০১
মৃত্যু নিশ্চিত জেনে দুর্ঘটনায় পড়া একজন ড্রাইভার যখন বাস নিয়ে খাদের দিকে এগিয়ে যায়, সে তখন কী ভাবে ? কিংবা খাদের দিকে পড়তে থাকা অবস্থায় তার কী মনে হয় ? সময় কি তার কাছে মন্থর হয়ে যায় ? জীবনের সঞ্চয় সব স্মৃতিগুলি কি ভেসে উঠতে থাকে ?
[justify]
।১।
১৯৭১ সালের এপ্রিল সতেরো তারিখে মুজিব নগর সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিকতা দ্রুত শেষ হবার পর, প্রবাসী সরকারের নেতৃবৃন্দ আবার ভারতে ফিরে যাবার মুহুর্তে এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছিলো।ভারত সীমান্তে পৌঁছে সদ্যগঠিত বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিলেন- এখন আর উদ্বাস্তু নয় বরং একটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে আরেকটি রাষ্ট্রে তারা প্রবেশ করবেন। সুতরাং তাদেরকে যথাযথ আনুষ্ঠানিকতার সাথে নিয়ে যেতে হবে কারন এর সাথে নতুন রাষ্ট্রটির সম্মান জড়িত।
Mayabee!!! তুমি!! এটা করতে পারলে?
: আমার ইচ্ছে ।
: মানলাম - এটা তোমার Liberty। স্বাধীনতা। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে আরেকজন মানুষের কাছে জানতে তো চাইতে পারি - WHY? ? তুমি এটা করলে - কেন?
: না পারো না।
:তুমি এটাও বলতে পারো. কোন অসুবিধাে নই `I will not talk anymore with you.’ বলো। সমস্যা নেই। আমি শূধূ একটা কথাই বলবো -WHY?
সবুজ-শ্যামলে ঢাকা মাটির কাঁচা রাস্তার এক পাশ ঘেঁষে অজস্র নাম না জানা বুনোফুল, ঝোপঝাড়, পরিচিত ঘাসফুল। তারই মাঝে বাড়ন্ত এক কদম গাছের দীর্ঘ নরম পাতার আড়ালে এক টুনটুনির বাসা। বুনোফুলের সুভাস মাখা ছায়াঘেরা মাটির এই কাঁচা পথটি চলে গেছে দূরের শহরে।
রাস্তার ওপাশে নেমে যেতেই একটি খেলার মাঠ। জল-বৃষ্টি আর কাদায় লুটোপুটি খেয়ে একটি পুরোনো ফুটবল নিয়ে খেলায় মত্ত এক ঝাঁক দুরন্ত বালক।
সন্দেহ নেই, সুকুমার রায় কথিত হাসতে যাদের মানা সেই ‘রামগড়ুরের ছানা’ জাতীয় বাঙালির সংখ্যাই বৃহৎবঙ্গে অধিক। তবে নিজস্ব লেখনিগুণে পাঠককে হাসাতে পারেন এমন লেখকও কিন্তু বাংলা সাহিত্যে একেবারে কম নয়। যারা ঝকঝকে, নির্মল হাস্যরস ও সূক্ষ্ম-তির্যক ব্যঙ্গ কৌতুকের অনাবিল ‘রসের কারবারি’—এমন কয়েকজন রম্যলেখকের সাথে আমরা পরিচিত হই আরেক বিরলপ্রজ রসসাহিত্যিক আবদুশ শাকুরের রসিক বাঙালি নামক এক ব্যতিক্রমী বইয়ের মাধ্যম
[justify]ধরণীর সবচেয়ে বৃহত্তম বাহির প্রদর্শনী হিসেবে প্রচারিত ক্যালগেরী স্ট্যাম্পিড প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটককে কাছে টানে তার অসাধারণ রোডিও, ভয়ংকর সব রাইড, প্যারেড, মঞ্চ প্রদর্শনী, ঘোড়ার গাড়ির দৌড় প্রতিযোগিতা, মেলা এবং সর্বপরি তার উৎসবমুখর পরিবেশ দারা।
বিলুপ্তপ্রায় প্রেক্ষাগৃহ ও একটি আশঙ্কা
১৯৩৯ সালের কথা। মধ্য ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডের উপরে হঠাৎ করেই দুই দিক থেকে চড়াও হল জার্মানির হিটলারের নাৎসী বাহিনী এবং স্ট্যালিনের লাল বাহিনী (সোভিয়েত সাম্যবাদের ঝান্ডা উড়িয়ে), দখল করে নিল তারা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের ভূখণ্ড কেবলমাত্র আগ্রাসনের কারণে। আর আশ্চর্যজনক ব্যাপার এই আক্রমণের জন্য সেই দুই সরকারের মধ্যে চুক্তি পর্যন্ত সাক্ষরিত হয়েছিল!
ভোর হয়ে আসে পুবের দিগন্তে। একটা অতি হাল্কা সাদা আলোর চাদর এসে পড়ে মাটিতে, সেই ক্ষীণ নীহারশুভ্র আলোয় ঢেকে যায় নক্ষত্রমালা, হারিয়ে যায় সেই টলটলে নিবিড় রাত্রিনীল যার মধ্যে মণিকণার মতন টলমল দুলছিলো নক্ষত্রেরা, নীহারিকাসমূহ ছড়িয়ে ছিলো শুভ্র উর্ণাতন্তুর মতন!