Archive - ব্লগ

মোঃ মনির হোসেন। বয়স ২২। বাড়ি নরসিংদী। উচ্চতা ৫ ফুট ৪। শরীর পাতলা। গায়ের রঙ শ্যামলা থেকে কালোর দিকে। গাঞ্জা ছাড়া তেমন কোন বদভ্যাস নাই। পেশায় পকেট মার।

মনির হোসেনের ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার ঝোঁক ছিলো। কিন্তু বাপে শান্তিতে থাকতে দেয় নাই। স্কুল কামাই দিলেই ফাটানো মাইর। মাঝ খান থিকা মনির হোসেনের স্কুলও হয় নাই, পড়াশুনাও হয় নাই। ১৭ বছর বয়সেই সে পালিয়ে ঢাকায় আসে। কয়েকদিন রিক্সা চ...

এতদিনে আপনারা নিশ্চয়ই আমার গায়ে পড়ে মানুষের সাথে খাতির করা, বয়সে ছোট পেলেই তুই তোকারী করা ইত্যাদি বদ অভ্যাসের সাথে পরিচিত হয়ে গেছেন। ভদ্রতার খাতিরে কেউ একটু আহ্লাদ দেখাইলেই আমি এক লাফে সিন্দাবাদের বুড়োর মতো তার কান্ধে চড়ে বসি, লিফট ফিট করে না দিলে আর নামা নামি নাই।

সচলায়তন নামের এই আখড়া আমার নিঃসঙ্গ প্রবাস জীবনে সোনার ডিম পাড়া হাসের মতো , মাঝে মধ্যে দুই একটু আজাইরা প্যাক প্যাক ...

গত কয়েকদিন ধরে সচল বেশ গরম, আর তার জন্যে আমি কাউকে দোষও দেই না। তাই অপেক্ষা করলাম দুইদিন এ লেখাটা দেওয়ার জন্যে। আমি এখন পর্যন্ত শিবিরের নামে কোন ভালো কথা শুনিনি, আর কেউ যদি বলতেও আসেন, তাকে হয়ত খুব খারাপ ভাষায় আক্রমন করব, কিন্তু এমন হল কিভাবে, আমার বয়স ৩০ বছর, কাজেই আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ আমি নিজে দেখিনি, বাবা চাচার কাছে গল্প শুনেছি, আমাদের পরিবারের কেউ শহীদ হননি মুক্তিযুদ্ধে, ...

পাউরা জারুরও খালি দুই পা, দুই হাতই আছে! এক পাউরা জারু আর কয় পয়েন নিব! আলি আজগরের কথায় সবাই যেন একটু সচকিত হয়।

ভাড়াটে খেলোয়ারের চিন্তাটা তবুও বাসেদ-এর মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। তার রেশ ধরেই বলে,
-দেহ মিয়ারা ষোল গেরামের লগে জিত্তা ফাইনাল খেলায় ঠগলে গেরামের মান থাহে! হের লাইগ্যাই কই, অহনও টাইম আছে চিন্তা কইরা দেহো। বাঘা রোস্তম একলাই একশ। হেরে আনলে খেলায় আমরা জিতুম। ঢাকারগাঁও গেরামের প...

ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় বাশিরা খাতুনকে দোররা মারা হয়েছে !
খবরটা পড়ে মনে হলো - বেশ আগে লেখা এই ছড়াটা আজকে পোস্ট যায়।

ফতোয়া

'মুসলমানের দেশে -
এই রকমের বেলাহাজি
হইলো শুরু শেষে!

পোলাডারে দোররা মারো
মাইয়াডারে পাথর !'
ফতোয়া দান করে হুজুর
মাখেন খুশবু আতর।

মেশকেআম্বর গায়ে মেখে
কব্জি করেন মালিশ
ভাবে খালি আসামীদ্বয়-
যাদের জন্য শালিস।

ভালোবাসায় দোষটা কী যে
ওরা দুজন বোঝে নি যে -

গাঢ় প্রেম...

ইমার কথা

১।
"মনে হয় কোনো বিলুপ্ত নগরীর কথা
সেই নগরীর এক ধূসর প্রাসাদের রূপ জাগে হৃদয়ে"
-জীবনানন্দ দাশ

নদীর পশ্চিমে, নীল আকাশে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঋজু উদ্ধত কঠিন শিলাময় বৃক্ষবিরল পাহাড়, সকালের আলোয় গোলাপী থেকে সোনালী হয়ে ওঠে। সন্ধ্যায় বেগুনী থেকে কালো হয়ে রাত্রির অন্ধকারে মিলিয়ে যায়৷ দুপুরবেলার রোদে মরুভূমির তপ্ত আবহাওয়ায় ভাজা ভাজা হতে হতে ...

প্রতিদিন বাইরের তাপমাত্রা আমাকে ঘরমুখি করে কেন সে প্রশ্ন থাক- তার চেয়ে ভাবতে বসি আমার অধুনা জীবন, পৃথিবীর প্রতিটা লোমকূপে কচ্ছপের মত এক একটা দীর্ঘশ্বাস লুকায়ে যে আজ ঘুমিয়ে পড়েছে পবিত্র শহরে, একদা যেখানে ছিল অরণ্যের ছায়া, শালবনের চাঁদ। অতএব, মায়ের গর্ভে লাথি দিতে দিতে বাড়ছে অনাগত দিন- তবু তোমাকে অভিবাদন।

ভাবছি, এই শহরে কোথায়ো আছি আমি। কোনো এক খাঁজে কম্প্রেসরের শো শো আওয়াজ শুষে ন...

কবি দাউদ হায়দারের নিজের লেখা আত্মজীবনীমুলক প্রবন্ধ পড়েছি সম্ভবত তিনটা। প্রথমটা ছিল সম্ভবত ষাটের দশকের অথবা সত্তর দশকের গোড়ার দিকের বাংলাদেশে কবির ঈর্ষণীয় জীবন নিয়ে, দ্বিতীয়টা ছিল ভারতে দুর্বিনীত, বেহিসেবী জীবনের একটা খন্ডচিত্র যেখানে কবি শাবানা আজমীর বাসায় এক মজলিশে যোগ দেন এবং সকালে উঠে আবিস্কার করেন তিনি শাবানা আজমীর বিছানায় 'বাকি রাত' ঘুমিয়েছেন (নাম মনে নেই লেখা দু'টির)।...

আমার বাড়ির
ছাদ ডিঙিয়ে-
মালাইকারী চায়ের দোকান।
নড়বড়ে বেঞ্চ
ধুলোর পরত-
ইঞ্চিখানেক জমছে নিদান।
কাচের গেলাস
ছলকে ওঠে;
চায়ের সুবাস আড্ডামাঝে।

টঙঘরের ওই
দোকান জুড়ে,
জমছে সবাই একে একে।
ফিরবো-না ঘর,
ভাবছি বসে;
‘আড্ডা’মদে মাতাল হয়ে।
ভাবুক তারা-
ভাবছে যারা;
‘মেয়েছেলে’টা গেছে ‘বখে’।

একটা পুকুর
এই শহরে;
বের করেছি অনেক খুঁজে।
জল ভরপুর
সিঁড়ির উপর;
জলকেলিতে সময় কাটে।
ছোট ছোট
ঝাঁক বাঁ...

বাংলা ব্লগ নিয়ে নানাজনের নানা মত। এটা কি বাংলাভাষীদের একটা মিলনস্থল হবে, না বাংলা ভাষার চর্চাকেন্দ্র - এই প্রশ্নটা আরো কিছুদিন একটা বিতর্কের জন্ম দিয়ে যাবে। আমি নিজে মনে করি বাংলা ব্লগারদের দায়বদ্ধতা আছে বাংলা ভাষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়ার। ইংরেজি ভাষায় মিথস্ক্রিয়ার জন্য অন্তর্জালীয় পাতার কোন অভাব নেই, কিন্তু বাংলা ভাষায় রয়েছে। সত্যি বলতে কি, বাংলা ভাষা এখনো প্রযুক্তির জগতে...