মাসশেষের শেষ বিকেলে অফিসের সবচেয়ে বড় সম্মেলন কক্ষটিতে হঠাৎ ডাকে হাজির হতে হল। একা নই, সাথে আরো জনাত্রিশেক সহকর্মী পাশাপাশি, দাঁড়িয়ে বা বসে। সবার চোখ সামনের দিকটায়, ঠিক মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে দুহাত নাড়িয়ে, চোখ নাচিয়ে যে মানুষটা কথা বলছেন তাঁর দিকে। কী বলছেন সেটা আবছা শুনছি, পাশাপাশি দাঁড়ানো মানুষগুলোর চোখ আর মুখগুলোকে পড়ার চেষ্টা করছি- হঠাৎ করে আর আর সবকিছু ছাপিয়ে গাজীপুরের কোন এক পিকনিক স্পটে একটা দু
আমস্টারডাম থেকে রটারডামে ফিরছি। রেলগাড়ির বাইরে মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি। মাঠ আর জনপদ পেছনে চলে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। একই দ্রুততায় আমার মন চলে গেছে ছেলেবেলার এক অলস দুপুরে। দুপুরে খাওয়া হয়নি। তাই বোধ হয় মনটা ঘোরাফেরা করছে আমাদের সেই পুরাতন বাড়ির হেঁসেলে। আপনার মনে আছে সেই দিনগুলোর কথা?
আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম প্রবলভাবে
এই প্রচণ্ড আকুতিই আমায় নিয়ে গিয়েছিল বনের গহনে-
অন্য অনেকের মত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নয়,
নতুন মডেলের গাড়ী নয়,
বাড়ী, এমনকি সুন্দরী বান্ধবীও নয়-
আমি শুধু বাঁচতে চেয়েছি প্রবলভাবে
মুখে রোদ, বৃষ্টি, বাতাস, তুষারের বুনো স্পর্শ নিয়ে।
আমি বাঁচতে চেয়েছি-
উৎকণ্ঠা ও উত্তেজনার মাঝে,
সংগ্রাম ও প্রতিরোধের মধ্যে।
তোমাদের এই নোংরা ধূসর কড়িকাঠের শহর ছেড়ে
'কিরে দাদা, ব্যাপার কি রে? বউদির নাকি...'
আমি আর রাজি রিক্সা করে সিলেটের কোর্ট পয়েন্ট দিয়ে যাচ্ছি। খুব বেশি দিন আগের কথা না। ইলিয়াস আলীর খোঁজে পুরো বাংলাদেশে তখন খোঁজ দ্য সার্চ অবস্থা। সিলেটের অবস্থা তো পুরাই উড়াধুড়া। পোস্টারে আর ব্যানারে পুরো শহর ইলিয়াসময়। হঠাৎ একটা ব্যনারে চোখ আটকে গেল। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে ব্যনারের একটা লাইনে চোখ আটকে গেল। ব্যানারে ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেবার পরিণতি সম্বন্ধে কিছু লেখা না থাকলেও ফিরিয়ে না দেয়ার পরিণতি স
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের দুই দাবিদারের একজন, কৃতী ব্যবসায়ী ড.
গলি
-----------
ঠায় দাড়িয়ে থাকি
যেভাবে রোদের মাঝে হেটে আসে রাত, ভাবি
প্রতিফলনে স্পর্শ নেই
প্রতি ফলনে জন্ম নেয় একটা করে মৃত্যু;
খুব অন্ধকার; খু-উ-ব
গলিত লাশের গলিতে একটা ল্যাম্পপোস্ট
আর কিছু আলো
ওরা জেগে থাকে বাতি ঘরে, ঘোরে
ঘোর
বৃষ্টি নামবে; আরো বিশটি চোখ জুড়ে
বিষ ধুয়ে যাবে
প্রতি ধ্বনি থেকে প্রতিধ্বনি, মাঝের শূন্যতায়
ঠায় দাড়িয়ে থাকি।
১.
ইতিমধ্যে সৌরজগত ঘিরে পাঁচবার চক্কর খেয়েছে পৃথিবীটা। তবু পৃথিবী বা চাঁদ বা সূর্যের ওঠানামায় কোন তারতম্য হয়নি। পৃথিবীর ওজোন স্তরের ফুটোটা আরো একটু বড় হয়েছে দক্ষিণ গোলার্ধে, উষ্ণতা বেড়েছে নগর ও গ্রামের। পার্থক্য বলতে এটুকুই। আর সব ঠিকঠাক। কিন্তু নিশাতের পৃথিবী অবিচল, অপরিবর্তনীয়। সৌর আলোর আগুনে বৃষ্টিতে ঝলসে যাচ্ছে দিগন্ত বিস্তৃত রানওয়ে। শীতাতপ এয়ারপোর্টে বসে বাইরের উষ্ণতার তেজ টের পাওয়া মুশকিল। ভেতরের কাঁচঘেরা জগতটার সাথে বাইরের কোন মিল নেই। নিশাতের এই যাত্রাটা কারো জন্য বিশেষ কোন ঘটনা নয়।
আয়োজিত বিয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ বায়োডাটা। সিভি ছাড়া যেমন চাকরির বাজারে নামার উপায় নেই (সে আপনার মামা-চাচার হাত যত লম্বাই হোক না কেন), তেমনি আপনি যত যোগ্য পাত্র বা পাত্রীই হোন না কেন, বায়োডাটা ছাড়া বিয়ের বাজারে ঝাঁপি খুলতে পারবেন না। আপনার বাবার কলিগের বন্ধুর বোনের ভাসুরের হয়ত বিবাহযোগ্য দুর্দান্ত ছেলে/মেয়ে আছে, আপনার বিল্ডিংয়ের অমুক ফ্লোরের ছেলেটার বা মেয়েটার হয়ত বিয়ের বয়স হয়েছে, অফিসের অমুক কলিগের তম
কিছু কিছু শব্দ আছে যাদের কথা মনে আসলেই
বিষন্ন মেঘগুলো মূহুর্তেই উধাও হয়ে যায়।
এই যেমন ' কোমল গান্ধার ' শব্দটি মনে আসাতেই
কোথায় যেন বেজে উঠল তানপুরা, কিংবা সন্তুর অথবা এসরাজ।
ব্যাথাতুর সুরগুলোকে তখন খুব আপন মনে হয়।
কখনও কখনও পড়তে পড়তে কয়েকটা অক্ষর
বইয়ের পাতায় বিদ্যুতের মত চমক দিয়ে যায়।
যেমন ' ল ' বর্ণটি দেখলেই মনে হয়
সারা ঘরময় খিলখিল করে হেসে হেসে