Archive

July 16th, 2020

তক্ষক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৭/২০২০ - ১২:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তক্ষকটা প্রত্যেক বিকেলে আসে। পাঁচটা কিংবা তার আশেপাশে। আগেও হয়তো আসতো। কিন্তু খেয়াল করার সময় পাইনি। অতিমারীর কারণে, এই তিন মাসের ক্রমপ্রসারমান ঘরবন্দী জীবন। আশেপাশের আসবাব, দেয়ালের রং, পাখার গতি, সবকিছু খুব আপন । সেই সাথে তক্ষক। সময়ের বুদবুদে ডুবে সময় হারিয়ে ফেলা আমাকে, প্রতিদিন মনে করিয়ে দেয় বিকেল পাঁচটা বেজে গেছে। এমন না যে, তাকে ভয় লাগে না আমার। প্রথম প্রথম গা গুলিয়ে আসতো তাকাতে। কী বি


July 15th

ইতালির পচা ছেলে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৫/০৭/২০২০ - ৮:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কেন ওরে ইতালি মনির তুমি আনপড় চিউবাকার মত হট্টগোল করে
বলেছিলে কানট্রি সিষ্টেমকে ফাক কর?
জুলিয়াছ সিজারুদ্দৌলার দেশে এতডি বৎসর গুজরে জীবন
কিছুই কি শিখ নাই ছলাকলা পূর্বরাগ
মেক লাভ, নট ফাকাফাকি?

একেই কি বলে সভ্যতা? উড়ে এসে ফুঁড়ে দিবে পরিযায়ী উটপাখির মত?
কানট্রি সিষ্টেমকে তুমি একদিন সন্ধ্যা বা রাইতে
ডেটে যাইতে ফুসলাইতে
পার না কি?


দ্য অ্যালকেমিস্ট/ পর্ব-১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৭/২০২০ - ১০:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অণুকাহিনী ১

যুবকের নাম সান্টিয়াগো। পশুপাল নিয়ে ও যখন পরিত্যক্ত গির্জাটায় পৌঁছল, তখন চরাচরে ঘনিয়ে আসছিল সান্ধ্য আঁধার। গির্জার এদিকটার ছাদ ধ্বসে পড়েছে বহু আগেই। কোনো এক কালে যেখানে সাজঘরটা ছিল, ধ্বসে পড়া ছাদ ফুঁড়ে আজ সেখানে সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল একটা ডুমুর গাছ।


July 13th

পাবলো নেরুদাকে নিয়ে শামসুর রাহমান

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ১৩/০৭/২০২০ - ৯:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১৯৭৩ এর ২৩ সেপ্টেম্বর পাবলো নেরুদা চিলিতে মারা যান বা হয়তো খুন হন। তার দেড় মাসের মধ্যেই ১৯৭৩ সালের নভেম্বরে ‘বিনোদন’ পত্রিকায় শামসুর রাহমানের এই লেখাটি প্রকাশিত হয়, যা সাধারণত কোথাও দেখি না। সম্প্রতি পত্রিকাটি হাতে আসায় ভাবলাম এই লেখাটি ব্লগে থাকুক। আর ভারতীয় কূটনীতিক জনাব মুচকুন্দ দুবের একটা কথা মনে পড়ল, উনি শামসুর রাহমানের কবিতা নিয়ে বলেছিলেন যে “বিশ্ব সাহিত্য নিয়ে আমার যে লেখাপড়া তাতে সত্যি বল


প্রেমে ও সংগ্রামে পাবলো নেরুদা

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: রবি, ১২/০৭/২০২০ - ৬:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাবলো নেরুদা একই সাথে বাঙালি সমাজে চরম জনপ্রিয় অথচ প্রায় অপরিচিত। মানে কবি হিসেবে তাঁর সুনাম পাঠক মাত্রই জানেন, তাঁর সৃষ্ট কিছু গনগনে অবাক স্তবক সকলেরই মুখে শোভা পায় কিন্তু এক জীবনে যে প্রায় অসম্ভব সাড়ে তিন হাজার পৃষ্ঠা কবিতা তিনি পৃথিবীকে দিয়ে গেছেন, এবং যে পাবলো নেরুদার নির্বাচিত কবিতার সাম্প্রতিক প্রকাশিত সংকলনটি ১৫০০ পাতার ( পৃথিবীর আর কোন কবির নির্বাচিত কবিতা হাজার পাতা পেরিয়েছে বলে জানা নেই!


July 9th

পশ্চিম জার্মানিতে পল্লীকবি

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বুধ, ০৮/০৭/২০২০ - ৭:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৭২ সালের মে মাসে পল্লীকবি জসীম উদদীন তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি যান, ন্যাশনালী নামের এক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে তিনি সেখানের গেলেও মূল কারণ ছিল সেখানে থাকা তাঁর দুই পুত্র ও নাতিদের সাথে দেখা করা। এক পর্যায়ের উনার স্ত্রীও যেখানে তাঁর সঙ্গে যোগ দিতে আসেন, এবং স্বামী ও স্ত্রী দুইজনেই আলাদা আলাদা ভাবে সেই স্মৃতি নিয়ে বই লিখেন। পল্লীকবির ‘জার্মানীর শহরে বন্দরে’ ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয় এবং বেগম মমতাজ জসীম


July 7th

‘যে দেশে মানুষ বড়’, সোভিয়েত ইউনিয়নে পল্লীকবি

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৭/২০২০ - ৮:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে পল্লীকবি জসীম উদদীনের ভ্রমণ কাহিনী ‘যে দেশে মানুষ বড়’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে। সত্যি বলতে সেই সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে সরকারি ভাবে যাওয়া হাজার হাজার বিদেশি অতিথির চেয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা খুব একটা আলাদা নয়, সোভিয়েত সমাজ ব্যবস্থার জয়গান করানোই ছিল হয়তো সেই সমস্ত দাওয়াত করে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য।


July 6th

পল্লীকবি জসীম উদদীনের যুগোস্লাভিয়া ভ্রমণ

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ০৬/০৭/২০২০ - ৯:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ পাকিস্তান আমলে পল্লীকবি জসীম উদদীন আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীতের মহাসভার অধিবেশনে অংশ নেবার আমন্ত্রণে সাবেক যুগোস্লাভিয়া ভ্রমণ করেন, এবং সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘হলদে পরীর দেশে’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। সেই বই পড়েই মনে হল এই অভিজ্ঞতা নিয়ে আমাদের জানা থাকার দরকার।


নগরী ঢাকা-২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৬/০৭/২০২০ - ২:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঝে মাঝেই ঢাকা শহরের গতি থেমে যায়। রাস্তায় প্রচুর গাড়ীর থেমে যেতে হয়, থেমে থাকতে হয়। যখন গাড়ীগুলো চলে তখনও যে দরকারী গতিতে চ’লতে পারে সেটাও সবসময় নয়। এর নানা কারণ আমরা বলতে পারি। তবে এক-কথায় যদি ব’লতে হয় তা হ’লো, শহরের যাতায়াতের ব্যাপারটা নিয়ে কার্যকর পরিকল্পনা করা হয়নি।


July 4th

তিব্বতের নিসর্গ রক্ষায় জর্জ শ্যলারের সংগ্রাম

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শনি, ০৪/০৭/২০২০ - ১১:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কাশ্মীরের শালের খ্যাতি সারা জগত জুড়ে, সাধারণ পশমিনা চাদর নয়, সান্তুষ নামের সেই অতি সুক্ষ পশমের বয়নের শৈল্পিক কারিগরি, যা আরাধ্য অনেকের কাছেই। ইতিহাস বলে মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের বর্ণনায় জানা যায় তাঁর বাবা আকবরের একটি সান্তুষ শাল ছিল, যেটা নিয়ে বিখ্যাত ফরাসী রত্ন ব্যবসায়ী ট্যাভার্নিয়ের বেশ ক’লাইন লেখার সাথে সাথে উল্লেখ করেছিলেন যে এটা তিব্বতের এক ধরনের বুনো ছাগলের পশম, মোঘলরা একে বলত টূজ। নেপোলিয়ন