আকাশটা কথা কয় নিমগ্ন সুরেতে
তুমি ডাক প্রায়ই;
আমি তো আকাশ পানে চেয়ে আছি গত
একুশটি শরৎ
একুশটি কুয়াশাময় পৌষে সাজিয়েছি
প্রেমাঞ্জলি কিছু।
জানি আসবে না, আসবে কি?
আকাশতো নিরুত্তর।
সে শুধু যে চিরন্তন সাদাকালো মেঘ
বয়েই নিয়ে চলেছে
আমার তো অনুভুতি –সব কেড়েই নিয়েছে
এক হাড় কাঁপানো শীতে।
আকাশটা কথা কয় নিমগ্ন সুরেতে
‘আশায় থাক।’
আমিতো আশায় আছি।
তুমি ডাক প্রায়ই
‘এসো।’
‘কিভাবে?’
‘না ...
আমার লাশটাকে ঘিরে ছোটখাট একটা জটলা। আশপাশের মানুষগুলো আমার কত জনমের চেনা। ওদের সুন্দর মুখগুলো কেমন যেন শুকনো আর মলিন।
আমার মাকে কেউ সামলাতে পারছে না। মা খুব চিৎকার করে কাঁদছে আর বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। মার যে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট। এমনভাবে কাঁদলে তো মাকে বাঁচানো যাবে না। মাকে থামানো দরকার। কিন্তু কার সে সাধ্য আছে?
আমি যখন মায়ের কোলজুড়ে আসি তখন কত বয়স হবে তার? বড়জোড় সতের-আঠের...
৪
রুবেন মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে, অল্প অল্প গোঙাচ্ছে আস্তে আস্তে৷ একটা তোয়ালের উপরে মুখ রেখেছে, তোয়ালেটায় রক্ত৷ মাঝে মাঝে কাশছে, মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে৷
সত্যক দেখে ঘাবড়ে গেলো, কি হয়েছে ওর? এইতো কিছুক্ষণ আগেও তো পুরো স্বাভাবিক ছিলো, কাজ করছিলো সত্যকের সঙ্গে, বিকেল প...
বিকেল নিয়ে সহজসরল কবিতা একখানা। একটা বড়ো জলরঙ ছবি এঁকেছিলাম আগে, তার একটা অংশ কেটে নিয়ে জুড়ে দিলাম সাথে, বিকেলের ছবি হিসেবে। আপনার বিকেল কীরকম, এখন, বা শৈশবকৈশোরে? লিখতে বসে কতো পুরোনো ছবি মনে আসে, গুরুত্বহীন সাধারণ তাই কখনো ভাবিনি তাদের কথা, কিন্তু আমার বিকেল যে সেই সব ছবিরই কোলাজ। আপনার ছবির কথাও শুনতে চাই, এ হলো ইন্টারঅ্যাক্টিভ কবিতা।
বইয়ে তো গান দেওয়া যায় না। কিন্তু এ...
এক . মৃতের স্তূপ
মৃতের স্তূপে মৃত্যুকে দেখেছ
জীবিতের মাঝে দেখেছ কি ?
কখনও শুনেছো জীবন্ত শরীরের প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসে মৃত্যুর পরোয়ানা ?
ম্রিয়মান জীবনে, তীব্র গ্লানিতে, অজস্র অপবাদে
অম্লান বদনে থাকে অনাকাঙ্খিত মৃত্যু।
নির্যাতিত গৃহবধূ, বেকার যুবক, ধর্ষিত জীবিত শিশু, শিরা জেগে থাকা বৃদ্ধ শ্রমিক-
বিলীন জীবনরস, অবশেষ যা আছে তা নিয়ে গড়ে ওঠে
জীবনের মাঝে মৃতের স্তূপ।
দুই . বংশানুক্র...
অনেকদিন পরে আজকে একটু সময় পাওয়া গেলো হাতে। ভাবলাম একটা পোস্ট দেই। কিন্তু মাসের পর মাস ধরে লেখার ভেতর আছি, আজকে আর একটা অক্ষরও লেখতে ইচ্ছে করছে না।
কিন্তু একটা পোস্ট দিতে ইচ্ছে আছে। আবার ফ্লিকারে যে সেই জন্মের পরে গোটা পাঁচেক ছবি রেখেছিলাম। তারপর আর কিছু যোগানো হয়নি। ভাবলাম এক ঢিলে দুই পাখি মারি।
তো শুরু হোক ছবিব্লগ।
কিন্তু অনেকদিনের অনেক ছবি জমে গেছে। সেগুলো থেকে বাছতেও ইচ্...
[justify]১.
আমার বই পড়ার অভ্যাস শুয়ে। গত দুই যুগ ধরে আমি শুয়েই বই পড়ছি। পাঠ্যের সাথে অনুপাঠ হিসেবে থাকতো মুড়িমাখা, সে-ও প্রায় দুই যুগ ধরেই। প্রবাসে হাতের নাগালে মলাটবন্দী কোন বই নেই, যা পড়ি সবই ই-বুক। সে তো আর শুয়ে পড়া যায় না। যদি জানতে চান, কেন প্রিন্টাউট নিয়ে পড়ি না, তাহলে উত্তর, হয় না। সব দুধের স্বাদ ঘোলে মেটে না।
২.
মেসেঞ্জারে নোটিশ টাঙিয়েছিলাম সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখার সন্ধানে। শিমুল এস...
নিজের মুখে হাত দিয়ে অবাক হয়ে যাই
যেখানে হাত পড়ে সেখানেই হাড়-
কপাল থেকে চিবুক, এমনকি গাল;
মুখের এই চামড়া তবে সত্যি নয়!
মিথ্যা মোহে ঢেকে রাখে
অপ্রিয় সব শক্ত শক্ত হাড়?
চামড়া-ঢাকা পুরো মুখ
মিথ্যা-মিথ্যা লাগে-
হাড়ের সাথে দ্যাখা, কখনো কি আর
কবর না-খুড়লে হবে?
অন্ধকার রাত, অমাবস্যা রাতের এই ঘুটঘুটে কালো অন্ধকারেই একাকী হেঁটে যাচ্ছে বিপুল। তার হাতে কোন আলো নেই এমনকি আলো জ্বালাবার কোন উপকরণও নেই। তবুও সে হাঁটছে নির্ভীক নিশাচরের মত। মধ্যরাতের এই নিঃস্তব্ধতাকে ভেদ করে কেবল তার হেঁটে চলার শব্দ ভেসে আসছে। গাছের ঝরা শুকনো পাতা মাড়িয়ে যাওয়ার শব্দ অন্ধকারটাকে যেন আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। অথচ তার আচরণে ভয়ের বিন্দুমাত্র চিহ্নটি নেই। সে ...
অপু এখানের একটা ফোটোগ্রাফি ক্লাবের মেম্বার। সেই ক্লাবের মাঝে মাঝেই এদিক-সেদিক 'ফোটো ওয়াক' থাকে। সবাই একসাথে কোথাও যায়, একটা গ্রুপ ছবি তোলে, তারপর নিজেদের মত বেড়িয়ে পড়ে আশে পাশে সাবজেক্টের সন্ধানে। গত উইকেন্ডে অপু বলল ওরা বান্টিং যাচ্ছে। কুয়ালা লামপুর থেকে বেশ কাছেই, একটা বৌদ্ধ মন্দিরে যাবে ওয়েসাক ডে'র (Wesak Day) ছবি তুলতে। ওয়েসাক ডে হল বৌদ্ধ পূর্ণিমা। শনিবারে বৌদ্ধ পূর্ণিমা পড়েছে। এ...