বিশেষত মিথ/ফিকশন ছড়াতে মানুষের কল্পনাশক্তির চমকে বরাবরের মত আমি অভিভূত!
যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতায় এই পর্বটি একাধিক খন্ডে দিতে
হয়েছে। এটি আগের অংশের সরাসরি ক্রমধারা।
(এখানে ক্লিক করে আগের অংশটুকু পড়তে পারবেন।)
২৪ মার্চ, ২০১৪, সোমবার আমি, রাব্বি, কুমার, নোমান, আরিফ আর রনি বেরিয়ে গেলাম বান্দরবানের উদ্দেশ্যে। গন্তব্য বগালেক, পুকুর পাড়া, রাখাইন ফলস। আর আসা-যাবার সময়ের দুর্দান্ত সব পথ তো আছেই! ৫ দিন হাঁটা আর আরাম - আয়েশের একটা ট্যুর ছিলো এটি। সাথে ছিলো আমাদের গাইড বিকাশের অসাধারণ বার্বিকিউ, আমাদের মন ভরে হুল্লোড়, ছবি তোলা এবং পাহাড়ি ললনাদের সাথে সুযোগ বুঝে টাংকিবাজী। ট্যুরের প্রথম কিস্তি শুধু বগালেক নিয়েই দিলাম।
‘নাদ’।
সংস্কৃত ‘নাদ’ শব্দ থেকেই এসেছে নদী শব্দটি ।
‘নাদ’ অর্থাৎ ‘শব্দ’। যে জলপ্রবাহ শব্দ করে, ওরা নাদবতী। নাদবতী মানেই নদী।
মহর্ষি যাস্ক নিজেকে প্রশ্ন করলেন, ‘নদ্য কম্মাৎ?’ অর্থাৎ কেন ওরা নদী?
তিনি নিজেই জবাব দিলেন ‘নদনা ইমা ভবন্তি শব্দবত্যঃ’। অর্থাৎ শব্দ করে বলেই।