Archive - 2012 - ব্লগ

January 19th

কুকুরের খাদ্য বিষয়ক জটিলতা

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব ময়ূখ রিশাদ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৮/০১/২০১২ - ১০:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

#
ভারী পা জোড়া বয়ে নিয়ে থেমে দাঁড়াই তিনতলা বাড়িটির সামনে। রাত জানান দিচ্ছে তার উপস্থিতি নির্জনতা নিয়ে। শহুরে ভবঘুরে কুকুরটি প্রতিদিনের মতো শুয়ে আছে গেট আগলে রেখে। একঘেয়ে চাকরি, একঘেয়ে দিনশেষে বাড়ি ফিরতে ফিরতে ভাবি আজ হয়ত ব্যতিক্রম কিছু দেখব। হয়ত কুকুরটা থাকবে না, হয়ত ফাঁকা রাস্তা পেয়ে সাঁই করে চলে আসব নিমিষে, হয়ত শৈশবের গৃহত্যাগী জোছনায় ছাদে বসে আয়েশ করে সিগারেট খাব, কেউ চা বানিয়ে এনে দিবে। ঘামে সিক্ত হয়ে সিটি বাসের ভিড়ে চিড়ে চ্যাপ্টা হতে হতে একবার ভ্রম ভাঙ্গে, কুকুরটিকে দেখে দ্বিতীয়বার আর শরীরটা যখন বিছানায় ছেড়ে দেয় তখন ব্যতিক্রম কিছু ঘটার সম্ভাবনা ঘুমের ভেতরে চুপচাপ মরে যায়। আজ কুকুরটিকে এক-ই ভাবে শুয়ে থাকতে দেখে কিছুটা ক্ষোভের উদগীরণ হলেও পাশ কাটিয়ে ঢুকে যাই ভেতরে। ক্ষোভ কখনো আমাকে কাবু করতে পারে না বরং আমি চিরকাল ক্ষোভের শিকার হই, অব্যর্থ শিকার; এফোঁড়-ওফোঁড় করে যায়, রক্ত বের হয় না।


স্মৃতির পাতায় নটরডেম

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: বুধ, ১৮/০১/২০১২ - ১০:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশালদেহী মিজান স্যার ক্লাসে ঢুকতেই গ্রুপ-৪ এর সব ছাত্র একসাথে বলে উঠেছিলো "কাইফা হালুকা", স্যারও প্রতিউত্তর করেছিলেন সরস ভাবেই, প্রায় ৬ ফুটের উপরে লম্বা, বিশাল আলখাল্লা টাইপের পাঞ্জাবী, আর মুখভর্তি লম্বা দাড়ির মিজান স্যারকে কাইফা হালুকা বলে অভ্যর্থনা না জানানোটাই আসলে হয়তো রীতিবিরুদ্ধ হতো, স্যার পরিচিত ছিলেন তার বিখ্যাত "ছিলা-বাঁশ" এর জন্য, প্রথম দিনই বলেছিলেন, "আমরা তো আবার ছিলা-বাঁশ (সিলেবাস


‌বুকের ভেতরটা এখনও কেঁপে ওঠে ( মুক্তিযোদ্ধার বয়ান - ০৪ )

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৮/০১/২০১২ - ১০:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সালেক খোকন

‘ট্রেনিং শেষ। এবার রণাঙ্গনে যাওয়ার পালা। ইন্দ্রনগর ট্রেনিং ক্যাম্প হতে আমাকে পাঠানো হয় ৪ নং সেক্টারে। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন বীর উত্তম সিআর দত্ত। সেখানে ৩০ জনের দল করে আমরা অপারেশন করি। আমার দলের লিডার ছিলেন মাহাবুব নুর সাদী। এখনও মনে পড়ে কানাইঘাট থানা অপারেশনের কথা। চোখের সামনে দেখেছি সহযোদ্ধাদের মৃত্যু যন্ত্রণা। জীবন বাজি রেখে করছিলাম যুদ্ধ। আমাদের ঠিকানা শুধুই স্বাধীনতা।


পেন্ডুলাম মন

অপালা এর ছবি
লিখেছেন অপালা (তারিখ: বুধ, ১৮/০১/২০১২ - ৭:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এ ঘরে মন ফিরে না। তাই ঘুরে ঘুরে ফেরা, ঘরে ফেরা। ফেরার কোন কারন নেই, তবুও ফিরে ফিরে আসা। এ ঘর আমার নয়, এ চারদেয়াল আমার জন্য নয়। এ শরীর আটকে রাখে, আমায় ধারন করে না কোন কারনে ই। তবু অন্যের ঘরে চুপিসারে ঢুকে যাই আমি, ফিরে আসি আমি। দুটুকরো মাংসের টানে প্রতিদিন অন্যের ঘরে ফিরে আসা। এর গন্ধে ভুলে যাই সারা দিনমান বয়ে বেরানো পেন্ডুলাম মনের কথা।


January 18th

আগামীকাল ১৮ই জানুয়ারী - ইন্টারনেটে হরতাল

সাফি এর ছবি
লিখেছেন সাফি (তারিখ: বুধ, ১৮/০১/২০১২ - ১১:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


হেরেমের গোলাম

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বুধ, ১৮/০১/২০১২ - ৮:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হেরেম আর হারাম একই জিনিষ, নিষিদ্ধ মাল। হেরেম একটি আন্তর্জাতিক শব্দ, যেমন পুলিশ...যে ভাষাতেই বলেন পাবলিক বুঝবে। মুচকি একটা হাসিও দিতে পারে। তুর্কী সাম্রাজ্যের আমলে শুরু হওয়া হেরেম প্রতিষ্ঠানটিকে আমাদের ভারতীয় মোগল সম্রাটেরা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। শাজাহানের হেরেম জীবনের খানিকটা বর্ণনা পাওয়া যায় জেমস হুইলার লিখিত “The History of India from the Earliest Ages: pt. 1.


শিশুপালন-১৩

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বুধ, ১৮/০১/২০১২ - ৪:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

কঠিন প্রশ্নঃ

পৃথিবীর বাকি আর সব কাজের মতই শিশুপালন দিনে দিনে কঠিন হতে থাকে। প্রথমে এতে থাকে কায়িক শ্রম আর নির্ঘুম রাত। যতই দিন গড়ায় ততই মনে হয় যে “শারীরিক শ্রম মানসিক শ্রম অপেক্ষা অনেক উত্তম”। ওদের প্রশ্নগুলো প্রথম প্রথম সহজ থাকলে দিনে দিনে ওগুলো প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের ভাইভার মত কঠিন হতে থাকে। যারা নিয়ত শিশুপালন করেন তারা জানেন যে এই চাকরির প্রশ্নগুলো কঠিন আর উত্তরগুলো আরো অনেক কঠিন।


নববর্ষের জগাখিচুড়ি

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বুধ, ১৮/০১/২০১২ - ৩:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রবাসের প্রথম ইংরেজি নববর্ষে ওশিলভ হতভাগার মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছিলাম। ব্যাটা থার্টি ফার্স্ট পালন করতে আটলান্টায় তুর্কী বন্ধুদের কাছে যাবে। অগাস্ট এ আমেরিকা এসে ডিসেম্বর পর্যন্ত চুল কাটেনি। চুল কাটতে ২০ ডলার লাগে। ১৮ ডলার দিয়ে চুল কাটার মেশিন কিনে এনে আমাকে আচ্ছাসে পেপার মুড়িয়ে ফটাফট আমার চুল কেটে দিলো। খানিকটা এবড়ো থেবড়ো হলেও মোটের উপর চলনসই ছিল সেটা। এরপর আমার হাতে মেশিন দিয়ে বলে, এব


রঙ

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৮/০১/২০১২ - ৩:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শেষ পর্যন্ত এই মেয়েটাই ঝুলে গেলো আমার গলায়। আর প্রথমদিন থেকে বয়ে চলছে আমার শবদেহ...

আমি তোমার কে হই।

- জানিনা।

- কেন জানলেনা।

- আমার লজ্জা করে...


প্রতীক্ষার অপর নাম হতে পারে স্থিতি

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৮/০১/২০১২ - ১২:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অথচ তোমার ভিড়ে লুকোচুরি খেলে দেখি একফোঁটা বুনোজলে ঢাকা পড়ে গেছে তৎপর উষ্ণ আকাশ, রোদ সমাহিত। কৃতার্থ বনভূমি নিবেদিত বাতাসের উতলা তরঙ্গে আহরিত বিষ ঢালে, তোমার শেকলে জমে পরবাসী স্বেদকণা, স্তূপাকার; নিঃশ্বাসে নৈবেদ্য যার, তার তবু ইজেলের পেলব ত্বকে প্রতিটি রাতের ছোবলে আধেক জীবন;