নিশুতি রাত। পাহাড়ি পথে গোধূলি টের পাওয়া যায় না, ঝুপ করে অন্ধকার নেমে আসে। গাড়ি চলছে সাপের মতো। একেঁ বেঁকে। হেড লাইটের আলোয় দেখতে পাচ্ছি পাহাড়ধ্বসের খাড়া কার্ণিশ। ঝাকুনি খাচ্ছি মাঝে মাঝে। দক্ষ ড্রাইভার নির্বিকার। সিডিতে বাজছে, পারদেশি... পারদেশি... জানা নেহি...মুঝে ছোড়কে...। কে জানে কোথায় বিপদ লুকানো!
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ইহা একটি ফুল, পাখি, লতা, পাতা জাতীয় ব্লগ। মিশ্র ভাষার দোষ এর জন্য আগেই ক্ষমাপ্রার্থী।
অনেকদিন ব্লগ লিখিনা, এই ভেবেই মনে হল একটু কিবোর্ড গুঁতাই। আজকে ফেসবুকে মুর্শেদ ভাইয়ের একটা পোস্টে গণিত সম্পর্কিত আলোচনায় নিজের কিছু স্মৃতি মনে পড়ল। ভাবলাম তাই লিখি টুকটাক।
স্ট্যাচু অফ লিবার্টাইন
সারাটি জীবন গালি দিয়া গেনু, শেষ বয়সেতে আসিয়া
গ্রেট নেশনের বরমালা দিনু তারই গলে ভালোবাসিয়া
মে দিবস সে তো তারই অবদান
টেকা ও গতরে সে-ই প্রধান
আমৃকারেই বুকে টেনে নিনু, পাত্তা দেই না রাশিয়া
ইন্ডিয়ায় গত জুন মাসে তাদের সুপ্রিম কোর্টের আদেশে প্রি-মেডিক্যাল এক্সাম (AIPMT = All India Pre Medical Test ) বাতিল হয়েছিল কারণ তাদের ওখানেও প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। ৩মে ২০১৫ পরীক্ষাটা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ইন্ডিয়ার সবগুলো প্রদেশ জুড়ে এই পরীক্ষাটা হয়, অংশ নিয়েছিল প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল মূলত হরিয়ানায়, বিক্রি হয়েছিল ১৫-২০ লাখ রুপী করে। সেখানকার পুলিশ প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সেদিনই গ্রে
বার্মার মুলমিনে থাকার সময় টের পেলাম, জীবনে আর কখনও নিজেকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি আমার। কারণ ওখানে আমাকে একেবারেই দেখতে পারে না এমন লোক ছিলো বিস্তর। আমি ছিলাম ওখানকার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার। ইউরোপীয়দের প্রতি সেখানকার মানুষের এক রকম বিতৃষ্ণা ছিলো। বড় রকমের দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার মতো সাহস কারও হতো না বটে, কিন্তু বাজারের ভিতর দিয়ে কোনও ইউরোপীয় নারী হেঁটে গেলে তার কাপড়ে পানের পিকের দাগটা খুঁজে পাওয়া যেতো ঠিকই। আর আমি তো ছিলাম পুলিশ, নিজের গা বাঁচিয়ে আমাকে অপদস্থ করার একটা সুযোগও ছাড়েনি কেউ। একদিন ফুটবল মাঠে এক বার্মিজ আমাকে দিব্যি ল্যাং মেরে ফেলে দিলো। দেখি রেফারি ব্যাটা, সেও আরেক বার্মিজ, উদাস হয়ে তাকিয়ে আছে অন্য দিকে, দেখেইনি কিছু। ওদিকে মাঠের সব দর্শক হেসেই খুন হয়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনা একবার নয়, বার বার হতো। যেখানেই যেতাম, দেখতাম এই হলুদমুখো লোকগুলোর ব্যাঙ্গবিদ্রূপ। সবচেয়ে শয়তান ছিলো কম বয়সের বৌদ্ধ ভিক্ষুগুলো। সারাদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে গুলতানি মারা আর ইউরোপীয় লোক দেখলেই টিপ্পনী কাটা ছাড়া যেন এদের আর কোনও কাজ নেই।
DSC_1821 by Shamimur Rahman, on Flickr
১
বাড়ি ফেরার পথে তোমার মৃত্যু হয়।
এটা ছিলো একটা দুর্ঘটনা। তেমন আহামরি কিছু নয়, তবে প্রাণঘাতী। ভালো ব্যাপার হলো মৃত্যুটা ছিলো যন্ত্রণাহীন। মৃত্যুকালে তুমি রেখে গেছ তোমার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে। ডাক্তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলো তোমাকে বাঁচানোর। কিন্তু লাভ হয়নি কোনো। তোমার শরীর পুরো চুরমার হয়ে গেছিলো। বিশ্বাস করো, মারা গিয়েই ভালো হয়েছে।
আর তার পরেই তোমার সাথে আমার দেখা হয়।
ভদ্রমহিলার সাথে একবার চোখাচোখি হতেই তিনি চোখ ফিরিয়ে নিলেন। আমাদের এই দৃষ্টি বিনিময় হলো খুব স্বল্প সময়ের জন্য। কিন্ত এর মধ্যেই আমার মনে হলো সেই চোখজোড়াতে দহন আছে, জ্বালাও আছে। আমি দিন পনেরো ধরে রোজ ছাদে উঠছি আর তাকে ঠিক একই জায়গায় একইভাবে বসা দেখছি। বসার ভঙ্গিটি স্থির, নিশ্চল। আমি ছাদের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে দাঁড়াই। মেইন গেটের উপরে কায়দা করে বানানো খাঁচার ফাঁকফোকর গলে বাগানবিলাস গাছটা ছড়িয়ে পড়েছে। গ
[justify]"Time, you old gipsy man,
Will you not stay,
Put up your caravan
Just for one day?"
শহরের বাইরে গিয়েছিলাম। ফিরতি পথে এক বিমানবন্দরে লম্বা বিরতি। লাঞ্চ সারলাম, অনেক সময় ধরে বাথরুম সারলাম, দুই-একটা কাজের ফোন সারলাম, মেয়েদের সাথে ডু-ইউ-সি-হোয়াট-আই-সি খেললাম, এরপরও দেখি স্টপওভারের সময়টা শেষ হচ্ছে না। এর মধ্যে ফ্লাইটও ডিলেইড হয়েছে। শেষমেষ একটা ম্যাগাজিন স্টলে হানা দিলাম। হালকা কিছু কিনে বাকি সময়টা কাটিয়ে দেব।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশ (সিপিবি) এর সভাপতি। সাম্রাজ্যবাদী হেজেমনির বিরুদ্ধে আজীবন বিপ্লবী। বুর্জুয়াদের যম। বাংলাদেশের নিপীড়িত মেহনতি প্রলেতারিয়েতদের রক্ষাকর্তা। যার দাপটে বাঘ আর গরুও সাম্যবাদে অনুপ্রানিত হয়ে এক ঘাটে পানি খায়। এহেন ঘাগু কমরেড কিছুদিন আগে বিপ্লব করতে করতে সাম্রাজ্যবাদের সবচেয়ে বড় ডেরা আমেরিকায় এসে উপস্থিত হলেন। যখন শুনলাম তখন ভাবলাম 'বেশ বেশ এইবার বিপ্লবী কম