একটু আগে টেলিভিশন দেখছিলাম। চ্যানেল পাল্টাতে যেয়ে একটা আলোচনা অনুষ্ঠান চোখে পড়লো। শব্দ বাড়িয়ে ভালো করে শুনলাম ওটা ভাষার মাস নিয়েই হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব, তাৎপর্য, জাতীয় জীবনে এর ভুমিকা ইত্যাদি ইত্যাদি যা হয় আর কি । কিন্তু কষ্ট পেলাম চ্যানেলটার নাম দেখে। সম্পূর্ণ আমাদের দেশীয় একটা টেলিভিশন চ্যানেল এর নাম কেন ইংরেজিতে হতে হবে ?
খুঁজেছিলে পাদটীকা পেয়ে গেলে পদ্য,
জেনে গেলে ব্যাকরণ- ভুলে ভরা গদ্য,
রীতি সব নীতি মানে নিয়মে তা বন্দি,
আমরা নই বেঁচে থাকে আমাদের সন্ধি...
সমাসের ব্যস নেই তবু জুড়ে বাক্য,
বৃত্তের লাজ নেই তাই খোঁজে ঐক্য,
একতা কি জাতি-হীন মানবতা ভ্রষ্ট?
দাঁড়ি আর পাল্লায় পশু ঘ্রাণ স্পষ্ট...
নষ্ট সে নতজানু দুষ্ট যা প্রকারে,
মিথ্যেরা লুপ্ত তাই বাড়ে আকারে --
ইতিহাসে দায় নেই তবু খোঁজ যুক্তি?
[justify]*** *** *** *** *** *** *** *** *** *** ***
নতুন একটা সম্ভাবনা মনে আসতেই ফুরফুরে অনুভূতি পেলেন তিনি।
সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তলিয়ে দেখলেন এদিক সেদিক, যত বিশ্লেষণ করলেন ততই সফলতা উঁকি দিচ্ছিল মনে। হু এটা হওয়া খুবই সম্ভব।
অফিসে বসেই শুনলাম খবরটি। তখনও লাঞ্চ করিনি। অনেকক্ষন 'হা' করে বসে থাকলাম। বুঝে উঠতে পারছিলাম না, ঠিক কি হলো বা কি হতে যাচ্ছে। অফিসের জামাতপ্রেমীদের মুখে ফিঁচেল হাসি, কেউ অবশ্য আমার সামনে পড়ছে না ভয়ে। আর লীগ-বিরোধীদের একরাশ উচ্ছাস নিয়ে জিজ্ঞাসা - ' স্যার, আপনি যে বলতেন জামাতের অনেক টাকা, আসলেই সত্যি। দেখলেন কেমন করে হাসিনাকেও কিনে নিলো!' এই বলে শুরু হলো তাদের ঘটনা ব্যাবচ্ছেদ। আমি কোনো কথা না বলে বোঝার চেষ্টা করছি, অনেকটা বোবার মতো - শুধু এদিক ওদিক তাকিয়ে। পুরোপুরি 'পাজলড' যাকে বলে, আমার অবস্থা সেই রকম!
সচলের লেখক/পাঠকরা তো ঘোরাঘুরি কম করেন না। আমাদের নেতা তারেক অণুর সুযোগ্য নেতৃত্বে ভূ-পর্যটক ও জল-পর্যটক সচলদের সাথে আমরা ঘুরে এসেছি আলাস্কা থেকে দক্ষিণ আমেরিকা, খেয়েছি গরুর ১নং চাপ, ইউরোপের গ্রামের পথ চষে বেড়িয়েছি, বরাফাচ্ছাদিত পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছি, দেখেছি সোনালি ইলিশ। এককথায় দেখা বাকি আছে, করা বাকি আছে এরকম জিনিসের সংখ্যা এখন অনেক কমে এসেছে। আর যেগুলো বাকি আছে সেগুলো করাটাও তো সহজ সাধ্য না। যেমন, ধরুন এখন পর্যন্ত কোন সচলের কেউ মহাশূণ্যে ঘুরতে যেতে পারিনি। (উড়োজাহাজে চড়ে মহাশূণ্যের কাছাকাছি গিয়েছি অবশ্য সবাই।)
পাহাড়ে উঠে আবার নেমে আসার ঝক্কি নেব না বলে
প্রতি বছর কিছু কিছু লোককে আমার তরফ থেকে পাহাড়ে পাঠিয়ে দিই
সমুদ্র অনেক দূরে বলে
কিছু বন্ধুকে বলি সমুদ্রটা দেখে আসতে
ভালবাসলে বুক ভেঙ্গে যাবে এই ভয়ে পছন্দের মেয়েটিকে বলেছি
আমার শত্রুটাকে ভালবাসতে
জীবন-যাপন কষ্টময় বলে আমি প্রায়ই
অন্যের যাপিত জীবনে নিঃশ্বাস নেই
নিজের কন্ঠ খুঁজে পাইনি বলে হরবোলা হয়ে থাকি
আমি আটক হতে চাই না--তাই পলাতক হয়ে আছি
আজ সরস্বতী পূজা, বাণী বন্দনার সাথে কিশোর প্রেমের মেলামেশার দিন । এখন দেখি অনেকে বলছে বাঙালির ভ্যালেন্টাইন দিবস। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন দিবস হল শুধুই প্রেমের দিন। জোর গলায়, গোলাপ আর উপহারের নৈবেদ্য সাজিয়ে প্রেমের দাম্ভিক ঘোষনা , আমি শুধু আমি-ই আছি। বসন্ত পঞ্চমীর কিশোর প্রেম হল তাদের জন্য যাদের "জয় করে তবু ভয় " যায় না।
নীচু হয়ে মাছের পেট টেপাটেপি করছেন জীবনবাবু। কানকো লাল না ফ্যাকাশে সব দেখে নিচ্ছেন। দেখে টেখে পছন্দ হলে এবার শুরু হবে দরকষাকষি। তারপর আবার ছোট দু একটা মাছ ফাউ নেবার বায়না। জীবনবাবুকে তাই মাছওয়ালারা কেউ ভালবেসে চায়না। তারা অবশ্য আমাকেও চায়না। দরদাম কম করে, পচা ধচা সব গছানো যায় এমন খরিদ্দারকেই তো বিক্রেতারা ভালবাসে। আর ক্রেতারা ভালবাসে সেই দোকানীকে যে কেনা দামে মাল বেচে তাড়াতাড়ি ফকির হবে সেই মহৎপ্রাণ
বেলা তিনটায় 'লাঞ্চো' সেরে অফিসে বসে একটু ঝিমাচ্ছিলাম। তারিক আজিজ এসে প্রস্তাব দিল চলেন বইমেলায় যাই। তার কুপ্ররোচনায় অফিস ফাঁকি দিয়ে বইমেলায় চলে গেলাম। ২০১৪'র মেলায় আজকেই প্রথম যাওয়া। সেই আনন্দে দু'শ টাকা দিয়ে একটি সিএঞ্জি চালিত অটোরিক্সা ভাড়া করে ফেললাম। এবারের মেলা দুই অংশে বিভক্ত। শিশুতোষ বইয়ের প্রকাশনী এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টল বাংলা একাডেমির ভেতরে আর বাকিরা সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। একাডেমি চত্তরে আজকে যাইনি। উদ্যান বেশ ফাঁকা ফাঁকা, প্রশস্ত। হারেরেরে রেরে করে "গ্রন্থ মেলা গ্রন্থ মেলা অমর একুশে গ্রন্থ মেলা" টাইপের থিম সং এর উৎপাত নাই এবার।