সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে গেলে আস্তানা থেকে বের হয় ইনু। অন্ধকার জাঁকিয়ে বসেছে পুরো এলাকাটাতে। বন্ধুদের অনেকেই না মানলেও ইনু আজো পুরোন নিয়ম মেনে বেরোয় আঁধার নামার পরই। আবশ্য এখন জীবন আগের থেকে অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের জন্য। আস্তানা থেকে বেরিয়ে অনেকেই আর ফিরে আসেনা। খানিক্ষণ অপেক্ষা করে স্বাভাবিক নির্লিপ্ততায় ফিরে যায় সবাই যে যার কাজে। এখানে অনুভূতির তীব্রতা কাউকে তেমন কষ্ট দেয়...
বিশাল একটি ক্যানভাস।
ধবধবে সাদা।
তার পেছনে উদোম গায়ে দাঁড়িয়ে এক দেয়াল। সে-ও সাদা।
দেয়ালের গায়ে হেলান দেওয়া ইজেলখানা না থাকলে ক্যানভাসকে খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর হতো।
ইজেলের বুক ঘেঁষে বসে থাকে ক্যানভাসটি। একটু উসখুস করে এদিক ওদিক চেয়ে দেখে।
সাদা মেঝে আর সাদা ছাদের মাঝে দাঁড়ানো চার দেয়ালের এই ঘরে আপাতত কথা বলার মতো আর কেউ নেই।
ইজেলের হাঁটুর কাছে ছোট্ট টুলের উপর জড়াজড়ি করে ঘুমিয়ে ...
জহিরূল ইসলাম নাদিম
রাত ঘুম ঘুম শান্ত নিঝুম
এবং নিরিবিলি
আকাশ চুলে তারার দলে
কাটছে শুধু বিলি।
এখান থেকে অনেক দূরে
আছে আমার মা যে
আমি ভীষণ ব্যস্ত এখন
লেখাপড়ার কাজে।
জ্যোছনা রাঙা চাঁদটি যদি
হতো কোনো আয়না
ফুটত তাতে মায়ের ছবি
পুরত আমার বায়না।
সবাই গেলে ঘুমিয়ে তখন
বলছি ও চাঁদ শোনো
মাকে দেখার টিভি হ'য়ো
কথা বলার ফোনও।
ভয় পেয়োনা টিভি এবং
কথা বলার বিল
মিটিয়ি দেবে আমার সাথে
আমার ম...
আমরা যারা ঢাকা শহরে বড় হয়েছি, এই শহরটাকে তারা বড়ই ভালোবাসি। প্রবাসে যখন কেউ জিজ্ঞেস করে, দেশের কোন জিনিসের কথা বেশী মনে হয়, আমি উত্তর দেই আমার ঢাকা শহর। আমার কথাতে মোটামুটি একই মন্তব্য পাই সবার কাছে, সেটা হল ‘সেই ঢাকা আর নাই’। সেই ঢাকা যে আর নাই, তা আমিও জানি। আমি অবশ্য আমার ছেড়ে আসা ঢাকাকে নিয়ে যতটা স্মৃতিকাতর হই, তার চেয়ে ছোটবেলার ঢাকাকে আমার অনেক বেশী মনে পরে।
আমার বাবা-মা দেশের ...
[justify]সেই বয়সটা, যখন কারণ ছাড়া কান্না পেত, মার সাথে ভীষণ ঝগড়া হত, আবার সারাদিনের সব কথা মাকে না বললে অস্বস্তি, অস্বস্তি। নতুন বিল্ডিং উঠবে দেখে কলেজের লাল-জবা গাছটা যখন কেটে ফেলল, ম্যাগাজিনের কাজ করতে গিয়ে, আমার আর সিস্টার শিখা, দুজনেরই চোখ ছলছল। তারপর কাটা পড়ল লাইব্রেরির মাধবীলতার ঝাড়, আর ওড়াউড়ি বাদ দিয়ে আস্তে আস্তে মাটিতে পা রেখে হাঁটা শিখলাম, সে আরেক গল্প।
সবগুলো কবিতাই ২০০১-২০০২...
কত্ত দিনের
কত্ত কথা
পড়ছে মনে, যাবার ক্ষণে।
নানানরকম স্বর্ণস্মৃতি,
একটু হাসি, একটু প্রীতি,
পড়ছে মনে, যাবার ক্ষণে।
হাজার রকম কাজের ভীড়ে,
গল্প কতো, দেখছি ফিরে;
পড়ছে মনে, যাবার ক্ষণে।
ভবিষ্যতের নানান আশা,
'যাচ্ছি' ভেবে সেই হতাশা,
পড়ছে মনে, যাবার ক্ষণে।
যাই যেখানেই স্রোতের টানে,
মন তোমাদের বন্ধু জানে,
মানছি মনে, যাবার ক্ষণে।
রইবে সবাই মনের মাঝে,
উঠবে জেগে নানান কাজে,
ভাবছি মন...
দুপুরের নদী ছুঁয়ে একপাল হাঁস সাঁতরায়
একঝাঁক গাংচিল উড়ে উড়ে খেলে কানামাছি
বিষখালি নদী এসে কেঁপে যায়
পাহাড়ের ঘিরে থাকা শাড়ির আঁচলে।
আঁচলের গল্পে যে কে বাঁধা,
জল কি তা জানো?
চোখের কোণার অশ্রু শৈশবের কোন মেলা খোঁজে--
পিতামহী-শাদা শাড়ি বিষখালি উজানে হারায়,
বৃক্ষের আশ্রয় ছেড়ে শিমূল তুলারা চলে
বেহালার বালিশের খোঁজে-
একমাঠ সবুজের অস্তিনে ঘুম
নিভে যাওয়া কবেকার স্বপ্নক্লান্ত চোখে!
...
ইয়ে হাত মুঝে দে দে হ্যাকার!
ইয়ে হাত মুঝে দে দে হ্যাকার!!
জব্বর সিং ডাকু, কোন চাক্কির পিসা হুয়া আটা দিয়ে রোটি খায় পাবলিক, এখনও বুঝতে পারো নাই।
নাচনকুদনে কোনো ফায়দা নাই। পাও চালাইলেও তোতা মৃত্যুবরণ করিবেক। তোতার বয়স হইছে।
দমে দমে বাড়িয়েছি কষ্টের দাম, অন্যসব নিঃশ্চুপ জেনে নিবিড় ভঙ্গিতে চেপে ধরি বকু... এবিশ্বাসে স্মৃতি পেল লোপ, ফিরবে কী শিগগির... সুযোগ না-পেয়ে স্বপ্নের পেছনে; ঘুমন্তশ্বাসে কাউকে নিচ্ছি না একা উষ্ণ-আলিঙ্গনে; তাকেও সাক্ষী রাখছি বুকপকেটে শরীরে-লোমে। কিন্তু সুরার ফ্যাসাদে বেশ আড়ষ্টতা জিহ্বায়... চুপচাপ থাকা সহ্য হয় না, দিশেহারা তুমিই বলো ওহো; বিগতকল্পনা। তুমি ফিরবে না জেনে খারাপ লাগছে না কা...
এখানে এসেছি মাসখানেক হলো। পার্থিব সময়ের মাসখানেক। এখানে মাস ব্যাপারটাই অর্থহীন, এ গ্রহের কোনো চাঁদ নেই। চাঁদের কমাবাড়া দেখে মাস গোণার ব্যাপারটাই বোঝানো যাবে না। এখানে দিন মাপার কৌশল যান্ত্রিক, নিখুঁত। অবশ্য পৃথিবীতেও আজকাল আর কে চাঁদ দেখে ঠিক করে দিনটা পূর্ণিমা না কৃষ্ণা প্রতিপদ না দ্বিতীয়া? বাচ্চা ছেলেপুলেরা তো অনেকে এই নামগুলো ও জানে না!
আমাকে থাকতে দিয়েছে এক আশ্চর্য ...