গঙ্গাতীরের উর্বর ভূমিতে একদল তুর্কী আর আফগান ঘোড়সওয়ার সবার পয়লা ইসলামের পতাকা হাতে হাজির হয়। তাদের তরুণ নেতার নাম ছিল মুহম্মদ বখতিয়ার, তার নেতৃত্বে সেই বাহিনী পথের সকল শহরপত্তন পায়ের তলায় মাড়িয়ে নির্দয়ভাবে এগোতে থাকে। বিহারের বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে দেয় তারা, তীর্থশহর বেনারস জ্বালিয়ে দেয়া হয়। চলে লাগামছাড়া লুট। বাংলার নদীয়া শহরে এসে তারা ঘোড়ার সওদাগর সেজে ফট করে অন্দরে ঢুকে পড়ে, তারপর সহসাই কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে প্রহরীদের কল্লা নামিয়ে দিতে দিতে রাজার অন্দরমহল পর্যন্ত পৌঁছে যায়। রাজামশাই মোটে ভাত খেতে বসেছিলেন, খবর শুনে তিনি দিলেন উল্টোদিকে ছুট! ছুটতে ছুটতে তিনি সেই যে কোন জঙ্গলে পালিয়ে গেলেন, আর তার কোন খবরই পাওয়া গেল না। ঐ থেকে বাংলায় তুর্কী আফগান মুসলিম শাসন শুরু হয়, যা টিকে ছিল পরবর্তী পাঁচশো বছরেরও বেশি।
১.
গল্পটি মাত্র সোয়া তিন পৃষ্ঠার। লেখক শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। নাম ভিক্টোরিয়ার হিরো।
ঠিক কিসের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে একজন অতি সাধারণ মানুষ নিজের ক্ষুদ্র জীবনের গন্ডি পেরিয়ে নিজেকে অসামান্য উচ্চতায় তুলে ধরে? ঠিক কিসের নেশায় নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা সম্ভব? কিংবা ঠিক কিসের তাগিদে একজন মানুষ প্রতিবাদের ইস্পাত কঠিন বর্ম তুলে ধরে আগলে ধরে নির্যাতিতকে?
এই একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীতে শণৈ শণৈ সভ্যতার বিকাশ ঘটছে। অন্তত এ ধরণের প্রচারে আমরা পিছিয়ে নেই। অথচ এখনও এই পৃথিবীর বিভিন্ন সমাজে লিঙ্গ বৈষম্যের কারনে প্রচুর মেয়ে শিশু ও ভ্রূণ হত্যা হয়েই চলেছে। একে বলা হচ্ছে,
(১) ফিমেল ইনফ্যান্টিসাইড: উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে খুব কম বয়সী মেয়ে শিশু হত্যা করা।
১
"চাইনা মেয়ে তুমি অন্য কারো হও...” রেডিও তে গান টা শুনতে ভালই লাগছে।
এআই গবেষক প্রফেসর রিচার্ড সাটন এআই-সংক্রান্ত তার মৌলিক কিছু ভাবনা নিয়ে ২০০১ সালে কয়েকটি ব্লগ লিখেছিলেন। ভাবনাগুলো আমার কাছে সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ভাবনার সাথে মিল ও ওনার সাথে ভাবনাগুলোর আদান-প্রদানের ব্যক্তিগত ইতিহাসের কারণে। এখানে ওনার Subjective Knowledge ব্লগটির ভাবানুবাদ করলাম।
এটা খুবই প্রচলিত একটি লজিক্যাল ফ্যালাসি। বিশেষ করে ধার্মিক বা বিশ্বাসীরা এই যুক্তি খুব ব্যবহার করেন। বুশের একটা বিখ্যাত সার্কুলার রিজনিং হচ্ছে:
"The reason I keep insisting that there was a relationship between Iraq and Saddam and Al Qaeda is because 'there was a relationship between Iraq and Al Qaeda.' "
যুক্তির গঠন অনুযায়ী ভাগ করলে:
দুই বেলা তোর চিবুক ছূঁয়ে বলতে ইচ্ছে করে
এই বোকা শোন তোর লাগি মোর পরান কেমন করে'।
উল্টো হাতে ঠোঁটের কোনের আধলা একটা ঘাম
ইচ্ছা করে মুছায়ে দি হয় যদি আরাম।
তিন বেলা রোজ পাশে বসায় নলায় গরাস তুলে
ইচ্ছা করে খাওয়ায়ে দি, লোক সমাজকে ভুলে।
চাঁদ কপালে হাত বুলায়ে ঘুম পাড়াবো রাতে
বুকের মধ্যে পিষে রেখেই ঘুমাবো তোর সাথে।
ইচ্ছারা রোজ মিছিল করে তোর এলাকায় ঘুরে
'এই আসিফ ওঠ...ওঠ! কটা বাজে দেখেছিস?'
ধুড়মুড় করে উঠে বসলাম। সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখছিলাম। সাম্যের ডাকে ভেঙে গেল সেটা। কোথায় আছি প্রথমে মাথায় ঢুকল না। একে একে সব মনে পড়ল। আমরা এখন মেহরেপুরে কাটাখালি গ্রামে। আসিফের ছোটমামার বন্ধু ডা. একরামূল হকের বাড়ি। দরবেশপুর এখান থেকে মাইল তিনেক দূরে।
[justify]গন্ধটা টের পায়, ভালো করেই টের পায় শম্ভু। এবং আজকাল এতটাই টের পায় যে নিজেকেই ঘৃণা করতে শুরু করেছে হয়তো মনে মনে। বিকেলের পরিত্যক্ত রোদ ওর রোদে পোড়া দেহটাকে আরেকবার স্নান করিয়ে দিয়ে যায়। ময়লা গামছাটা দিয়ে মুখ মুছে গত রাতের বাসি রুটি আর জীবন সরকারের দোকানের মটর তরকারী দিয়ে উদরপূর্তি করতে গিয়েও সে টের পায় সেই গন্ধটা। একটা মাছি তার রুটির আশেপাশে অনেকক্ষণ ধরেই ঘুরঘুর করছিল, কয়েকবার তাড়িয়ে দিয়েও