এমন অনেক ছবি আছে যা একবার দেখলে মনের মধ্যে তীব্র প্রভাব ফেলে। হতে পারে সেই ছবি আনন্দের, কষ্টের, ঘৃণার, আবেগের অথবা সহিংসতার। ছবি তোলার মুন্সীয়ানার চেয়ে ছবির বক্তব্যই এ ক্ষেত্রে মূখ্য। এমন ই কিছু ছবির তালিকা চাওয়া হয়েছিলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রেডিটের ব্যবাহারকারীদের কাছে। আজকে সন্ধ্যায় সেই ছবিগুলোই দেখছিলাম (এই লেখার পরের পর্বে চেষ্টা করব সেখান থেকে কিছু ছবি সচলের পাঠকদের স
তখন আমি বৃষ্টি কুড়াই আমের বনে; ফুল-বাগানের হীরেমানিক, ঘুমিয়ে থাকি আঁচলদিঘীর নিদ্রাকুসুম জলে --- চাঁদকপালে কাজলরেখা টিপ মানে তাই বালাই-বালাই-ষাট! কৌতূহলী ভোরের ডাকে কিচিরমিচির স্তব্ধতাকে জাগিয়ে তুলি, মাকে বলি, ‘খিদে পেলে ছেলে বুঝি ডাহুক ডাকে মা!’ তখন আমার জনান্তিকে ইচ্ছে নামের সুতোয় বোনা নানামুখী তৎপরতা, আর বারতা পরাগ বুকে প্রবহমান উচ্ছ্বসিত বেনীআ--সহকলা!
[justify]সৌরভ ট্রেন থেকে যখন নামলো তখন সন্ধ্যা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। স্টেশনের কাছেই একটা খাবার দোকানে হাত মুখ ধুয়ে সেখান থেকে পেট ভরে খেয়ে নিলো ও, বলা যায় না, থাকার জায়গা খুঁজে পেতে কতক্ষণ সময় লাগে আর তারপরে কোথায় বসে খাবার ফুরসত হবে কিনা। কাল সকাল থেকে আবার জয়েনিং।
আমার ছাত্রজীবন কেটেছে দুর্বিষহ যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে। পিতামাতা উভয়েই শিক্ষক, আমি কোনদিন বাসায় গিয়ে বলতে পারিনাই যে টিচার আমাকে নাম্বার দেয়নাই। তারা দুজনেই হাঁ হাঁ করে ঝাঁপিয়ে পড়তেন আমার উপর, টিচার নাম্বার দিবেনা ক্যানো হ্যাঁ? তুমি কিছু লিখতে পারোনাই তাই নাম্বার পাওনাই ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনারা সকলেই জানেন ক্লাস টেস্টের খাতা অভিভাবককে দিয়ে সাইন করিয়ে আনাটা ফরমালিটি মাত্র, অভিভাবক মাত্রেই উচিৎ চুপচাপ সই করে খাতা আবার ছেলেমেয়েকে ফিরিয়ে দেয়া। আমার পিতা তা না করে পুরা ছয়পাতা কষা অংক পড়তেন, তারপরে সই করতে করতে গম্ভীর স্বরে বলতেন, “পনেরোতে তিন দিল কেন বুঝলামনা, শুণ্য দেওয়া উচিৎ ছিল। সরল অঙ্কের উত্তর দুইশ পঁচাশি বাই সাতশ আঠাশ কিভাবে হয়।” পাষন্ড পৃথিবীর নির্মমতায় বালক সত্যপীরের চোখে তখন পানি।
“আরে, আপনি আপনার কার্ডটা ফেলে যাচ্ছেন, স্যার! মিস্টার বেগ?” পেছন থেকে চেঁচালো জেরিন। তারপর পিছু পিছু ছুটলো। কিন্তু ততক্ষণে দরজা ঠেলে রাস্তার ভীড়ে মিশে গেছে মাঝবয়েসি লোকটা, জালাল বেগ। কী আর করা। কার্ডটা পকেটে ঢুকিয়ে রাখলো ও। ফিরে এসে আবারো কাউন্টারে বসলো।
একটু পরে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলো ঝকঝকে চেহারার এক যুবক। ওর মনমোহিনী হাসিই বোধহয় টেনে আনলো যুবককে তার কাউন্টারে। সোজা এসে জেরিনকে বললো সে,
তীব্র বাজনার ঝঙ্কারের সাথে সাথে কঠোর জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী এক বৃদ্ধ পিতার একঘেয়ে কর্তব্যপোদেশ প্রবেশ করে শিশু অ্যাডলফের কানে, বিরক্তি ধরে যায় তার এমন জীবনধারার প্রতি, বিশেষ করে কলম পেষা কেরানীর ভূমিকায় আপন অভিভাবককে সারাজীবন অতিবাহিত করতে দেখে, বাবার মৃত্যুও ঘটে অতিসাধারণ ভাবে।
মূলঃ মার্ক টোয়েন
ইষৎ সংক্ষেপিত অনুবাদঃ মন মাঝি