ব্লগ

স্থানাংক

রায়হান আবীর এর ছবি
লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: সোম, ২২/০৮/২০২২ - ৩:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যখন ব্যস্ত ফুলের দল মুহূর্ত গুণে
চেনা রাস্তায় ঘরে ফিরে
তখন মেরুন সন্ধ্যালোকে
কোলাহলে আড়াল তোর আমার গুঞ্জন

নিয়ন অন্ধকারে মুখোশ খুলে
তোর সুরে চিৎকারে
দৃষ্টির কামনায় মমতার ছন্দ
বাধার অরণ্যে তোর ঘ্রান
একমাত্র নিশ্চিত স্থানাংক

ভাঙনের খবরে ঘুম ভাঙে
অচেনা ঘরে কম্পিত শব্দে
সতন্ত্র সাহসীর ভয়ার্ত চিৎকারে
হঠাৎ খুন হয়েছে
স্বপ্ন মোড়া আমার বিষণ্নতার একমাত্র ঠিকানা


খুমজুং গ্রাম ও ইয়েতির ব্রহ্মতালু!

ওডিন এর ছবি
লিখেছেন ওডিন (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৮/২০২২ - ১০:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ট্রেকে প্রায় সবাই যে কাজটা করে তা হলো উচ্চতাজনিত অসুস্থতা এড়ানোর জন্য অত্র এলাকার সবচে বড় গ্রাম/মিনি-শহর নামচে বাজারে দুটো রাত থাকা। এই মে মাসের এক বৃষ্টিভেজা বিকেলে ভেজা কাপড় চোপড় আর গাট্টি বোঁচকা নিয়ে কাঁপতে কাঁপতে যখন আমরা সাড়ে তিন হাজার মিটার উঁচুতে নামচে বাজার পৌঁছলাম, তখনো পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনা ছিল সেখানেই দু রাত থাকার। পরের দিন সকালে আমরা হয় খুমজুং গ্রাম


বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডঃ নানা প্রসঙ্গ

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি
লিখেছেন নুরুজ্জামান মানিক (তারিখ: রবি, ১৪/০৮/২০২২ - ৮:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পাখি ডাকা ভোরে। বাংলাদেশের স্থপতি ও রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে সেদিন পৈশাচিক উন্মত্ততায় হত্যা করা হয়েছিল। ঘটনাক্রমে বঙ্গবন্ধুর দুই আত্মজা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক বাসভবনটিতে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের যেস


রাশিয়ার উপর অবরোধ কী আদৌ কাজ করছে?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৭/২০২২ - ১:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা দেশগুলো অর্থনৈতিক অবরোধের পথে হেটেছে। কিন্তু এতদিন পর এসে সবার মনে একটাই প্রশ্ন-অবরোধ কী যুদ্ধের গতি স্লথ করতে পেরেছে?


পেছনের পৃষ্ঠাগুলি

তানভীর এর ছবি
লিখেছেন তানভীর (তারিখ: রবি, ১৭/০৭/২০২২ - ১০:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কর্ণছোঁয়া লাল লেলিহান শিখা
ঘুরছে উঁচু, শক্তিশালী ফাঁদ
আদর্শ আমার মানচিত্র হয়ে
জ্বলছে আগুন রাস্তা থেকে ছাদ।
"প্রান্তসীমায় দেখা হবে শিগগীর"
তপ্ত ভুরুর নিচে আমার গর্বিত উচ্চারণ,
আহ, কিন্তু তখন অনেক বুড়ো ছিলো মন
এখন আমি তার চেয়ে তরুণ।

এগিয়ে যায় যত অর্ধ-বিধ্বস্ত সংস্কার
"নিভিয়ে ফেলো সব ঘৃণা" আমার চিৎকার
জীবন যে সাদা-কালো এমন মিথ্যাগুলি
বলেছে যেন আমার মাথার খুলি।


উপমহাদেশের পাখিবিদ-১ঃ এডওয়ার্ড ব্লাইদ (১৮১০-১৮৭৩)

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শুক্র, ২৪/০৬/২০২২ - ৫:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এডওয়ার্ড ব্লাইদ ছিলেন তাঁর সময়ের সবচেয়ে বিখ্যাত পাখিবিদদের একজন। ইংল্যান্ডে শিক্ষা গ্রহণের পর তিনি টানা বিশ বছর বেঙ্গলের ( অবিভক্ত বাংলা) এশিয়াটিক সোসাইটির জাদুঘরে কর্মরত ছিলেন, যেখানে কাজের চাপের কারণে নিজে খুব বেশী ফিল্ডওয়ার্কে যেতে না পারলেও সমগ্র ভারতবর্ষ থেকে আসা পাখির নমুনা সংগ্রহ সাজিয়ে, বর্ণনা লিখে, প্রজাতি অনুসারে আলাদা করে রাখতেন। ১৮৬০ সালের দিকে দ্য আইবিস ( The Ibis) জার্নালের এমন কো


ডাকুইন

তানভীর এর ছবি
লিখেছেন তানভীর (তারিখ: রবি, ০৫/০৬/২০২২ - ৮:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডাকুস্তান মেতেছে উৎসবে আজ,
শোভাযাত্রা, প্রাসাদে সাজ।
সাত দশকের লুটপাটের কাম,
সর্দারনীর জুবিলী প্লাটিনাম।
দলে দলে ভক্তরা তাই,
নেচে-কুঁদে গাইছে সবাই-
'গড শেইভ দ্য কুইন'
প্রণাম লহো ডাকু সর্দার- তুমি ডাকুইন।


পথের মোড়ে

জি.এম.তানিম এর ছবি
লিখেছেন জি.এম.তানিম (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৫/২০২২ - ৫:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কবিতাটার খোঁজ পেয়েছিলাম খোমাখাতায়, সচল দ্রোহীর একটি মন্তব্যে। কবিতাটা পড়ে মনের মধ্যে একটি অস্থিরতা শুরু হলো, বুকটা কোথায় যেন ধক করে উঠল। মন চাইছিল নিজের মতো করে, নিজের ভাষায় সেই গল্পটা ছড়িয়ে দেওয়ার। তাড়াহুড়ো করেই তাই অনুবাদের চেষ্টা করে ফেললাম। মূল কবিতাটা পাওয়া যাবে এখানে


দ্য অ্যালকেমিস্ট/ অণুকাহিনী ৯

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০১/০৫/২০২২ - ১০:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাক্তুব, ভাবল ও।

“আরে কী হলোটা কী, জিজ্ঞেস করো!” ইংরেজের কথায় সম্বিত ফিরে পেল সান্টিয়াগো।

মেয়েটির কাছাকাছি গেল ও। ইতস্তত করে একটু হাসল।
“আপনার নামটা জানতে পারি কি?”

“ফাতিমা,” চোখের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে নিতে বলল মেয়েটি।

“ও আচ্ছা... আমাদের দেশের মেয়েদেরও এই নাম হয়।”


মহাবিশ্বের অবস্তুগত ভাবনা

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ২৪/০৪/২০২২ - ৪:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছাত্রজীবনে একদা বিক্ষিপ্তভাবে ডায়েরি লিখতাম। স্কুল পাশ করে কলেজে ওঠার পর পৃথিবীর নানান দিকে চোখ খুলতে থাকে। বিচিত্র সব ভাবনারা মাথার ভেতরে ঘুরপাক খেতো। সেগুলো কখনো ডায়েরি, কখনো চিরকুট, কখনো পুরোনো খাতার শেষদিকে লিপিবদ্ধ হতে থাকে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই। বলে রাখা ভালো- আমি বারো ক্লাস পর্যন্ত বিজ্ঞানের ছাত্র থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু হয় বাণিজ্যের পথে। কিন্তু বিজ্ঞানের ভুত আমার পিছু ছাড়েনি কখনোই।