[justify]সৌরভ ট্রেন থেকে যখন নামলো তখন সন্ধ্যা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। স্টেশনের কাছেই একটা খাবার দোকানে হাত মুখ ধুয়ে সেখান থেকে পেট ভরে খেয়ে নিলো ও, বলা যায় না, থাকার জায়গা খুঁজে পেতে কতক্ষণ সময় লাগে আর তারপরে কোথায় বসে খাবার ফুরসত হবে কিনা। কাল সকাল থেকে আবার জয়েনিং।
আমার ছাত্রজীবন কেটেছে দুর্বিষহ যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে। পিতামাতা উভয়েই শিক্ষক, আমি কোনদিন বাসায় গিয়ে বলতে পারিনাই যে টিচার আমাকে নাম্বার দেয়নাই। তারা দুজনেই হাঁ হাঁ করে ঝাঁপিয়ে পড়তেন আমার উপর, টিচার নাম্বার দিবেনা ক্যানো হ্যাঁ? তুমি কিছু লিখতে পারোনাই তাই নাম্বার পাওনাই ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনারা সকলেই জানেন ক্লাস টেস্টের খাতা অভিভাবককে দিয়ে সাইন করিয়ে আনাটা ফরমালিটি মাত্র, অভিভাবক মাত্রেই উচিৎ চুপচাপ সই করে খাতা আবার ছেলেমেয়েকে ফিরিয়ে দেয়া। আমার পিতা তা না করে পুরা ছয়পাতা কষা অংক পড়তেন, তারপরে সই করতে করতে গম্ভীর স্বরে বলতেন, “পনেরোতে তিন দিল কেন বুঝলামনা, শুণ্য দেওয়া উচিৎ ছিল। সরল অঙ্কের উত্তর দুইশ পঁচাশি বাই সাতশ আঠাশ কিভাবে হয়।” পাষন্ড পৃথিবীর নির্মমতায় বালক সত্যপীরের চোখে তখন পানি।
“আরে, আপনি আপনার কার্ডটা ফেলে যাচ্ছেন, স্যার! মিস্টার বেগ?” পেছন থেকে চেঁচালো জেরিন। তারপর পিছু পিছু ছুটলো। কিন্তু ততক্ষণে দরজা ঠেলে রাস্তার ভীড়ে মিশে গেছে মাঝবয়েসি লোকটা, জালাল বেগ। কী আর করা। কার্ডটা পকেটে ঢুকিয়ে রাখলো ও। ফিরে এসে আবারো কাউন্টারে বসলো।
একটু পরে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলো ঝকঝকে চেহারার এক যুবক। ওর মনমোহিনী হাসিই বোধহয় টেনে আনলো যুবককে তার কাউন্টারে। সোজা এসে জেরিনকে বললো সে,
তীব্র বাজনার ঝঙ্কারের সাথে সাথে কঠোর জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী এক বৃদ্ধ পিতার একঘেয়ে কর্তব্যপোদেশ প্রবেশ করে শিশু অ্যাডলফের কানে, বিরক্তি ধরে যায় তার এমন জীবনধারার প্রতি, বিশেষ করে কলম পেষা কেরানীর ভূমিকায় আপন অভিভাবককে সারাজীবন অতিবাহিত করতে দেখে, বাবার মৃত্যুও ঘটে অতিসাধারণ ভাবে।
মূলঃ মার্ক টোয়েন
ইষৎ সংক্ষেপিত অনুবাদঃ মন মাঝি
আকাশ জোড়া বাউন্ডুলে মেঘের ছায়া
সেথায় ওড়াই মন খারাপের একলা ঘুড়ি।
আদুল উঠোন ঝেঁপে যখন বৃষ্টি নামে
তখন কে যায় আমার সঙ্গে মেঘের বাড়ি?
যেপথ ধরেই পৌঁছুতে চাই সুখের ডেরায়
পথ হারিয়ে হঠাৎ মেলে অন্ধ কুঠি!
ডাক পিয়নের চোখ খোঁজেনা এই ঠিকানা
ভুল ডাকে যায় তোমায় লেখা সকল চিঠি।।
কিছুই তেমন যায়না ধরা হাতের মুঠোয়
স্বপ্নের বীজ ভুল বাগানের ডেরায় ফোটে
আমি পাইনা ছুঁতে কারুর ইচ্ছে ফানুস
নাম: দ্যা ফ্লাওয়ার্স অফ ওয়ার
দৈর্ঘ্য: ১৪৬ মিনিট
বিষয়: নানকিং ম্যাসাকার, ধর্ষণ, চীন-জাপান যুদ্ধ
পরিচালক: ইমও জহাং
দেশ: চীন