[justify]
“আব্বু পেঙ্গুইনের টামির রং কি?”
আমি ঘুম জড়ানো গলায় উত্তর দেই - “পিংক”। এটা মেয়ের প্রিয় রং, পারলে দুনিয়া সে মুড়িয়ে দেয় এই রঙে। ছেলেদের রঙ হচ্ছে নীল আর মেয়েদের রঙ হচ্ছে গোলাপি, এটাই এই দেশে প্রচলিত ধারণা। সবাই মিলে এই গোলাপী রঙের স্তুপ ঢুকিয়ে দেয় মেয়ে বাচ্চাদের মাথার ভেতর। ছেলে আর মেয়ের বিভাজন মার্কিনিদের চেয়ে বেশি কারো পক্ষে করা সম্ভব বলে আমার মনে হয় না।
কমিক বানাবার ইচ্ছা অনেক দিন থেকেই। সেই ইচ্ছা থেকেই ছোট্ট একটা কাহিনী নিয়ে এক্সপেরিমেন্টালি বানানো কমিক ছায়া। একদম প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ তাই ভুল ত্রুটি থাকবেই। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবার অনুরোধ রইল।
আমার জীবনের এক বিরল অনুভুতির কথা আজ বলছি।আমি মা হয়েছি সেই অনুভুতির কথা।বিয়ের আগে শুনতাম নিজে মা না হলে এই অনুভুতি বোঝা যায় না।তখন এসব নিয়ে এত গভীর ভাবে কখনও ভাবিনি।কিন্তু আজ বুঝতে পারছি।
আমি আর আমার বোন খুব বেশী ছোট বড় না। আমি হাঁটতে পারতাম না আর আপু হাঁটতে শিখে গেছে তখন এই ছিলো আমাদের মধ্যেকার পার্থক্য! আমার বোন আমি হবার পর আমাকে মেনে নিতে অনেক টাল বাহানা করেছে। ছোট বাচ্চারা আরেকটা ছোট বাচ্চাকে দেখলে ভাবে যে আরেকজন মায়ের সব আদর নিয়ে নিলো মনে হয়। আমার বোনের ভাবনাটা অনেকটা এমনই ছিলো। আমি হবার পর ওর মনে হয়েছিলো আমি ইঁদুর!
৭ এপ্রিল সকাল ছটা
এখন আমি সাতক্ষীরার কৈখালী গ্রামে আফজালের বাড়িতে বসে ডায়েরি লিখছি। এখানে এসেছি গতকাল বিকেলে।
কাল সকালে ডায়েরি লেখা শেষ করে উঠতে যাচ্ছি, এমন সময় জগমোহন এসে জানাল, কে একজন আমার সাথে দেখা করতে চায়।
আমি সবসময় স্বপ্নে ছিলাম। একদম ছোট্টো থেকে, শৈশবের যতদূর মনে করতে পারি ততদূর পর্যন্ত নিজেকে স্বপ্নের মধ্যে দেখতে পাই। ঘুমের ঘরের মধ্যে স্বপ্নের নীল বিছানা, রেশমী চাদরে ঢাকা। ধূপের ধোঁয়া দিয়ে ঘেরা। মেঝেতে লাল আর সাদা চৌকো চৌকো নকশা, সেই ঘরেই আমি শুরু থেকে রয়ে গেছি।
২৪ মার্চ, ১৯৭৬। সেনাবাহিনী অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করল ল্যাটিন আমেরিকার অন্যতম বৃহত্তম রাষ্ট্র আর্জেন্টিনায়। জনগণের চোখে বরাররের মত আলো ঝলমলে ভবিষ্যতের স্বপ্ন এঁকে তারা পরিকল্পিত ভাবে দখল করে নিল সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র, কুক্ষিগত করল আইন ও বিচার বিভাগ। মহান বিপ্লবী চে আর্নেস্তো গ্যেভারার জন্মভূম
[justify]বয়সের দোষ থাকে নাকি! শৈশবে ক্ষতি নেই, কৈশোরে যতি নেই, যৌবনে জানা হয় ফাঁকি --- তারপর গৎবাঁধা, সাধ করে গলা সাধা, রাত জাগে ভোর হয় --- আমাদের টুকিটাকি যাপিত জীবন...

কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ও রবীন্দ্রনাথ—৬
স্মৃতি খুব ফাউল একটা পাবলিক, ছয়-সাত বছর আগের সহপাঠীকে ভুলিয়ে দিতে পারলেও নানা আজব জিনিস সে মনে রেখে দেয় যুগের পর যুগ। ছোট বেলার প্রায় সব কিছু ইতিমধ্যে ভুলে গেলেও বিশেষ কিছু জিনিস একেবারে আজীবনের জন্য মস্তিষ্কে পোঁতা হয়ে গেছে। লিটল জুয়েলস স্কুলে যখন নার্সারিতে পড়ি তখনকার এক স্মৃতি এখনও পুরো স্পষ্ট। অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিমের প্রথম বউ তখন বেঁচে নেই। তার দুটো মেয়ে আমাদের স্কুলে পড়তো। শহীদুজ্জামান সেলিম তখনও বিখ্যাত। সেই সময় আমি তাকে একবার দেখেছিলাম। দেখেছিলাম, সেলিম তার দুটো মেয়েকে দুই কোলে উঠিয়ে আমার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। শহীদ জিয়ার মতো এই স্মৃতির যেমন কোনোদিন মৃত্যু হবেনা, তেমনি বোধহয় মৃত্যু হবেনা 'বিদেশ' শব্দ সম্পর্কিত ছোটবেলার স্মৃতিরও। এখনও বিদেশ শব্দটা শুনলে আমার মাথায় যে জিনিসটা চাড়া দিয়ে ওঠে সেটা বোধহয় ক্লাস টু তে যখন পড়ি তখনকার। চাচা অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন। আমি খুব করে কান্নাকাটি করছি যেনো উনি আমাকে স্যুটকেসে ভরে উনার সাথে নিয়ে যান।