।।১।।
গত কয়েক বছর হল হরতালের দিনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে আসে।
এলার্মবিহীন একটা সকাল, প্রতিদিনের ছক ছাপিয়ে আরেকটু বেশি আরাম, আরেকটু বেশি আলসি, আরেকটু বেশি সময় নিয়ে নাশতা, আরেকটু বেশি পেপারে নাক গুঁজে থাকা, কেতাবী পোশাকের ধার না ধেরে গ্রামীণের ফতুয়া আর ঘিয়ে রঙ্গা গ্যাভার্ডিনেই অফিসমুখো হওয়া, নিত্যদিনের বাস ভুলে বাসার সামনেই বসে থাকা রিকশায় চড়ে বসে কানে ইয়ারফোন- চুপচাপ শহরে ঘুমন্ত শহর দেখতে দেখতে এগিয়ে যাওয়া, এর আকর্ষণ অন্যরকম।
ছোটখাটো জমে থাকা অগোছালো কাজগুলো গুছিয়ে নেয়ার একটা দিন, একেকরকম অভিজ্ঞতায় ভরা ছোটখাটো গল্পগুলো শুনে ফেলার দিন অথবা খালি হয়ে থাকা ফ্লোরে শাহানা বাজপেয়ী’র গলায় ‘তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে আমি ডুবতে আছি’ আর অর্ণবের গলায় ‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে’ গার্ন্ধবলোক অর্কেস্ট্রার সাথে বন্যার গাওয়া ‘আনন্দধারা বহিছে ভূবনে’ গুনগুনানোর দিন।
গতকাল মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে একটি ঘটনা ঘটিয়েছে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত মানুষ এবং টিভি ক্যামেরার সামনে তারা কুপিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলছে বিশ্বজিৎ দাস নামের এক যুবককে। এখন প্রযুক্তির যুগ।তুমুল গতিতে এ সংক্রান্ত ছবি এবং ভিডিও বাংলাদেশের আনাচে কানাচে, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে দেরী হয়নি।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
চামেলী বাগে একটি নিরিবিলি বাড়ির বড় ছেলেটি পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করছে। তখন সারা দেশটিতে পাকিস্তানীরা বাঙালী নিধন করছে। ঢাকা অবরুদ্ধ। ঢাকা থেকে এই ছেলেটিকে ১৯৭১ সালের ১১ অক্টোবর তার বাবা একটি চিঠিতে লিখেছেন,
স্নেহের শামীম,
অল্প স্বল্প ভুমিকা
গত পোস্টে লিখেছিলাম মেজর স্কেল আর মাইনর স্কেলের কথা। আমাদের পরিচিত বেশিরভাগ গান এই দুই স্কেল অনুসরণ করে থাকে। কথাটা পুরোপুরি ঠিক হলো না অবশ্য। বিশুদ্ধ মেজর বা মাইনর স্কেলে যে সাতটি নোট থাকার কথা, ভাবের প্রয়োজনে প্রায়ই তার বাইরের কিছু নোট চলে আসে। তারপরও, যেহেতু মূল কাঠামোটা মেজর বা মাইনর স্কেলের, আমরা অল্পজ্ঞানীরা ওগুলোকে মেজর বা মাইনর স্কেলের গান হিসেবেই চিহ্নিত করব। আমার মাথায় কর্মক্ষম স্মৃতিকোষের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে কম বলে বেশি জিনিস আমি একসাথে মাথায় রাখতে পারি না।
প্রিয় বন্ধু রতিকান্ত,
আমি আমার ছাত্রজীবনে, ধর্মান্ধ, ধূর্ত, লোভী, খুনে, ধর্ষক বা বিভ্রান্ত ছাড়া কাউকে ছাত্ররাজনীতি করতে দেখিনি। আমি জানি ছাত্ররাজনীতি মানে এসব নয়। আমি জানি, আমার ভাষা, আমার স্বাধীনতা, আমার দেশের ইতিহাস কিভাবে রক্তের অক্ষরে লিখেছে ছাত্ররাই, ছাত্ররাজনীতিই। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য সেই সময়ে আমি জন্মিনি। স্বৈরাচার হঠিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছিলো যে ছাত্ররা, তারা ব্যর্থ হয়েছে তাদের মূল্যবোধ, ধ্যান ধারণা, দেশপ্রে
আমাদের সকলের প্রিয় সচল মৃদুল ভাইয়ের রাজাকার বিষয়ক একটা ছড়ার আবৃত্তি নিয়ে এলাম আজকে।
ডিসেম্বরের এই মাসে রাজাকারদের আস্ফালন আর উল্লম্ফন দেখে কেবল একটা কথাই মনে আসছে--তবে কী তারা বুঝতে পেরেছে যে তাদের সময় ঘনিয়ে এসেছে??!! তারা কী বাতাসের মাঝে টের পাচ্ছে যে তাদের জন্যে রাখা অক্সিজেনে টান পড়ছে?!! তারা কী শুনতে পারছে মানুষ জাগছে??!! ধর্মের লেবাস পরিয়ে আর তাদের চামড়া ঢাকা যাবে না----
রাজাকার....
প্রথমে খবরটা শুধু শুনেছিলাম, দেখা হয় নাই তখনো। শোনা আর দেখার মধ্যে যে একটা বিশাল পার্থক্য আছে সেটা বুঝলাম দেখার পর। সামনা সামনি দেখলে কেমন লাগতো সেটা ভেবে রীতিমতো ভয় পাচ্ছি। হ্যাঁ, আমি বিশ্বজিতের কথা বলছি। যখন এ লেখা লিখছি তখন থেকে ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগেও সে বেচে ছিলো। তার চোখে স্বপ্ন ছিলো, তার জীবনকে নিয়ে পরিকল্পনা ছিলো। হোকনা সে একজন দর্জির দোকানী, তাই বলে আপনার আমার চেয়ে কোনো অংশেই এগুলো কম ছিলোন
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইল জুড়ে উদ্বাহু নৃত্যে মাতে প্রাগৈতিহাসিক শ্বাপদেরা।
যদিও প্রকৃতি মুখরিত হয় পাখির কুজনে,
যদিও যথারীতি বয়ে চলে নদী জলের প্রাবল্যে;
এবং যদিও কৃষকের পদপাতে মথিত হয় ভূমি...
তথাপি ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইল ব্যাপি-
আমরা সম্পন্ন করি একটি অত্যাবশ্যাকীয় সৎকার।
নিদ্রাহীন আমরা, যাপন করি পুষ্পবিহীন আমাদের দীর্ঘ বসন্তটি।
রনি আতিক
৯/১২/২০১২